মঙ্গলবার ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অভ্যন্তরীণ

ভূঞাপুর-ঘাটাইল সংযোগ সড়ক : ৫২ বাঁকের ১৩ কিলোমিটারে খানাখন্দক

প্রকাশের সময় : ২৭ জানুয়ারি, ২০১৬, ১২:০০ এএম

আতাউর রহমান আজাদ, টাঙ্গাইল থেকে : টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-ঘাটাইল সংযোগ সড়কের ১৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ রাস্তায় ৫২টি বাঁক পূর্ব থেকেই ছিল মরণ ফাঁদ। আর এই ৫২ বাঁকের মরণ ফাঁদের সড়কে দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে সমস্ত সড়ক জুড়েই সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দের। দেখা দিয়েছে বড় বড় গর্তের। হয়ে পড়েছে যান চলাচলের অনুপোযোগী। জনপ্রতিনিধি থেকে সাধারণ মানুষের কাছে এটি যেন আর সড়ক নয় তা যেন গলার কাটা! ভূঞাপুরের শিয়ালকোল থেকে ঘাটাইলের স’মিল রোড পর্যন্ত ১৩ কিলোমিাটারের সড়কটি দুই উপজেলার মানুষের যাতায়তের জন্য বহু পুরাতন ও অন্যতম একটি সড়ক। ঘাটাইল উপজেলার লৌহজং নদীর দুবলাকূড়ী অংশে একটি ব্রিজ তৈরির পর বেড়ে যায় এই সড়কে যান চলাচলের। ওই দুই উপজেলার মানুষসহ মধুপুর, জামালপুর ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের মানুষ স্বল্প সময়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে উত্তর বঙ্গের সাথে যাতায়তের জন্য বেছে নেয় এই সড়কটি। এই সড়কে ছোট-বড় ৫২টি বাঁক থাকার পরেও প্রায় ৩৫ কিলোমিটার রাস্তা কমে যাওয়ায় জীবনের ঝুঁকি নিয়েই চলাচল করতো বিভিন্ন ধরনের যানবাহন। কিন্তু বিগত ৪ বছর ধরে ওই রাস্তাটির কোন প্রকার সংস্কার কাজ করেনি কর্তৃপক্ষ। যার ফলে সড়ক জুড়ে খানাখন্দের সৃষ্টিসহ তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্তের। সড়কটি হয়ে পড়েছে যান চলাচলের অনুপোযোগী। এলাকাবাসী নানা সময়ে জনপ্রতিনিধ ও কর্তৃপক্ষের নিকট সড়কটির সংস্কার কাজের দাবি জানালেও তা এখনো বাস্তবায়ন করেনি কর্তৃপক্ষ। বাধ্য হয়ে চলাচলরত সাধারণ মানুষ প্রাচীন এই সড়কটি নিয়ে আক্ষেপ করে বলেন ৫২ বাঁকের ৫৩ হাজার গর্তের সড়ক! ঘাটাইল উপজেলার চেংটা গ্রামের জাহাঙ্গীর তালুকদার বলেন, এই সড়কটিকে আর সড়ক না বলাই ভাল। এটি এখন ৫২ বাঁকের ৫৩ হাজার গর্তের কষ্ট। আগে প্রতি সপ্তাহেই ছুটিতে বাড়ি আসতাম এখন রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রতি সপ্তাহে আসতে মন চায় না। এ সড়কে একদিন যাতায়ত করলে পরেরদিন রেস্ট নিতে হয়। ভূঞাপুর উপজেলার পলিশা গ্রামের সিএনজি চালক মালেক বলেন, ঘাটাইল-ভূঞাপুর রোডের আগে ভাড়া ছিল বিশ টাকা আর এখন ভাড়া ৪০-৫০টাকা। তাইলে বুঝেন কেমন রাস্তা! ঘাটাইল উপজেলা চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম সামু বলেন, সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলীকে সমন্বয় কমিটির সভাসহ বিভিন্ন সময়ে এই সড়কটির সংস্কার ও বাঁক অপসারণ করে জনগণের ভোগান্তী লাঘবের অনুরোধ করে আসলেও এখন পর্যন্ত কোন কার্যকরি পদক্ষেপ গৃহীত হয়নি। মূলত এলাকাবাসী জানায়, নি¤œমানের উপকরণ দিয়ে কাজ করায় দ্রুত সড়কটি নষ্ট হয়ে গেছে এবং তার স্বদিচ্ছার অভাবেই প্রাচীন ও গুরুত্বপূর্ণ সড়কটি এখন জনগণের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন