বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

‘আল্লাহু আকবর’ বলে সেজদা দেওয়ায় বিজয়ী কুস্তিগিরকে পরাজিত ঘোষণা করলো রেফারী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:১৪ পিএম

সম্প্রতি একটি রেসলিং প্রতিযোগিতায় তুরস্কের বিজয়ী এক কুস্তিগিরকে পরাজিত ঘোষণা করেছে ঐ প্রতিযোগিতার রেফারী।
আনাস উসুলু নামের তুর্কি এক কুস্তিগিরের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো এক রাশিয়ান। দ্বৈত এ প্রতিযোগিতায় রাশিয়ার এই প্রতিযোগীর বিপক্ষে বিজয়ী হবার পরে আনাস উসুলু আল্লাহর কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আল্লাহু আকবর বলে সেজদা দেয়ায় অন্যায় ভাবে তাকে বিজয়ীর বদলে পরাজিত ঘোষণা করে।

তুর্কি রেসলিং ফেডারেশন রেফারির এধরণের অনৈতিক সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।

ফেডারেশনের চেয়ারম্যান বলেছেন, আনাস সেমিফাইনালে ৬-০ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ফাইনালে নিশ্চিত বিজয়ী হওয়ার ক্ষণ গণনা করছিলো কিন্তু যখন সে আল্লাহু আকবর বলে সেজদা দিয়ে ফাইনালে অংশগ্রহণ করে, দুঃখজনকভাবে সে ২-০ রেটিং এ পিছিয়ে পড়ে আর কোটের রেফারী তাকে পরাজিত ঘোষণা করে। এটা কুস্তির নিয়মের মধ্যে পড়েনা। আনাসের আরো সুযোগ ছিলো, সময়ও ছিলো।

সবশেষে তিনি আনাসকে কোরআনের এই আয়াত দিয়ে সান্ত্বনা দেন “হীনমন্য হয়ো না, দুঃখ করোনা, বিজয়ী তুমি হবেই যদি বিশ্বাস রাখতে পারো” – সূরা আল ইমরান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (17)
Nizam Uddin ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ১০:০৭ পিএম says : 1
Momin jodi sotto badi hou, obossoyi Allah bijoy dan korben.
Total Reply(1)
Ramzan Hossain ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ২:১৮ পিএম says : 4
আল্লাহ স্বয়ং আল ক্বুরআনে ফরমানঃ Walam yakul lahoo waliyyum minaz-zulli wakabbirhu takbira"ওয়া কাব্বিরহু তাকবীরাঃ তাঁর (আল্লাহ তাআলার) মাহাত্ম্য সসম্ভ্রমে বর্ণনা করতে থাক।
Abdul ২১ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:০৮ পিএম says : 1
Alhamddullah
Total Reply(0)
Towhid chy ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২০ এএম says : 1
brother'you will start to next
Total Reply(0)
Selim Reja Siddiki ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২২ এএম says : 1
মুসলিমরা যতদিন এক না হবে ততদিন এভাবে অন্যায়ের শিকার হবে। অভিনন্দন এই খেলোয়াড়কে।। সে আমাদের মুসলিমদের কাছে বিজয়ী ।
Total Reply(0)
Hossain Shohagh ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৩ এএম says : 1
সমস্যা নাই দুনিয়ায় আমাদের কাছে আর আখেরাতে আল্লাহ কাছে বিজয়ী
Total Reply(0)
Zahid Hasan ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৪ এএম says : 1
Amago niberchon komishaner erup kaj e korbe....
Total Reply(0)
N Hoque Shobuz ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৫ এএম says : 1
আল্লাহু আকবর। নিশ্চয়ই আপনি বিজয়ী
Total Reply(0)
Towhid chy ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৬ এএম says : 1
brother'you will start to next
Total Reply(0)
Habib ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:২৮ এএম says : 2
Ata Dhormo Obomanonar Samil
Total Reply(0)
Husein ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:২১ এএম says : 1
এরাই আসল বীর । আল্লাহুয়াকবার । বিজয় তোমাদের হবেই
Total Reply(0)
ছালেক ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:১৫ এএম says : 1
সাবাস তুমিই আসল বিজয়ী
Total Reply(0)
জায়নুল ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ১:১২ পিএম says : 1
মুসলিমরা যতদিন এক না হবে ততদিন এভাবে অন্যায়ের শিকার হবে। অভিনন্দন এই খেলোয়াড়কে।। সে আমাদের মুসলিমদের কাছে বিজয়ী ।
Total Reply(1)
ramzan ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ২:৩৪ পিএম says : 4
•স্বয়ং আল্লাহ তাআলা পবিত্র ক্বুরআনে "আল্লাহু আকবার" বলার জন্য নিম্নোক্তভাবে ফরমানঃ •ওয়াকাব্বিরহু তাকবীরাঃ অর্থাৎ তাঁর(আল্লাহ তাআলার)মহাত্ম্য সসম্ভ্রমে বর্ণনা করতে থাক।
Md. Reza ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ২:০৬ পিএম says : 1
Allah-hu Akbar. You are Great.
Total Reply(0)
Ramzan Hossain ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ২:৪১ পিএম says : 1
• স্বয়ং আল্লাহ তাআলা পবিত্র ক্বুরআনে "আল্লাহু আকবার" বলার জন্য নিম্নোক্তভাবে ফরমানঃ • ওয়াকাব্বিরহু তাকবীরাঃ অর্থাৎ তাঁর(আল্লাহ তাআলার)মহাত্ম্য সসম্ভ্রমে বর্ণনা করতে থাক।
Total Reply(0)
shahin khan ২২ নভেম্বর, ২০১৮, ৬:৪৬ পিএম says : 1
allhau akbar
Total Reply(0)
muhammad ashraful islam ২৩ নভেম্বর, ২০১৮, ৮:০৩ পিএম says : 1
we like to enjoy that restling in vidieo form
Total Reply(0)
Sheikh Ramzan Hossain Jibun Nahar ৩০ মে, ২০২২, ৭:০৮ এএম says : 0
আসলে রেফারি তুর্কিবীর আনাস উসুলুকে জাহেরিভাবে পরাজিত ঘোষণা করলেও বাতেনিভাবে আনাসকে বিজয়ী ঘোষণা করেছেন। জাহেরিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করলে বড়জোর একটা সোনার কাপ পেতেন-তার দাম কি ১০(দশ) দুনিয়ার যা দাম (প্রতি করা, গন্ডা, কানি, একর জায়গার দুনিয়াবী মূল্য গড়ে ১লাখ টাকা কিংবা ১০০ ডলার ধরা হলে দশ দুনিয়ার জমির সমপরিমাণ জমি বিক্রি করলে কত ডলার পাওয়া যাবে যার তুলনায় কুস্তির প্রাপ্য গোল্ডকাপের দাম অতি নগন্য অতি তুচ্ছ বটে। কাল কেয়ামতের পর, কঠিন হাশরের কঠিন হিসাবের সময় কোনো কারণে যদি আনাস কুস্তিগীরের আমলনামাতে নেকি কমতি থাকে, হতে পারে দুনিয়াবী এই পরাজয় ঘোষণার উসিলায় আল্লাহ পাক উনার সন্মানী আওয়াজ (আল্লাহু আকবার-আল্লাহ বড়, আল্লাহ মহান) এর উসিলায় সব গুনাহকে নেকিতে পরিণত করে অন্ততঃ সর্বনিম্ন জান্নাত হলেও নসীব করতে পারেন এটা অসম্ভব কোনো ব্যাপার নয় মহান আল্লাহর জন্য। উল্লেখ্য, মধ্যযুগের অআরবের এক বাদশাহ আয়োজন করেছিলেন রাজকীয় কুস্তি প্রতিযোগিতা। তাতে অংশ নেন রাজার পক্ষ থেকে এক রাজকীয় কুস্তিগীর। তার সাথে লড়ার জন্য রাজ্যের শীর্ষস্থানীয় দূর্ধর্ষ কুস্তিগীর, তাদের মধ্যে ছিলেন এক জীর্ণশীর্ণ কুস্তিগীরও এ যেন হাতির সাথে মশার লড়াইয়ের খাহেশাত। রাজার কুস্তিগীর একে একে সব সেরা সেরা কুস্তিগীরকে পরাজিত করতে করতে এবার পালা ঐ জীর্ণশীর্ণ কুস্তিগীরের সাথে অসম লড়াইয়ের। উপস্থিত জনতার জন্য অসম এ কুস্তি পরম কৌতুহলের সাথ দেখার বিষয় ছিল। সবার চোখ ঐ জীর্ণশীর্ণ কুস্তিগীরের দিকে। রাজার কুস্তিগীর প্রস্তুত হলেন লড়ার জন্য। দুই কুস্তিগীর যখন মুখোমুখি হলেন তখন জীর্ণশীর্ণকার কুস্তিগীর রাজার কুস্তিগীরের কানে কানে কি যেন বল্লেন। অতঃপর শুরু হলো বহুল প্রত্যাশিত কুস্তি লড়াই। দর্শকদের ধারণা ছিলঃ বড়জোর কয়েক সেকেন্ড টিকবে এ লড়াই, অথবা শুরুতেই বিপজ্জনক দফারফা। কিন্তু না, লড়াই চলছিল অনেকক্ষণ অনেকটা পেশাদার, খ্যাতনামা লড়াকুর মতই। মনে হচ্ছিল রাজার কুস্তিগীর মাছি, আর জীর্ণশীর্ণকার তথাকথিত কুস্তিগীর বীর পালোয়ান। এক পর্যায়ে ঐ কুস্তিগীর কুপোকাৎ করে দেন রাজার কুস্তিগীরকে অনেকটা নাটকীয়, অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ভাবে পরাজিত করে দেন। এতে রাজার মাথায় পড়ে বড় ধরনের বজ্রপাত। কেন এমনটা হলো? জীর্ণশীর্ণ প্রতিযোগীই বা কোন্ সাহসে দুর্ধর্ষ কুস্তিগীরের আছাড় খেতে আসার এহেন তামান্না, এহেন কোশেশ। অআবার কেনই বা এহেন অসম লড়াই অবিশ্বাস্য বিজয় লাভ। এর হাকিকাত বা রহস্যই বা কি হতে পারে? জনমনে দেখা দেয় দারুন ভাবান্তর। বাস্তব ঘটনাটি হচ্ছে এইঃ জীর্ণশীর্ণ কুস্তিগীর আসলে বিজয়ী হওয়ার জন্য লড়তে আসেননি। বিজয়ীর পুরস্কার বা স্বর্ণের মেডেল পাওয়ার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু কোন্ সাহসে? এটাও একটা প্রশ্ন বটে। সাহসটা আর কিছু নয়। সাহসের উৎসঃ তিনি আহলে বাইতি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এটিই এহেন সাহসের অনুপ্রেরণা, উৎসাহ। আওলাদে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ইয়াকীন বিশ্বাস ছিল এই যে, রাজার কুস্তিগীরকে এই পরিচয় দিলে তিনি (রাজকীয় কুস্তিগীর) কখনও তাঁকে পরাজিত করবেন না, বরং নিজেই পরাজিত হবেন যদি থাকে নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রতি এশক এবং মহব্বত। এ ভরসা নিয়ে তাঁর কুস্তি লড়াই। যাহোক, রাজার কুস্তিগীর যখন জানলেন, এ কুস্তিগীর যেমন তেমন কুস্তিগীর নন, খোদ তিনি আহলে বাইতি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। না না, কখনও সম্ভব নয় উনাকে ধরাশায়ী করে দুনিয়াবী যশ, দুনিয়াবী গোল্ড মেডেল কিংবা রাজার সন্তোষভাজন অর্জন। বরং এসব কুরবাণী করে আহলে বাইতি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইজ্জত রখা ঈমানী দায়িত্ব-এই ভেবে রাজার কুস্তিগীর মাঠেই সিদ্ধান্ত নিলেন এবার তিনি পরাজিত হবেন। কিছুক্ষণ লড়াইয়ের নামে সময় ক্ষেপন করে ধপাস করে গেলেন পড়ে রাজাসহ উপস্থিত দর্শকদের সামনে। রাজা লজ্জিত হলেন, দর্শক আর্শ্চাম্বিত আশ্চাম্বিত হলেন সত্য, কিন্তু করার কিছু নেই। পুরস্কারটি অগত্যা গছিয়ে দিতে হলো ঐ জীর্ণকায় কুস্তিগীরের হাতে। তিনি মূল্যবান পুরস্কারটি অনেকটা বগলদাবা করে বাড়ী ফিরলেন এই অআশায় এটি বিক্রি করে ক্ষুধার্ত অআহলি বাইতের পরিবারের অন্ততঃ দিন কয়েক আহার যোগানো যাবে। বিঃদ্রঃ (ক) জীর্ণকায় কুস্তিগীর রাজার কুস্তিগীরকে কুস্তি শুরুর আগে কানে কানে যে কথাটি বললেন তা ছিল এইঃ আমি আহলে বাইতি রসূলের একজন। আমার পক্ষে সম্ভবপর নয় ভিক্ষা চাওয়ার। আমার পরিবার ক্ষুধার্ত। আমাকে যদি বিজয়ী করেন, তাহলে পুরস্কার বেচে পরিবারের জন্য আহার যোগাড় করতে পারবো। (খ) রাজার পোষা পরাজিত কুস্তিগীরের রাজকীয় চাকুরী গেল বটে, আখেরাতে হয়তো বড় ধরণের পাওনার আশা করতে পারেন। কিন্তু দুনিয়াতে কি হারালেন, কি পেলেন। রাজার বদান্যতা হারালেন বটে, সোনালী (গোল্ডেন) অআখেরাত হয়তো অপেক্ষমান কিন্তু দুনিয়াবী কি পেলেন ঐ রাজকীয় কুস্তিগীর। তিনি কিছুই পান নি, যা পেয়েছিলেন তা ছিল বেলায়েত, মারেফাত। ফলে তিনি অচিরে পরিণত হয়েছিলেন জগদ্বিখ্যাত ওয়ালী উল্লাহতে। (এ মুহুতে রাজা, রাজার কুস্তিগীর এবং অআহলে বাইতের নাম এই মুহুর্তে মনে আসছে না বলে দুঃখিত-পরবর্তীতে ইনশাআল্লাহ জানানো হবে। وَمَا تَوْفِيقِي إِلَّا بِاللَّـهِ ۚ And my success (in my task) Can only come from Allah. Sūra 11: Hūd (The Prophet Hūd), Ayat: 88, Verses 123 — Makki; Revealed at Makkah — Sections 10 About QuranYusufAli.com
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন