মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

আমনের বাম্পার ফলনের আশা

ঝিনাইগাতী (শেরপুর) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

ঝিনাইগাতীতে সকল প্রতিব্ধকতা কাটিয়ে চলতি আমন মৌসূমে ধানের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে শেষ পর্যন্ত ফলন ভালই হবে বলে কৃষকদের সাথে আলাপ করে জানা গেছে। মৌসুমের শুরুতেই পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কৃষক আশংকায় ছিল আমনের ফলন বিপর্যয়ের। কিন্তুু পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হলেও পড়েছে ঘন কুয়শা। আর তাতে যথেষ্ট কাজে লেগেছে আমন ফসলের জন্য। সরেজমিন ঝিনাইগাতী উপজেলায় কৃষকদের সাথে আলাপকালে তারা আশা প্রকাশ করেন লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অধিক ফলনের। ঝিনাইগাতী উপজেলার শালচুড়া গ্রামের বড় কৃষক সরোয়ারদী দুদুম্ডল, রাংটিয়া গ্রামের আ: রহমান মাষ্টার, আহাম্মদ আলী, বন্দভাট পাড়া গ্রামের রুস্তম আলী, প্রতাব নগর গ্রামের আশ্রাব আলী, খলিলুর রহমান, জড়াকুড়া গ্রামের মো: শামছুল হক, সালধা গ্রামের সেকান্দর আলী ও শাহজাহান প্রমূখ। তারা শেষ মূহুর্তে ফসলের অবস্থা দেখে ভাল ফলনের আশা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যেই আমন ধান কাটা - মারাই শুরুও হয়ে গেছে। ক্ষেতের ফসলের মাঠ দেখে কৃষকের মূখে হাসি দেখা গেলেও বাজারে ধানের দাম না পাওয়ায় সে হাসি ম্লান হয়ে যাচ্ছে। উপজেলার ধানী এলাকা সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, সব মাঠে মাঠে এখন সবুজের সমারোহ। যা দেখে যে কারো প্রাণ জুড়িয়ে যায়। অনেক মাঠে আবার সোনালী ধানের ছড়া-যেন বাতাসে হেলে-দুলে পড়ছে। অনেক ধানেই পাক ধরেছে, আবার বেশ কিছু ধান পাকার পর তা কাটাও শুরু করেছে কৃষক। ফলনও ভালই হচ্ছে। একরে ৪০/৪৫মন। তবে বাজারে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে ৫৬০ টাকা মন দরে। তাই মাথায় হাত পড়েছে কৃষকের। অনেকেই আক্ষেপ করে বলেছেন ‘ধানের বাজার এমন কম হলে তাদের উৎপাদন খরচতো উঠবেইনা- বরং লোকসান গুনতে হবে। এ ভাবে আমাদের কৃষকদের আর বাঁচার কোন পথই থাকছে না। আমাদের দেখার কেউ নেই। আমরা যেন ইয়াতিম। নচেৎ উচ্চ মূল্যে সার-বিষ আর শ্রমিক খাটিয়ে এ ভাবে পানির দরে ধান বিক্রি করতে হয়? এ ভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন রাংটিয়ার কৃষক আ: রহমান মাষ্টার, শালচুড়ার দুদু ম্ডল, বন্দভাট পাড়ার রুস্তম আলী প্রমূখ। এ ব্যাপাওে ঝিনাইগাতী উপজেলা কৃষি অফিসারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- চলতি আমন মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ১৪হাজার ৭শ’ ৩৫ হেক্টর। আবাদ হয়েছে ১৫হাজার ১শ’ ৪০ হেক্টরে , যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশী। তিনি ও বাম্পার ফলন হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। তবে বাজারে ধানের দাম নেই এ ব্যপারে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন