মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩ বৈশাখ ১৪৩১, ০৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ঝুলিয়ে থাকায় অসন্তোষ বাড়ছে উখিয়া-টেকনাফে

বিশেষ সংবাদদাতা, কক্সবাজার থেকে | প্রকাশের সময় : ৯ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৯ পিএম

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে বারবার অহেতুক কাল ক্ষেপন হওয়ায় যেমন ঝুলে আছে বাংলাদেশে অবস্থান করা লাখ লাখ রোহিঙ্গা সমস্যাটি। তেমনি জন অসন্তোষ বাড়ছে রোহিঙ্গা ক্যাম্প অধ্যুষিত উখিয়া-টেকনাফে।
আগামী ১৫ নভেম্বর থেকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা এখনো অনিশ্চিত বলে জানাগেছে।

এদিকে বাংলাদেশের তরফে প্রত্যাবাসনযোগ্য রোহিঙ্গাদের তালিকা মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের হাতে দেয়া হলেও মিয়ানমার নানা অজুহাতে প্রত্যাবাসন বিলম্ব করার খবর জানাগেছে।

মিয়ানমারের ওপারে ট্রানজিট ক্যাম্পসহ রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িতে তাদের পুনর্বাসনে এখনো কর্তৃপক্ষ যথাযথ প্রস্তুত নয় জানিয়ে জাতিসংঘসহ বিভিন্ন সংস্থা তড়িঘড়ি প্রত্যাবাসনে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এনিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত এখন বাংলাদেশে সফরে আছেন।

মিয়ানমার সেনারা ২০১৭ সালের অাগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত ২৪ হাজার রোহিঙ্গাকে হত্যা ও ১৭ হাজার ১৮ শত নারীকে ধর্ষণ করেছে বলে জানা গেছে।

চাঞ্চল্যকর এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করেছে ওন্টারিও ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি (Ontario International Development Agency) নামের আন্তর্জাতিক একটি সংস্থা।

সম্প্রতি এক গবেষণা রির্পোট প্রকাশ করেছে এই আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা। এই রির্পোট থেকে এই তথ্য জানা যায়।

এতে বলা হয়েছে, এক লাখ ১৪ হাজার রোহিঙ্গা মুসলমান নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এছাড়াও এক লাখ ১৫ হাজার রোহিঙ্গার ঘর বাড়িতে আগুন দিয়েছে মিয়ানমার সেনারা।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মিয়ানমারের বর্বর সেনারা ১৭ হাজার ৭১৮ জন রোহিঙ্গা মহিলাকেও ধর্ষণ করেছে।

এতে করে স্বভাবতই রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরেযেতে তাদের সুরক্ষার দাবী জানাতে পারে। নাগরিকত্ব, পুনর্বাসন, সহায় সম্পদ ফিরে দেয়াসহ তাদের দাবীর কথা জানিয়ে আসছে বিভিন্ন মহলে।

রাষ্ট্রসংঘের তরফে সম্প্রতি ঘোষণা করা হয়েছে যে, মিয়ানমারের সেনারা দেশের মুসলিম অধ্যুষিত রাখাইন প্রদেশে ‘জাতিগত শুদ্ধি’ অভিযান চালিয়েছে।

গত বছরের ২৫ আগস্ট থেকে আরাকান রাজ্যে (রাখাইন প্রদেশে) মুসলমানদের বিরুদ্ধে নতুন করে ব্যাপক গণহত্যা, ধর্ষণ ও লুটপাটের অভিযান শুরু করে মিয়ানমার।

তখন প্রাণে বাঁচতে লাখ লাখ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। বর্তমানে বাংলাদেশের কক্সবাজার জেলার উখিয়া-টেকনাফের ৩০টি শরণার্থী শিবিরে ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছেন।

এসব রোহিঙ্গাদের কারণে মারাত্মক চাপে আছেন স্থানীয়রা। তারা চায় দ্রুত এসব রোহিঙ্গাদের মিয়নমারে ফিরিয়ে নেয়া হউক।

তবে প্রত্যাবাসন বিলম্বের পেছনে কিছু এনজিও কর্তৃক কৌশলে রোহিঙ্গাদের উস্কানী দেয়ার কবরও জানাগেছে একাধিক বিশ্বস্ত সূত্র থেকে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন