ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা : জেলার মধুখালী উপজেলার বাগাট ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকারদলীয় প্রার্থীর সমর্থকদের একের পর নির্বাচনী সহিংসতা ও প্রশাসনের নির্লিপ্ত আচরণের ঘটনায় সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে গভীর শঙ্কা প্রকাশ করেছে স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ। এ প্রেক্ষিতে ৭ মে অনুষ্ঠিতব্য বাগাট ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিপূর্বক সেখানে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানানো হয়েছে। একইসাথে আটক বিএনপি প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করা হয়েছে। শনিবার ফরিদপুর প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক সংসদ সদস্য ও বিএনপি নেতা শাহ মো: আবু জাফর লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করেন, গত ২৩ এপ্রিল রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রথমে রায়জাদাপুর গ্রামে ও পরে বাগাট বাজারে রাম দা, লঠিশোঠা নিয়ে বিএনপি প্রার্থী আব্দুর রহিম ফকির ও তার সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মুরাদের সমর্থকেরা ঘটনাস্থলে এলে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের সাথে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ভাই আতিয়ার নিহত হয়। আওয়ামী লীগ সমর্থকেরা এদিন বিএনপি প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে ৫টি মোটর সাইকলে নিয়ে যায় এবং মালামাল লুটপাট করে। ওই রাতে পুলিশ বিএনপির নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি তলাশী করে বিএনপি প্রার্থী রহিম ফকিরকে আটক করে। এ ঘটনায় রহিম ফকিরসহ কামারখালী ইউপির বিএনপি দলীয় প্রার্থী ও উপজেলা বিএনপি সভাপতি ইরান চৌধুরী, মধুখালী পৌর বিএনপি সভাপতি ও মধুখালী ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজসহ ১০২ জন নেতাকর্মীর নামোলেখ করে আরো ৩/৪ শ’ অজ্ঞাতনামাকে আসামী করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
এরআগে বাগাট ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ১৫ এপ্রিল রাতে মিটাইন গ্রামে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী মতিয়ার রহমানের সমর্থকেরা বিএনপি কর্মীদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী আব্দুর রহিম ফকির ঘটনাস্থলে গেলে তাকেও মারধর ও গালিগালাজ করা হয়। পরেরদিন ইউএনও, থানার ওসি এবং রিচার্নিং কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করা হয়। তবে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এরপর ২১ এপ্রিল রায়জাদাপুর ও পাইকপাড়া গ্রামে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীদের উপর আবারও হামলা চালানো হয়। এতে কয়েকজন আহত হন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন