সাংগঠনিক কর্মতৎপরতা বৃদ্ধি, সংসদ নির্বাচন কিভাবে করা হবে, সাত দফা দাবি আদায় এবং নির্বাচনে করণীয় বিষয়সমূহ নিয়ে গতকাল নগরীর কাদিরগঞ্জস্থ একটি কমিউিনিটি সেন্টারে বিশেষ বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়। মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে সভায় সভাপতিত্ব করেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল। প্রধান অতিথি ছিলেন সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মিজানুর রহমান রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সহিদুন্নাহার কাজী হেনা, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয়তাবাধী শিক্ষক ফোরামের (সাদা দল) সভাপতি প্রফেসর এনামুল হক ও জাতীয়তবাদী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর মাসুদুল হাসান খান মুক্তা।
বিএনপি’র সাংগঠনিক সকল ওয়ার্ডের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, বিএনপি, অঙ্গ ও সহেযাগী সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিনু বলেন, নদীতে বাঁধ দিয়ে যেমন পানিরোধ করা যায়না, তেমনি বিএনপিকে বাধা দিয়েও গণজোয়ার রোধ করা কোনদিন যায়নি এবং ভবিষ্যতে যাবেনা। এই নির্বাচন গণতন্ত্রের মানস কন্যা, বিএনপি’র চেয়ারপার্সন দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিএনপি, ২০ দলীয় জোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের বিজয় নিশ্চিত করতে হলে প্রতিটি সেন্টার কঠোরভাবে পাহারা দিতে হবে। সেন্টার রক্ষিত থাকলে ২০০ এর বেশী আসন বিএনপি পাবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, বিশেষ এলাকার কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার জন্য অপতৎপরতা চালাচ্ছে। পুলিশ জনগণের বন্ধু। অতএব পুলিশকে ভয় করে নির্বাচনী মাঠ ছেড়ে ঘরে বসে থাকলে চলবে না। প্রতিটি সেন্টার পাহারা দেওয়ার জন্য প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডে নির্বাচনী কমিটি গঠন করতে হবে। সেইসাথে নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত সকল থানা এবং ওয়ার্ডের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মাঠে থাকার নির্দেশনা প্রদান করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন