শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

সমস্যার আরেক নাম কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

মেহেদী হাসান কুবি থেকে : | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) প্রতিষ্ঠার ৬ বছর পর ২০১১ সালের ২৫ জুলাই উদ্বোধন করা হয় কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ার। সাত বছরেও হয়নি কোনো ধরনের সংস্কার কিংবা সৌন্দর্য্য বর্ধণের কাজ। এছাড়া অভ্যন্তরীণ অব্যবস্থাপনা তো রয়েছেই।

সরেজমিনে অনুসন্ধান করে দেখা যায়, নানা সমস্যায় জর্জরিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়া। খাদ্যে ভর্তুকি না থাকা, আসন সঙ্কট, ট্যাপ দিয়ে পানি না আসা, পরিচ্ছন্নতার অভাব, ওয়াশরুমের নাজুক অবস্থা ও ব্যবহার অনুপযোগিতা, অধিকাংশ ফ্যান নষ্ট, বৈদ্যুতিক লাইনে সমস্যা, খাবার পানির ব্যবস্থা না থাকাসহ বিভিন্ন ধরনের সমস্যা রয়েছে ক্যাফেটেরিয়াতে। এক মাস যাবত ক্যাফেটেরিয়ায় পানি সরবরাহের একমাত্র মোটর নষ্ট হয়ে আছে। ক্যাফেটেরিয়ার ম্যানেজার মহিউদ্দীন মজুমদার জানান, লোজ পাইপ দ্বারা বিজ্ঞান অনুষদ থেকে পানি এনে ভর্তি করা হয় ট্যাংক। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে অবগত করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নতুন মটর লাগানো হবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আশ্বাস দিলেও সমাধানের কোন অগ্রগতি নেই। তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান।

ক্যাফেটেরিয়ায় শিক্ষকদের জন্য আলাদা খাবার কক্ষটির অবস্থা নাজুক। সেখানে রয়েছে একটি মাত্র ছোট টেবিল আর কয়েকটা চেয়ার। সেখানে আনাগোনা নেই শিক্ষকদের। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বললে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন তারা। ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে আসা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী মোশারফ হোসাইন বলেন, এখানে বসার পর্যাপ্ত আসন নেই। শহর থেকে এসে ক্লাস করতে হয় বিধায় দুপুরে ক্যাফেটেরিয়ায় খেতে হয়। অনেক সময় আসনের অভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। একই ব্যাচের নৃবিজ্ঞান বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, বেশির ভাগ ফ্যান নষ্ট হওয়ার তীব্র গরমেই খেতে হয় আমাদের। ক্যাফেটেরিয়ার পানি খাওয়ার অনুপযোগী। ৮ টি বেসিনের ৩টি বেসিন নষ্ট বাকিগুলোতেও পর্যাপ্ত পানি আসেনা। আবাসিক হলের বিভিন্ন শিক্ষার্থীরা রাতের খাবারও সংগ্রহ করে ক্যাফে থেকে। অনেক সময় সন্ধ্যার পর থেকেই বন্ধ হয়ে যায় ক্যাফেটেরিয়া।

ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষার্থীরা। ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের মান ও অভ্যন্তরীণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়েও অভিযোগ করেন তারা। কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায় ক্যাম্পাসের বাইরে হোটেলের খাবার আর ক্যাফেটেরিয়ার খাবারের দাম প্রায় একই, তাহলে আমরা কেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাফেটেরিয়াতে খেতে আসব।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন