কুড়িগ্রামের উলিপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে জমিতে রাসায়নিক পদার্থ প্রয়োগ করে ধান ক্ষেত নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে, উপজেলা দূর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই আনন্দবাজার ধোপাপাড়া গ্রামে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক থানায় অভিযোগ করেছেন।
জানা গেছে, উপজেলা দূর্গাপুর ইউনিয়নের গোড়াই আনন্দবাজার ধোপাপাড়া গ্রামের বাহাদুর আলীর ছেলে কৃষক শহিদুল ইসলাম ওই গ্রামের টুপামারি বিল সংলগ্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে ৫৪ শতক জমিতে স্বর্ণা ধান রোপণ করে পরিচর্চা করে আসছেন। একদিন জমিতে গিয়ে দেখেন জমির অধিকাংশ ধান গাছের শীষ পোড়া যাওয়ার মতো হয়েছে। এতে তার জমির প্রায় ৪০ মণ ধানের ক্ষতি সাধন হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। কৃষক শহিদুল ইসলাম ওইদিন রাতেই তার বোন জামাই একই গ্রামের ফারাজ উদ্দিনের ছেলে আব্দুস সালামের (৫০) নাম উল্লেখ করে উলিপুর থানায় অভিযোগ করেন।
সরেজমিন ওই এলাকায় গেলে স্থানীয় কৃষক আমজাদ হোসেন (৫২), আব্দুল হাই (৪৫), নুর ইসলাম (৫০), সরওয়ারদি সরকার (৪০), আহম্মদ আলী (৫৫), আবু বক্কর (৫০) ও শমসের আলী (৭০) জানান, যেভাবে ফসলের ক্ষতি সাধন করা হয়েছে, দেখে মনে হয় কোনো তরল জাতীয় পদার্থ দিয়ে স্প্রে করা হয়েছে। যারা এ কাজ করেছে, তারা মোটেও ভালো কাজ করেনি। তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত। অভিযুক্ত আব্দুস সালামের সাথে কথা বলার জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। স্বজনরাও জানেন না তিনি কোথায় গেছেন।
অভিযোগকারী কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, বোনজামাই আব্দুস সালামের সাথে দীর্ঘ দিন থেকে আমার বড় বোন রেজিয়া বেগম (৪০) এর সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। প্রায় তাকে মারধর করা হতো, আমার ধান ক্ষেতের ক্ষতি সাধনের প্রতিবাদ করলে বোনকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়। আমার বোন গুরুত্বর আহত অবস্থায় বর্তমানে উলিপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছেন। দূর্গাপুর ইউনিয়নের দায়িত্বরত উপ-সহকারী কৃষি অফিসার নকুল কুমার বর্মন বলেন, সম্ভবত ওই ধান ক্ষেতে রাসায়নিক জাতীয় কিছু ব্যবহার করা হয়েছে। ফলে ধানের ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, ধান ক্ষেতটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে অতিমাত্রায় রাসায়নিক পদার্থ স্প্রে করার কারণে এ অবস্থা হতে পারে। আমাদের এখানে যেহেতু পরীক্ষা করার ল্যাব নেই, সেহেতু নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছি না।
উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ধান ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ব্যাপারে কৃষক অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু বলা যাবে না।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন