শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সম্পাদকীয়

ট্রেনে অনিয়ম রোধে পদক্ষেপ নিন

| প্রকাশের সময় : ১৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

নিরাপদ এবং স্বল্প খরচে পরিবহনের একটি মাধ্যম হচ্ছে ট্রেন।বাংলাদেশের অধিকাংশ জেলায়, বলতে গেলে প্রায় ৪৪টি জেলায় ট্রেন চালু আছে। স¤প্রতি চার রুটে বুলেট ট্রেনের ঘোষণাসহ ট্রেন উন্নয়নকল্পে, পুরনো ইঞ্জিন অপসারণের লক্ষ্যে কোরিয়া থেকে ৭০টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ ক্রয়ের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যদিও কাঠামোগত এত উন্নয়ন হচ্ছে, এর সুফল সাধারণ যাত্রীরা পাচ্ছে না। কেননা পরিচালনায়ই রয়েছে অনেক ত্রুটি। যার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের। টিকিট কেনায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যাত্রীদের। যদিও আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট এক সপ্তাহ আগে থেকে বিক্রি শুরু হয়। সাধারণ যাত্রীরা যথাসময়ে আসার পরও বুকিং দিতে পারে না। কয়েকটি দালালচক্র এবং রাজনৈতিক দলের প্রভাবে অধিকাংশ টিকিট কিনে নিয়ে তাদের আয়ত্তে রেখে দেয় এবং পরে তারা এই টিকিটগুলো যাত্রীদের কাছে চড়া দামে বিক্রি করে। ফলে যাত্রীরা নিরুপায় হয়ে বেশি টাকা দিয়ে টিকিট কিনতে বাধ্য হয়। আন্তঃনগর ট্রেন ছাড়া স্বল্প খরচে যাতায়াতের জন্য রয়েছে মেইল বা লোকাল ট্রেন, যা গরিব এবং সুবিধাবঞ্চিত যাত্রীদের জন্য খুবই সহায়ক। তারা এ সুফল ভোগে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। যাত্রীদের এতে অনেক সমস্যায় পড়তে হয়। কিছু নামধারী যুবলীগ, শ্রমিক লীগের নেতা এবং কিছু অসাধু পুলিশ ট্রেনের বগিগুলো দখল করে রাখে, যার কারণে যাত্রীরা টিকিট নেওয়ার পরও তাদের দ্বিতীয়বার টাকা দিয়ে সিট কিনতে হয়। যারা টাকা দিতে পারে না তাদের উপায় থাকে দুটি- হয় দীর্ঘপথ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে যাওয়া অথবা ট্রেনের ছাদে ওঠা। যার কারণে পত্রিকায় প্রতিনিয়ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে মারা যাওয়ার ঘটনা দেখতে পাই। সাধারণ যাত্রীরা যদিও এসব ব্যাপারে রেল কর্তৃপক্ষের কাছে অনেকবার অভিযোগ করেও তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। তাই রেল মন্ত্রণালয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার মাধ্যমে যাত্রীদের এসব দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দেওয়ার অনুরোধ রইল।
মো. তাওহীদুল হাসান
শিক্ষার্থী, সমাজকল্যাণ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন