উত্তর : আপনার পাওয়া টাকা নিজে খরচ করা ঠিক হয়নি। যখন সুযোগ হবে টাকাটি যার তার নামে উপযুক্ত স্থানে দান করে দেবেন। আর আপনি নিজেই যদি দান গ্রহণের মতো ব্যক্তি হয়ে থাকেন, তা হলে আবার দান করতে হবে না। ওই ব্যক্তির জন্য সওয়াবের দোয়া করতে থাকুন। ব্যক্তিটি অমুসলিম হলে তার জন্য হেদায়াত এবং পার্থিব কল্যাণের দোয়া করবেন। এখন আসুন, টাকা পাওয়ার মাসয়ালা জেনে নেয়া যাক। কুড়িয়ে পাওয়া টাকা বা বস্তু নিজে না উঠানোই ভালো। কেননা, এতে দায়-দায়িত্ব নিজের কাঁধে এসে যায়। অন্য কেউ এ দায়িত্বভার নিজের কাঁধে নিক। পারতপক্ষে আপনি নেবেন না। যদি টাকা বা বস্তু নষ্ট হওয়ার ভয় থাকে, আর আপনি নিজেকে দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্ত মনে করেন, তা হলে মালিক তালাশ করে তার হাতে পৌঁছে দেয়ার নিয়তে তুলতে পারেন। এরপর ক্ষেত্রবিশেষে কমপক্ষে দুই বছর অথবা বেশি এ টাকা নিজের কাছে হেফাজত করে রাখতে হবে এবং যথাসাধ্য ঘোষণা চালিয়ে যেতে হবে, যেন মালিকের কাছে এ খবর পৌঁছার সুযোগ হয়। নির্দিষ্ট সময় পার হওয়ার পর টাকা বা বস্তুটি মালিকের আমলনামায় সওয়াব পৌঁছানোর নিয়তে দান করে দিতে হবে। এরপর যদি মালিক পাওয়া যায়, তা হলে তাকে টাকা দিতে আপনি বাধ্য নন। তবে, অভাবী লোক হলে আর আপনার সঙ্গতি থাকলে টাকাগুলো দিলে অফুরন্ত সওয়াব হবে। যাকে শরিয়তে ইহসান বলা হয়। অবশ্য এটা নিতান্তই ঐচ্ছিক ও মানবিক ব্যাপার। আইনগতভাবে এ টাকা ফিরিয়ে দেয়ার কোনো তাগিদ নেই।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন