বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

বিআরটিসির মূলধন বাড়িয়ে নতুন আইন মন্ত্রিসভায় অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

মূলধনের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকার প্রস্তাব করে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিসি) আইনের খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৮ এর খসড়ার নীতিগত অনেুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠকের পরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, ১৯৬১ সালের একটি আইন দিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন পরিচালিত হচ্ছিল, ওই আইনকে হালনাগাদ করে নতুন আইন করা হচ্ছে। আগে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধন ছয় কোটি টাকা ছিল। বলা ছিল, করপোরেশন সরকারের লিখিত অনুমোদন নিয়ে মূলধন বাড়াতে পারবে। নতুন আইনে করপোরেশনের অনুমোদিত মূলধনের পরিমাণ এক হাজার কোটি টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের ১০০ কোটি সাধারণ শেয়ারে তা বিভিক্ত হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সারা দেশে যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও আঞ্চলিক যাত্রী ও পণ্য পরিবহন, প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট/ কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনা সুনির্দিষ্ট নীতিমালার অধীনে ইজারার মাধ্যমে পরিচালনা করতে পারবে। পাশাপাশি সুনির্দিষ্ট নীতিমালার ইজারার মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে যাত্রীবাহী বাস বা পণ্যবাহী ট্রাক পরিচালনা করতে পারবে।
সুগারক্যান ইনস্টিটিউট আইনের নাম পরিবর্তন
তিনি জানান, সুগারক্যান ইনস্টিটিউট আইনের নাম পরিবর্তন করে নতুন একটি আইনের খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে। শফিউল বলেন, শুধুমাত্র আখ নিয়ে গবেষণার জন্য ১৯৯৬ সালে সুগারক্যান গবেষণা ইনস্টিটিউট আইন হয়। কিন্তু আরও অনেক কিছু থেকে সুগার হতে পারে, এজন্য নাম পরিবর্তন করে সুগারক্যান গবেষণা ইনস্টিটিউট করা হচ্ছে। বিদেশে জনশক্তি রপ্তানির হার কমলেও রেমিটেন্স প্রবাহ বেড়েছে বলে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর ২০১৭-১৮ অর্থ বছরের কার্যাবলি সম্পর্কিত বার্ষিক প্রতিবেদন গতকাল মন্ত্রিসভা বেঠকে উপস্থাপন করা হয়।
এতে বলা হয়, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৮ লাখ ৬৭ হাজার ১২৮ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছে, যা এর আগের অর্থ বছরের চেয়ে ২৬ হাজার ৯২৬ জন কম। আর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৫৪ জনকে বিদেশে পাঠানো হয়েছিল। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বিদেশ থেকে প্রবাসীদের পাঠানো টাকার ( রেমিট্যান্স) পরিমাণ ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ বেড়েছে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের শ্রেণি থেকে উত্তরণের সব যোগ্যতা অর্জন করে এবং সামষ্টিক অর্থনীতি ও সামাজিক সূচকসমূহে ইতিবাচক অগ্রগতিসহ প্রবৃদ্ধির গতি ধারা অব্যাহত রেখেছে। শফিউল জানান, ২০১৬-১৭ অর্থবছরের তুলনায় ২০১৭-১৮ অর্থবছরে মাথাপিছু জাতীয় আয়, আমদানি-রপ্তানি, সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের পরিমাণ এবং রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ও পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু জাতীয় আয় গত বছরের এক হাজার ৬০২ মার্কিন ডলার থেকে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এক হাজার ৭৫১ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। গত অর্থবছরে মোট ৪১ দশমিক ০১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। রপ্তানি প্রবৃদ্ধির হার ৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০১৭ সালে দেশে দারিদ্র্যের হার ছিল ২৩ দশমিক ১ শতাংশ, যা ২০১৮ সালে কমে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ হয়েছে।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪০ হাজার ৯৪৭ কোটি টাকা বেশি ব্যয় হয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে। সরাসরি বৈদেশিক বিনিয়োগের (ইপিজেড ও নন-ইপিজেড) পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২ দশমিক ৫৮১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৫ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। ছয় বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক সহায়তা পাওয়ার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ২৪৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ অর্জিত হয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন