যেসব ওষুধ স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে এমন কিছু ওষুধে নিউরোলেপ্টিক মেলিগন্যান্ট সিনড্রোম হয়। তবে স্নায়ুতন্ত্রের উপর কাজ করে এমন সব ওষুধেই সিনড্রোমটি হয়না এবং সব রোগীর ক্ষেত্রে যে সমস্যাটি দেখা দেয় তাও নয়। প্রায় প্রতি ২০০ জনে ১ জনের এমনটি হয়। ৪০ বছরের দিকে এ সিনড্রোম বেশী হয় এবং ১০ ভাগ রোগী মারা যায়।
কেন এমন হয় তা পুরোপুরি জানা যায়নি। তবে ডোপামিন নিউরোট্রান্সমিটার এর গোলাযোগ হয় ওষুধ খেলে। সে থেকে এ সমস্যা হয় বলে জানা গেছে।
যেসব ওষুধ নিউরোলেপ্টিক মেলিগন্যান্ট সিনড্রোম হয় তার মধ্যে আছে।
১। হ্যালোপেরিডল ২। ফেনোথায়াজিন গ্রæপের ওষুধ ৩। লোক্সাপিন ৪। টেট্রাবেনাজিন ৫। মেটোক্লোপ্রামাইড ৬। ফ্লুপেন্থিক্সল ৭। জুক্লোপেন্থিক্সল ৮। এছাড়া আরো কিছু ওষুধেই এমন হতে পারে।
নিউরোলেপ্টিক মেলিগন্যান্ট সিনড্রোমে যেসব উপসর্গ দেখা যায় তার মধ্যে আছে:
১। মাংসপেশী শক্ত হয়ে যাওয়া। ২। খাবার গিলতে কষ্ট হওয়া। ৩। কথা বলতে সমস্যা হওয়া। ৪। হাত কাঁপা। ৫। অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ৬। জ্বর ৭। কথা বন্ধ হয়ে যাওয়া ৮। মানসিক অবস্থার পরিবর্তন ইত্যাদি।
ওষুধ শুরু করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই উপসর্গ শুরু হয়। তবে সবসময় এরকম হয়না। সাধারণত ১ সপ্তাহ সময় লাগে। তারপর উপসর্গ শুরু হয়। ভালভাবে ইতিহাস নিলেই এ রোগ ডায়াগনসিস করা যায়। তার সাথে শারীরিক পরীক্ষা করলে অনেকটাই বোঝা যায়। একেবারে নিশ্চিত হবার জন্য রক্ত পরীক্ষা লাগে। সিরাম সিপিকে এবং এএসটি বেড়ে যায়। এ অসুখের সাথে বেশ কিছু অসুখের মিল আছে। যেমন থাইরটিক্সিক ক্রাইসিস, ফিওক্রমোসাইটোমা ইত্যাদি। যেজন্য কিছু পরীক্ষা করা হয়। নিউরোলেপটিক মেলিগন্যান্ট সিনড্রোমের চিকিৎসা দ্রæত শুরু করতে হবে। না হলে খারাপ পরিণতি হতে পারে। এতে ড্যানট্রলোন ওষুধ ব্যবহার করা হয়। এছাড়া ব্রোমোক্রিপ্টিন, এমানটাডিন, লিভোডাপোও ব্যবহার করা হয়। কিছু ক্ষেত্রে ভেন্টিলেশন লাগাতে পারে তবে সবসময় নয়।
এ সিনড্রোমের কিছু জটিলতা আছে। এখান থেকে হেপাটিক ও রেনাল ফেইলিউর হতে পারে। ডিআইসি এবং রেসপিরেটরি ফেইলিউরও হতে দেখা যায়। সেখান থেকে মৃত্যু ঘটাও অসম্ভব নয়। তাই এ বিষয়ে জানতে হবে সকলকে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন