শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

উভয় জোটসহ বড় সব দলকে বলছি

মন্তব্য প্রতিবেদন

উবায়দুর রহমান খান নদভী | প্রকাশের সময় : ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৫:৫৯ পিএম | আপডেট : ১১:৪৮ এএম, ১৩ নভেম্বর, ২০১৮

স্বঘোষিত ও চিহ্নিত কিছু নাস্তিক মুরতাদ ছাড়া (যাদের অনেকেই আবার হৃদয়ে ঈমান লালন করে বাইরে নাস্তিক ভাব দেখায়, দুনিয়ার কিছু হালুয়া রুটির আশায়) মোটাদাগে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ইত্যাদি কেউই ইসলামবিরোধী শক্তি নয়। এসব দলেই বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ ইসলামের নীতি আদর্শ ও সৌন্দর্যে বিশ্বাসী। এসব দলের লক্ষ্য ইসলাম কায়েম নয়। তবে এদেরকে ইসলামের পথে আনার দায়িত্ব অবশ্যই যোগ্য আলেম ও দাঈদের। যারা নিঃস্বার্থ দাওয়াতের কাজ করেন, তারা সকল নবী রাসুলের সুরে সুর মিলিয়ে বলে থাকেন, ‘মা আসআলু মিনকুম আজরান; ইন আজরিয়া ইল্লা আলাল্লাহ’, ‘ইন্নি লাকুম না-সিহুন আমীন’। অর্থাৎ হে আমাদের জাতি, তোমরা আল্লাহর ওপর ঈমান আনো। এ আহ্বানের বিনিময়ে আমরা কোনো কিছুই চাই না। আমরা হলাম তোমাদের বিশ্বস্ত শুভার্থী। -আল কোরআন। এদেশের পীর-আউলিয়া, উলামা-মাশায়েখ ও পরহেজগার দাঈগণ হাজার বছর ধরে জনগণকে ঈমানের ওপর রাখার মেহনত করেছেন। তারা সাধ্যমত রাষ্ট্র ও সরকারকেও নসীহত করেছেন। প্রতিটি নাগরিককে দীনের ওপর উঠানোর জন্য বলতে গেলে জীবন যৌবন সম্পদ ও খ্যাতি সবকিছু তিলে তিলে ক্ষয় করে গেছেন। মানুষের কাছে ক্ষমতা, অর্থ, সম্মান, সম্পদ ইত্যাদি কিছুই চাননি। বলেছেন, আমাদের যা দেওয়ার আল্লাহই দিবেন। হে জনগণ, আমরা নবী রাসুলের ওয়ারিস হিসাবে তোমাদের আস্থাভাজন বিশ্বস্ত হিতাকাঙ্খীর দল। এদেশের কোটি কোটি মানুষ এসব মনীষীর প্রীতিডোরে আবদ্ধ। মাঝেমধ্যে খাঁটি জিনিষেও ভেজাল ঢুকে যায়। জন্ম নেয় লোভী স্বার্থপর দালাল উলামায়ে ছু। সহজে কারও নিয়তের ওপর হামলা করা আল্লাহওয়ালাদের নিয়ম নয়। কারও সম্পর্কে নিশ্চিত না হয়ে কুধারণা করাও গোনাহের কাজ। তাছাড়া ইসলাম গুটিকয়েক খারাপ ও নামধারী উলামা মাশায়েখ আর ভণ্ড পীরের জন্য চিরস্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্থও হয় না। এসব মেঘের মত অন্ধকার হয়ে আসে, আবার সূর্যের তেজে হাওয়া হয়ে যায়।

বাংলাদেশের শতকরা ৯২% জনগণ মুসলিম। তারা দেশের রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে স্বাধীনতা সম্মান শান্তি ও উন্নয়ন যেমন দেখতে চায়, এর চেয়ে বেশি খেয়াল রাখে নিজেদের দীন ঈমান ও ইসলামী মূল্যবোধের প্রতি। যারা ইসলামী রাজনীতি করেন, তাদের মধ্যে অনেক মত। এমনও আছে যে, একদল আরেক দলকে ‘ইসলামী’ বলতেও রাজী নয়। বহু দল এমন আছে, যারা নিজেকে ছাড়া অন্যদের আদর্শচ্যূত ও নীতিহীন বলে বিশ্বাস করে। পরস্পরে ব্যাপক গীবত শেকায়েত ও বিরূপ প্রোপাগাণ্ডা চালায়। ইসলামের ইতিহাসে দেখা গেছে, প্রকৃত আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত ছাড়া অন্য যে দলই নিজেকে হক দাবি করে বাকী সবাইকে কুফুরী, শিরকী ও নীতিহীন-আদর্শচ্যূত বলে তোহমত দিয়েছে। সময়ে দেখা গেছে, এরা নিজেরাই গোমরাহ মুলহিদ ও জিন্দিক হয়ে গেছে। অনেক শক্তি ও সামর্থ থাকা সত্তে¡ও তারা ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এটি দুঃখজনক হলেও সাময়িক ও হালকা চালের একটি দৃশ্য। মূলত প্রকৃত ইসলামী দলগুলো একই উৎস থেকে আগত। বাংলা প্রবাদে আছে, ‘নানান বরণ গাভী রে ভাই, একই বরণ দুধ/জগত ভ্রমিয়া দেখি, একই মায়ের পুত’। ইসলামপন্থিদের গুটিকয় লোক নানা কারণে কনভেনশন ভেঙে এদিক সেদিক গেলেও তাদের মনের গভীরে থাকে দীনের জন্য কাজ করার জযবা। তাই বড়দের দেখেছি, ছোটখাট বা সাময়িক কিছু নিয়ে আপনদের গালমন্দ করেননি, দূরে সরিয়ে দেননি। ডেকেছেন, কথা বলেছেন, ইতিবাচক ফলাফল পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কারণ, যত মত ও পথই হোক না কেন ইসলামী শক্তি দিনের শেষে একই ছাদের নীচে এসে আশ্রয় নেয়। যে ছাদটি প্রিয় নবী সা. তার উম্মতদের মাথার ওপর নির্মাণ করে দিয়ে গেছেন। তবে, রাজনীতির ঊর্দ্ধে এদেশের তাওহীদি জনতা বিশাল এক অদৃশ্য মহাঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ। ১৫ কোটি কালেমা পড়া মুসলমান, যে যে সাইনবোর্ড নিয়েই ইহজীবনে চলুক, ঈমান ইসলাম ও আল্লাহ রাসুলের সরল আহ্বানে তারা সবাই একই আবেগে বিনে সুতোয় বাঁধা একটি মালার মত। যদি কেউ কোনো কারণে দলছুট হয়, আসলে তারা মন থেকে হয় না। ভেতরগত চিরস্থায়ী সম্পর্কের ফলে প্রয়োজনে সীসা ঢালা প্রাচীরের মতো হয়ে যায়। পবিত্র কোরআনে যে কথাটি মহান আল্লাহ বলেছেন, তার মতো।

এখন নির্বাচনী মৌসুম চলছে। এবারই প্রথম বড় দুই জোট আর প্রধান দলগুলো তাদের পরিচয় নানা কারণে অস্পষ্ট বানিয়ে ফেলেছে। যা এদেশের মুসলমানের জন্য অনেক বড় অর্জন। হিমালয়ান উপমহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ ইসলামিক স্কলার শাহ্ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী রহ. এর দর্শন ছিল ‘ফাক্কু কুল্লি নিজাম’ অর্থাৎ প্রচলিত সব রীতি ভেঙে নতুন করে গড়ে তোলা। আওয়ামীলীগ তার ইমেজ বদলাবার বহু চেষ্টা করেছে। বারবার বলেছে, ‘ইসলামবিরোধী কোনো আইন করা হবে না। ইসলামী শিক্ষা সর্বস্তরে বাধ্যতামূলক করা হবে। টঙ্গি ইজতেমার জায়গা বঙ্গবন্ধু দিয়ে গিয়েছিলেন, সামনে রেজিষ্ট্রি করে দেওয়া হবে। কাকরাইল মসজিদের জায়গা বরাদ্দ দিয়েছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশন স্থাপন ও বায়তুল মোকাররম মসজিদের কাজ সম্পন্ন করেছেন। শেখ হাসিনা ইসলামি আরবী বিশ্ববিদ্যালয় করেছেন। সারা দেশে নানাভাবে হাজার হাজার আলেমের কর্মসংস্থান করেছেন। কওমী সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন। হেফাজতে ইসলামের সাথে বৈরিতা কমিয়ে তাদের আস্থায় আনার চেষ্টা করেছেন। দেশব্যাপী নানা ইসলামী দল ও সংগঠনকে রাজনৈতিকভাবে আওয়ামী বলয়ে জায়গা করে দেওয়ার বিশাল পরিকল্পনা নিয়েছেন।’ এভাবে বললে আরও বহু কথা পাওয়া যাবে। যা তার দল ও জোটকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেয় যে, ইসলামপন্থীদের সাথে লড়াই করার চেয়ে তাদের সাথে নমনীয় আচরণ ও বন্ধুত্ব রাজনীতির জন্য ভালো। এক্ষেত্রে আল্লাহকে খুশি করার বিষয়টি প্রাধান্য পাওয়ার যোগ্য। কেননা, ক্ষমতা ও জীবন চিরস্থায়ী নয়।

সবাইকেই একদিন চলে যেতে হবে। আল্লাহর দরবারে সকল কাজের হিসাব দিতে হবে। তাই, রাজনীতির বাইরেও নিজেদের পরকাল নিয়ে সবারই চিন্তা করা অবশ্য কর্তব্য। কেননা, আল্লাহর ক্ষমা, দয়া ও মাগফেরাত ছাড়া ছোট বড় কেউই আখেরাতে মুক্তি পাবে না। জান্নাতে যেতে পারবে না। একই কথা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ক্ষেত্রেও সমান সত্য। যেমনটি সত্য বড় ছোট সব দল ও জোটের ক্ষেত্রে।

উল্লেখ্য যে, দেশের নানা কর্ণার থেকে ইসলামী ব্যক্তিত্ব বাছাই করে আওয়ামীলীগ নেত্রী আসন দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন। তিনি শাইখুল হাদীস রহ. এর সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনী হিসাব নিকাশ বদলে যাওয়ায় তিনি কথা রাখতে পারেননি। ইসলামী দলের সাথে অনেকগুলো আসন দেওয়ার কথা নিজেই বলেছিলেন। এর মন্দ প্রভাব গত একযুগ ধরে আওয়ামীলীগের ওপর ছায়া বিস্তার করে আছে। এবারকার বহু আশা অঙ্গীকার তাকে আরও বেশি দায়বদ্ধ করে ফেলেছে। পট পরিবর্তনে এসবের ভুমিকা খুবই গভীর। পরিস্থিতি পাল্টে গেলে মানুষ যখন আশাহত হয়, তখন তারা তাদের ত্যাগ ও হারানো সম্মান ভুলতে পারে না। এসব বঞ্চিত মানুষ তখন লাভের চেয়ে ক্ষতির কারণ হয় বেশি। এখানে একটি কথা খুব স্পষ্ট করে বলতে চাই, শত্রুরা যতই চেষ্টা করুক, বাংলাদেশে ইসলামকে পরাজিত করতে পারবে না। মুসলমানদের দীন থেকে বিচ্যূত করতে পারবে না। তাদের হাজারো চেষ্টা ব্যর্থ হবে, এদেশের সাধক নির্লোভ আল্লাহওয়ালা দুনিয়াবিমুখ তাকওয়াবান লাখো উলামা মাশায়েখের আদর্শিক জীবন সংগ্রামের ফলে। তাদের সহস্র ষড়যন্ত্র মাকড়সার জালের মতো ছিন্ন হয়ে যাবে, খোদাভীরু সরল সহজ ঈমানদার কোটি তাওহীদি জনতার ধর্মপ্রাণ জীবনবোধের কারণে। এদেশের সাড়ে ৪ লাখ মসজিদ ও নামাজঘর, লাখো মকতব মাদরাসা, হাজারো খানাকাহ দরবার যতদিন মানুষকে ইসলামী রঙে রঞ্জিত করতে থাকবে, ততদিন আরোপিত আর কিছু এদেশের মানুষের জীবনে স্থান করে নিতে পারবে না। ফেতনা আসবে, যাবে, কিন্তু খুঁটি গাড়তে পারবে না। ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী দল বিএনপি তার জন্মলগ্ন থেকে ধর্মপ্রাণ মানুষকে বিশেষত অধিকাংশ আলেম উলামাকে আকৃষ্ট করতে পেরেছিল। যার অনেকটাতেই আওয়ামীলীগ এখন ভাগ বসাতে চাইছে। এমনকি বাম প্রগতিশীল নাস্তিক্যবাদী পারসেপশনওয়ালা নেতারাও বিএনপির সাথে ফ্রন্ট করে এখন নামাজ টুপি বিসমিল্লাহ জিয়ারত ইনশাআল্লাহ ইত্যাদি ইসলামী ঐতিহ্য ধারণ করছেন। সবই আমি পজিটিভ দৃষ্টিতে দেখতে চাই।

কিন্তু বিএনপি তার বিগত সময়ে আলেম উলামা ও ধর্মপ্রাণ মানুষের সমর্থন যে পরিমাণ পেয়েছে তার সামান্যও ফেরত দেয়নি। যেমন, বিএনপির মধ্যে গত ৩০/৪০ বছরে ধার্মিকদের ভোটের আনুপাতিক হারে ইসলামী ব্যক্তিত্ব, আলেম, পীর মাশায়েখ, এমপি মন্ত্রী উপদেষ্টা নেতা বা কর্মকর্তা আতসী কাঁচ দিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না। অপরদিকে জাতীয় পার্টিতে এ ধরনের লোক কিছু তুলনামূলক বেশি পাওয়া যাবে। সবচেয়ে বিষ্ময়ের ব্যাপার এই যে, অভাবনীয়ভাবে এ ধরনের কিছু লোক আওয়ামীলীগে পাওয়া যাবে। আওয়ামীলীগে বিগত শাসনামলে এমপি মন্ত্রী নেতা উপদেষ্টা ইফা ডিজি ইত্যাদি স্থানে আলেম উলামা বসানোর কিছু নজির এমন আছে যা বিএনপি দেখাতে পারেনি। ২০ দলীয় জোটেও ইসলামপন্থীরা বেশ বৈরিতা মোকাবেলা করে ছিলেন ও আছেন। কিছু লোক তো বেরিয়েই গিয়েছেন। এতে যতনা বাইরের প্ররোচনা ছিল, ভেতরের অবহেলাও তারচেয়ে কম ছিল না। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে অনেক আলেম ও মুফতি এমপি হয়েছিলেন। শাইখুল হাদীস আল্লামা আজিজুল হক ও মুফতি আমিনী জেল খাটায় দেশব্যাপী বিএনপিকে জেতানোর আবেগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু পরের ৫ বছর ৬০/৭০ জন লোক মন্ত্রী হলেও দেশবরেণ্য এসব আলেমের কেউই কিছু হতে পারেননি। শেখ হাসিনা ৪ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে রাজনীতির স্বার্থে মন্ত্রী মর্যাদায় উপদেষ্টা বানিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বেগম জিয়া সারা দেশের ইসলামপন্থীদের খুশি করার জন্য শাইখুল হাদীসকে উপদেষ্টা বানাতে পারেননি। মুফতি আমিনী, মুফতি ওয়াক্কাস, মুফতি শহীদুল ইসলাম প্রভৃতি ব্যক্তিত্বের কাউকে মন্ত্রী বা প্রতিমন্ত্রী বানাননি। জোটের বৈঠকেও তাদের ‘সম্পদ নয় বোঝা’ বলে খোঁটা দেওয়া হয়েছে বলে শোনা গেছে। যার ফলে আলেম উলামারা আওয়ামীলীগের দিকে ঝুঁকে পড়ার বিষয়ে ভাবার প্রেরণা পেয়েছেন।

অথচ, আচরণগত অবহেলা বাদ দিলে বিএনপির অবদান এদেশের ইসলামী মূল্যবোধের ক্ষেত্রে অতুলনীয়। বিশেষ করে সংবিধানের মূলনীতিতে ৯২ ভাগ মানুষের আশা-আকাঙ্খার প্রতিফলন ‘আল্লাহর ওপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস’ স্থাপন বিএনপিরই অবদান। যা এক পাল্লায় রাখলে অন্যান্য সব দলের ইসলামী কাজ কর্মের চেয়েও বিএনপির এ পাল্লাটিই ভারী হয়ে যাবে। এমন আরও কিছু কাজ বিএনপির আছে। আলোচনা দীর্ঘায়িত হবে বলে সব বলা গেল না। তবে মূল বক্তব্য এখানে এটিই যে, যদি নির্বাচন সঠিক সময়ে হয়, তাহলে সব বড় দল ও উভয় জোটের কাছে আমাদের আবেদন থাকবে, ইসলামের জন্য বিচ্ছিন্ন কাজ কর্ম বা আন্তরিকতাপূর্ণ কিংবা আন্তরিকতাবিহীন অবদান তেমন কোনো কাজে আসবে না। জনগণ সবকিছু বোঝে, তারা বেশ সচেতন হয়ে গেছে। কান্না আর মায়া কান্নার পার্থক্য তাদের চেয়ে বেশি আর কেউই বোঝে না। অতএব, দেশের ভাব দেখানো ধনিক বণিক এলিটদের আসন তো দিতেই হবে, দলীয় নেতাকর্মীদেরও জায়গা করে দিতে হবে, তবে সাধারণ ধর্মপ্রাণ মানুষের আপনজনদের ভুলে যাওয়া যাবে না। তাদের জন্য সব দল ও জোটের কমপক্ষে ১০% আসন বরাদ্দ রাখার চেষ্টা করতে হবে। যারা চলতি শীত মৌসুমেই গড়ে ৭/৮ কোটি মানুষকে তাদের ওয়াজ নসীহত শোনাবেন। যাদের জুমার খোতবা, মাদরাসার বয়ান, দরবারের মাহফিল দেশের কোটি কোটি ভোটারকে মোটিভেট করবে। বিশেষ করে রবিউল আউয়াল মাস ব্যাপী ও আগে পরে চলবে মহানবী (স.) এর মিলাদ, সিরাত, দাওয়াত ও জীবনভিত্তিক হাজারো ঘরোয়া ও লাখো অনুষ্ঠান, মাহফিল ও নানা আয়োজন। উৎসব মুখর এর নবী জীবনী অনুষ্ঠানগুলোতে আলোচনায় আসবে নানা ব্যক্তি ও দলের ধর্মীয়ভাব ধারা নিয়ে বহু চর্চা ও অনুশীলন। ভোটের মৌসুমে এসব থেকে মানুষ আশাতীত প্রভাবিত হবে।

আমার কথা কেউ অন্য অর্থে নেবেন না। আমি সংবাদ, সমাজ গবেষণা ও ধর্মপ্রচার বিষয়ে জীবনের বড় একটি অংশ ব্যয় করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি যে, আগামী দিনের বাংলাদেশ পরিণত হচ্ছে একটি আধুনিক ইসলামী রাষ্ট্র ও সমাজের মডেলে। একথাটি দেশের অন্যতম মনীষী সমাজবিজ্ঞানী বেশ আগে থেকেই বলে এসেছেন। হচ্ছেও তাই। অতএব, উভয় জোটসহ বড় সব দলকে বলছি নমিনেশন, দলগঠন, মন্ত্রিসভা বা উপদেষ্টা পরিষদ তৈরির সময় তাওহীদি গণমানুষের আপনজনদের কথা বিস্মৃত হবেন না। যাদের গণসংযোগ ও অনুসারীর নেটওয়ার্ক রাজনীতিবিদদের চেয়েও বহুগুণ বেশি ও বড়। তারা যখন কাছে আসতে চান, তখন অবহেলায় দূরে ঠেলে দেওয়া কারো জন্যেই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। কারণ, দেশীয় রাজনীতি তার গতিপথ দ্রুত বদলে চলেছে। সময়ে সবাই দেখতে ও বুঝতে পারবেন। আমরা একটু আগেই বলে রাখলাম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (38)
Ameen Munshi ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৩৪ পিএম says : 0
স্যার উবায়দুর রহমান খান নদভী এত সুন্দর একটি লেখার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
Total Reply(1)
নদভী ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৫৩ এএম says : 4
আপনাদের সবাইকে অনেক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ।
Anas Bhuiya ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৩৬ পিএম says : 0
শতভাগ সঠিক বলেছেন। আসলে প্রত্যেক মুসলমান নিজের ভেতরে লুকয়ে থাকা ঈমানি চেতনাকে প্রাধান্য দিলে চলমান সমস্যা কেটে যাবে। কৃতজ্ঞতা।
Total Reply(0)
আ: হামিদ ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৩৯ পিএম says : 0
আসলে বিষয়টা নিয়ে ভাববার বিষয়। অনেক অনেক ভালো লাগলো।
Total Reply(0)
আসমা বেগম ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৪৩ পিএম says : 0
আল্লাহ ও তার রাসুলের (স.) পথে ফিরে আসাতেই সব সমস্যার প্রকৃত সমাধান মিলবে।
Total Reply(0)
Abdulllah Al Mamun ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৪৫ পিএম says : 0
এই দেশ ইসলাম প্রিয় মানুষের দেশ,েউড়ে এসে জুড়ে বসা কোনো নাস্তিক-মুরতাদদের দেশ নয়। মুসলিম হিসেবে আমরা সবাই এক।
Total Reply(0)
সাইফ ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:০৮ পিএম says : 0
আল্লাহ নদভী সাহেব ও ইনকিলাব সংশ্লিষ্ট সকলকে এর উত্তম প্রতিদান প্রদান করুন। বিশ্লেষন ধর্মী এবং সময় উপযোগি যে লেখা আপনি লিখেছেণ এটা একটা সময়ের দাবি, এবং সত্য কথা, আমি ধন্যবাদ জানাই মরহুম বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান কে (আল্লাহ ওনার প্রতি রহম করুন) তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে যে উপকার করে গেছেন, সেটা কেবল দ্বীনে ইসলামের জ্ঞ্যান পিপাসুরাই বলতে পারবে। আর করেছেন ইজতেমার জন্যে জায়গা দিয়ে, অনুরুপ ভাবে তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা ও দ্বীন ইসলামের আলেম ওলেমাদের জন্যে যে সব কাজ করেছেন তার জন্যে অনাকে অনেক ধন্যবাদ। সব সেশে সব কিছুর জন্যে মহান আল্লাহর দরবারে আলহামদু লিল্লাহ বলি, এবং দোয়া করি যাদেরকে আমাদের রাষ্ট্রের পরিচালক হিসেবে তিনি নির্বাচিত করবেন তাদেরকে এবং আমাদের সকলকে হেদায়েত নসিব করুন। এবং আমাদের দেশকে রক্ষা করুন সকল বাতেনি, মুনাফেকি, খাওয়ারেজি ফিতনা থেকে।
Total Reply(0)
Miraz Ali ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:১৩ পিএম says : 0
স্যার, যথার্থই বলেছেন।
Total Reply(0)
Ala uddin ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৪৮ পিএম says : 0
সহমত।
Total Reply(0)
মিজানুর রহমান তোতা ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৩৩ পিএম says : 0
প্রিয় লেখক নদভী ভাই, সময়োপযোগী এবং সুন্দর লেখাটির জন্য ধন্যবাদ। প্রাণের কথা লিখেছেন।
Total Reply(0)
জুলফিকার আলী ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৭ পিএম says : 0
বাংলাদেশের রাজনীতি ইসলামী চেতনা ও ভাবধারা বজায় রেখেই করতে হবে। 92 ভাগ মুসলমানের দেশে জাতির ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার বাইরে গিয়ে কোন পলিটিক্স এই দেশে জনগণ পছন্দ করে না এবং কখনোই সাপোর্ট করবে না। সুতরাং যারাই এই দেশে যে দলের সাইনবোর্ডে পলিটিক্স করুন না কেন ইসলামী ভাবধারার বাইরে গিয়ে বা ইসলামকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে কোন ধরনের গ্রাউন্ড তৈরি করতে পারবেন না। দৈনিক ইনকিলাবকে এমন একটি সময়োপযোগী লেখা উপহার দেবার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সম্পাদক বাহাউদ্দীন ভাই আগে অনেক ভালো ভালো লেখা কমেন্ট্রি লিখতেন এখন লিখছেন না কেন?
Total Reply(1)
Mohosin ali raju ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:০৬ এএম says : 4
িসম্পাদক সাহেব ব্যস্ত । ইনকিলাবের গুরুত্বপূর্ণ লেখাগুলো উনার নির্দেশনাতেই লেখি আমরা ।
রুবাইয়াত ফরহাদ খান ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৫৩ পিএম says : 0
Anti Islamic politics will not sustain in this country under any circumstances.It is high time for our political leaders to realise the young generation thought process. Some of the newspapers and online blogs trying to portray an anti Islamic political class but they have failed time and time again very miserably. Bangladesh is surely heading towards a very moderate Islamic country and this is an undeniable truth.
Total Reply(0)
আতিকুর রহমান ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:৫৫ পিএম says : 0
বাংলাদেশ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের দেশ। তারা অন্তর থেকেই ধর্মকে ভালোবাসে। তাই অবশ্যই দেশের সকল রাজনীতিবিদকে ও দলকে ইসলামি ভাবধারাকে গুরুত্ব দিতে হবে। ধোকাবাজি করলে চলবে না। লেখাটি অনেক সুন্দর হয়েছে।
Total Reply(0)
রাকিব হাসান ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:০০ পিএম says : 0
আমি মনে করি, দেশের সকল রাজনীতিবিদদের ভেতরেই ধর্মীয় অনুভূতি কাজ করে। কিন্তু তারা দুনিয়াকে দ্বীনের ওপর প্রাধান্য দেয়ায় পথচ্যুত হন। এজন্য পরকালীন মুক্তিকেই বড় করে দেখতে হবে।
Total Reply(0)
Monir hussain ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:০১ পিএম says : 0
একমাত্র ইসলামই পারে জাতির এই ক্রান্তিলগ্নে সঠিক দিকনির্দেশনা দিতে।
Total Reply(0)
Sarfaraz Ahmed ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:০২ পিএম says : 0
The very idea of the creation of this Nation was built under heavy influence of Islamic society, But in course of time politics has tried to change their uh ideology. ..Bangladesh is a very safe and prosperous,,. because it is the real mentality of its citizens. Amongst all the South East Asian countries Bangladesh is the only place where all the religious people has lived thousands of years without any massive conflict. this was only possible because of the strong Islamic believe that the mass people has and the respect towards other religion has always played a big role in this peace process. Political parties now when it is time for the election has put on the religious hat. If the nation has to to proceed towards true prosperity this believe of Islamic society has to sustain. So I think ok this writing was an excellent piece of of literature for all the political leaders to read.. and act accordingly.
Total Reply(0)
Md sharif Ahmed ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১০ পিএম says : 0
I am 100% agree with you. Thanks for this commentary.
Total Reply(0)
Rahat Parvez ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১৩ পিএম says : 0
বাম-নাস্তিকরা যাই বলুক না কেন মনে রাখতে হবে, এই ভূখণ্ড সৃষ্টি হয়েছে কেবল ইসলামের জন্য। সুতরাং রাজনীতিবিদদের অবশ্যই ইসলামকে প্রাধান্য দিতে হবে। নতুবা আস্তা কুড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
Total Reply(0)
Khadiza Begum ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:১৮ পিএম says : 0
Islam is a complete Code of life. This should be only policy for a muslim politician.
Total Reply(0)
Anwarul Hoque Anwar ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:২২ পিএম says : 0
সময়োপযোগী বিশ্লেষন। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ বাস্তব কথা তুলে ধরার জন্য।
Total Reply(0)
Syed Mohammed ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:২৪ পিএম says : 0
We are standing in a pivotal moment of history. Anything might happen now. Whatever happens in the political field will not change the idea of the people of Bangladesh towards Islam. The political Legacy of both of the big parties has changed time and time again, but only they have success previously when they have tried to read the the mentality of the Mars people. Secularism or any other ISM will not work in this country. As a law abiding patriotic citizen I will not vote tour party which which Phase to read my mind and l r same. AL and their party members have made a fortune out of our pocket, it is high time for them to pay the price back to the country. I think no religious Shield will protect them from getting battered under scrutiny of the international community. On the other hand BNP has lost its credibility toward helping the nation to prosper as their previous history of governance its policies and diplomacy portrays. Maybe a new non political government can take us forward.
Total Reply(0)
Azizul Haque ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:২৭ পিএম says : 0
আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ইত্যাদি কেউই ইসলামবিরোধী শক্তি নয় মানছি, তবে তারা ইসলামবিরোধী শক্তি দ্বারা ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়ে থাকেন।
Total Reply(0)
Mosharraf ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:৩২ পিএম says : 0
লেখকের কাছে এই ধরনের আরও লেখা আশা করছি।
Total Reply(0)
anwarul hoque anwar ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:০৬ পিএম says : 0
সময়োপযোগী পোস্ট। বাস্তবচিত্র প্রকাশ পেয়েছে। লেখককে ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
Nurbahar ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:১৫ পিএম says : 0
Without Islam politics is impossible.Thanks Nodvi Sahel for your valuable commentary.
Total Reply(0)
Mirza Attaullah ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:১৯ পিএম says : 0
বাংলাদেশ ইসলামিস্ট পলিটিক্স এর সব চেয়ে দুর্ভাগ্য এই যে বুদ্ধিবৃত্তিক আলোচনা এবং কারিশমা টিক লিডারশিপ এর অভাবে তা 50 বছর পিছিয়ে গেছে। আমাদের দেশের ইসলামিক ঘরানার রাজনীতিটি মেইনস্ট্রিম দুই দলের হাতে ভাগ হয়ে চলে গেছে। কিছু দরবারী আলেম আর কিছু তোষামোদকারী ইসলামিক নেতা মেনস্ট্রিম দুটি পলিটিক্যাল পার্টির কাছে নিজেদের বিকিয়ে দিয়েছেন। আমাদের জনগণ কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে এখন এই দুই মেইনস্ট্রিম পার্টির পিছনে বোকার মতো হাঁটছে।যারা এ দেশ নিয়ে চিন্তা করেন এবং এই দেশের ভবিষ্যৎ আমাদের ছেলেমেয়েদের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দেন তাহলে অবশ্যই জানবেন যে এ দেশের ভবিষ্যৎ একটি মডারেট মুসলিম দেশের দিকেই এগুচ্ছে।বিএনপি অথবা আওয়ামী লীগ যে ভবিষ্যতে ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে আম বাম নাস্তিক এদের হাত ধরে কোনো লাভ হবে না।
Total Reply(0)
রাহাবার ইসলাম ১২ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:২৩ পিএম says : 0
আল্লাহ তাআলা যাকে রাজা বানাতে চান আর যাকে ভিক্ষুক বানাতে চান তা শুধু এক হুকুমেই করেন। ভবিষ্যতে কে রাজা হবেন আর কে দুঃখ খাবেন তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল ক্ষমতার উৎস।
Total Reply(0)
Munshi ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৪ এএম says : 0
Thanks for this commentary.
Total Reply(0)
Abdul Hakim Rahat ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১৯ এএম says : 0
ইসলাম এদেশের মাটিতে মিশে আছে তাই বলতেছি যে মাটি কে উৎখাত করতে যাবে সে নিজেই উৎখাত হয়ে যাবে সবাই ভেবেচিন্তে আগামীর পথ চলেন
Total Reply(0)
Ah Saju ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:০০ এএম says : 0
জাযাকাল্লাহ খায়ের
Total Reply(0)
MAHMUD ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৫৯ এএম says : 0
Dear Sir, thank you very much for your good commentary and thanks the daily INQILAB. Life and death hands of ALLAH, like as only Switch of ISLAM directly control by ALLAH, so nobody have any power to "switch off" the ISLAM. I pray for all MUSLIM, try to live by the Islamic law. May ALLAH bless you(writer).
Total Reply(0)
Mohosin ali raju ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:০২ এএম says : 0
সময় ও বাংলাদেশের কোটি প্রাণের অব্যক্ত কথাগুলো গুছিয়ে বলার জন্য ধন্যবাদ ্শ্রদ্ধেয় লেখক । এই ধরণের আরও লেখা চাই ....আল্লাহ আপনার নেক হায়াত বরকতপূর্ণ করুন । -মহসিন রাজু বগুড়া । -
Total Reply(0)
মুহা. শহিদুল্লাহ ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:২২ এএম says : 0
ধন্যবাদ, স্যার। আপনার আর্টিকেলটি সময় উপযোগি ও বাস্তব সম্মত যা সবাকে চলার পথে ভাবালুক করিয়া তুলিবে। আশা করি। ধন্যবাদ আরো একবার
Total Reply(0)
Billal Hosen ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:৩২ এএম says : 0
এই সংবাদটুকু যাতে সবাই জানতে পারে এই ব্যবস্থা করার জন্য মাননীয় সম্পাদককে আহ্বান জানাই। শতভাগ সঠিক বলেছেন। আসলে প্রত্যেক মুসলমান নিজের ভেতরে লুকয়ে থাকা ঈমানি চেতনাকে প্রাধান্য দিলে চলমান সমস্যা কেটে যাবে। কৃতজ্ঞতা।
Total Reply(0)
abdur razzaque ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:২৯ এএম says : 0
ইনকিলব এই অসাধারন লেখাটি তাদের বহুল প্রচারিত পত্রিকায় ছাপিয়ে আশাহত দেশবাসীকে আশার আলো দেখানোর জন্য আন্তরিক অভিনন্দন । লেখককে অনেক অনেক ধন্যবাদ সত্যিই তিনি নকিবের ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁর লেখার কলেবর বৃদ্ধি পায় বলে তিনি হয়ত লিখতে পারেন নাই - হযরত আল্লাম আজিজুল হক সাহেব কেন চারদল থেকে চৌদ্দ দলে গেলেন আর চৌদ্দ দলের সরকার নিরাশ করায় তিনি মনোকষ্ট নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়েছেন। কেন আমিনী হুজুর গৃহবন্দি থাকা অবস্থায় ইন্তকাল করলেন । কেন শাহ বাগের জাগরণকে উৎসাহিত করার জন্য বলা হয়েছিল আমি এখানে আছি আমার মন চলেগেছে শাহবাগে। সেদিকে খেয়াল রেখে বিচারকরা যেন রায় দেন। কেন লক্ষকোটি জনতার নয়নের মণি আল্লামা সঈদী জেলখানায়। কেন হক্কানী আলেমগন মনখুলে কোরআনের কথা বলতে পারছেন না।
Total Reply(0)
হাফিয সাব্বির আহমদ ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ২:০৫ পিএম says : 0
জনাব উবায়দুর রহমান খান নদভীর লেখাটি দু’বার পড়লাম। তাঁর এই বুদ্ধিবৃত্তিক ও সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ জানাই। ভারতীয় উপমহাদেশের মাটি শত শত বছর ধরে ইসলামের উর্বরভূমি। পীর মাশায়েখ ও আলেম উলামাদের মেহনতের দ্বারা এ মাটি তৈরি হয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটকে উপজীব্য করে লেখা এই কলামটি কয়েকটি কারণে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ দেশে নির্বাচনের বড় নিয়ামক শক্তি সংখ্যাগরিষ্ট মুসলমান। ভোটের মাঠে এই শক্তি যে দলের প্রতি মোড় নেয় সে দলই বিজয়ী হয়। এটা বারবার প্রমাণিত। এই হিসাব মনে রাখলে বাংলাদেশে বর্তমানে প্রধান দুটি জোটকে ইসলামি শক্তির প্রতিনিধিত্বকারী আলেম উলামাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করতেই হবে। যখন যারাই আলেম উলামাদের সঠিক মূল্যায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন তাদেরকে চরম মাশুল দিতে হয়েছে। আমরা লেখকের মতো আশাবাদি আ.লীগ ও বিএনপি এই দুই জোট তাঁর ১০% এর প্রস্তাবনাটি আমলে নিবেন। যারাই এ প্রস্তাবনাটি আমলে নিবেন তারা নিঃসন্দেহে সফলকাম হবেন।
Total Reply(0)
Hasan Zayed ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:০৭ পিএম says : 0
সময়োপযোগী বিশ্লেষন। লেখককে অসংখ্য ধন্যবাদ বাস্তব কথা তুলে ধরার জন্য। Thanks...Thanks......Thanks Sir.......
Total Reply(0)
Md.Jahangir Alam ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৫৪ পিএম says : 0
সময়োপযোগী লেখার জন্য ধন্যবাদ।
Total Reply(0)
monirul islam ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৯ পিএম says : 0
akbarer din e elahi darbare muftigon silen,sultan sulemaner darbare shaikhul islam silen,haler middle east muslim rulerder killing,injustice,corruption,autocratic activityr favoure fatoa dewar alemer kamti nai.amaderdeshe jumar boyane halal-haramer kotha ja bola hoy.tar cheye beshi toshamod kora hoy powerful leaderer/donerer (most of them are corrupted). honesty,sincerity, halal ruji ibadat kobuler purbasarta hole koyjoner kobul hoy ? kholafaye rashedar por emon ke asen jake model hisabe chelemeyeder kache tule dora jabe? borong nasarader deshe onek kiso OIC desher cheye bhalo.(rule of law,changing system of leader,humanity).kajei akherater kota cinta kore doniate amon systeme chalte hobe jate musolman sresto jati hisabe poricito hoy.
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন