শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশের উন্নয়নে ডেনমার্কের নতুন কর্মসূচি

প্রকাশের সময় : ৩ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কূটনৈতিক সংবাদদাতা

দারিদ্র্য দূরীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন, সুশাসন ও অধিকারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশে পাঁচ বছরের উন্নয়ন অংশীদারিত্ব কর্মসূচি চূড়ান্ত করেছে কোপেনেহেগেন। ডেনমার্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টিয়ান জেন সেন এ সংক্রান্ত পাঁচ বছরমেয়াদি একটি উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচির অনুমোদন দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়ার জন্যে গৃহীত ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ। ঢাকাস্থ ডেনিশ দূতাবাস এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্য আয়ের দেশে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকারের নেয়া ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন পাঁচ বছরমেয়াদি এ উন্নয়ন সহযোগিতা কর্মসূচি শুরু হবে ২০১৬ সালের শেষ দিকে। সরকারি পর্যায়ে চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য ডেনিশ দূতাবাস অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সঙ্গে আলোচনা শুরু করবে।
ঢাকাস্থ ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হ্যান ফুগল এসকায়ের বলেন, ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ২০১৩-২০ ও ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য সামষ্টিক, দারিদ্রিক ও টেকসই উন্নয়নের ওপর জোর দেয়ার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে ডেনমার্কের এ পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মসূচি একটি পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবে।
ডেনিশ দূতাবাস জানায়, ডেনমার্ক দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে, সামাজিক ক্ষমতায়নের প্রচেষ্টাগুলোকে সহযোগিতার মাধ্যমে এ উন্নয়ন কর্মসূচিটি বাংলাদেশের মানুষের জন্য সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে সহায়তা করবে। বাংলাদেশ গত এক দশকে সামাজিক ও অর্থনৈতিক সূচকে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। পরবর্তী পাঁচ বছরে ডেনিশ উন্নয়ন প্রচেষ্টার মূল ক্ষেত্রগুলো হবে দারিদ্র্য বিমোচন, জলবায়ু পরিবর্তন, সুশাসন ও মানবাধিকার। এটি একটি সমন্বিত প্রচেষ্টার অংশ যেখানে বাংলাদেশ সরকার, উন্নয়ন সহযোগীরা, সুশীল সমাজ ও প্রাইভেট সেক্টর সম্পৃক্ত থাকবে।
উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দানের ক্ষেত্রে ডেনমার্ক ছিল প্রথম কয়েকটি রাষ্ট্রের মধ্যে অন্যতম। এর মধ্যে অনেক ঘটনাবহুল সময় পার হয়েছে এবং দৃঢ় অংশীদারিত্বের মাধ্যমে দুই দেশ ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। তবে এখনো বাংলাদেশ বেশ কিছু সমস্যার মোকাবিলা করছে। ডেনিশ উন্নয়ন প্রচেষ্টা সারা দেশে ভালো ফলাফল অর্জন করেছে। ত্রিশ লাখ কৃষকের যাদের মধ্যে অর্ধেকই নারী তাদের উপার্জন ও খাদ্য নিরাপত্তার উন্নতি হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামোগত উন্নয়নের মাধ্যমে লাখ লাখ মানুষের জন্য স্থানীয় বাজার ও দুর্যোগ কেন্দ্রগুলোতে প্রবেশ সহজ হয়েছে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন