বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

তুর্কি পার্লামেন্ট উত্তপ্ত বিতর্কিত বিল নিয়ে

প্রকাশের সময় : ৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১০:২৫ পিএম, ৩ মে, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : তুরস্কের পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ও বিরোধী কুর্দি পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (এইচডিপি) সদস্যদের মধ্যে ফের মারামারি হয়েছে। গত সোমবার একেপির পক্ষ থেকে আনা একটি বিতর্কিত বিলকে কেন্দ্র করে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, কয়েক দিন ধরেই বিলটি নিয়ে তুর্কি পার্লামেন্টের ক্ষমতাসীন একে পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস পার্টির মধ্যে তুমুল তর্কযুদ্ধ চলে আসছিল। বিলটি আলোচনার টেবিলে ওঠামাত্র বিরোধী দল তীব্র প্রতিবাদ জানাতে শুরু করে। ক্ষমতাসীন দল চায় বিচারপতি এবং প্রসিকিউটরদের সর্বোচ্চ বোর্ডকে বিচার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনতে, যাতে বিচারপতি ও প্রসিকিউটর নিয়োগের ব্যাপারে সরকারের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হয়।
বিলে পার্লামেন্ট সদস্যদের ‘বিচার না করার আইন’ বাতিলের প্রস্তাব করা হয়েছে। টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, সরকারি দলের সদস্যরা বিরোধী এইচডিপি সদস্যদের ওপর চড়াও হয়েছেন এবং টেবিলের ওপর উঠে তাদের লক্ষ্য করে ঘুষি এবং পানির বোতল ছুড়ে মারছেন। এ সময় বেশ কয়েকজন পার্লামেন্ট সদস্য আহত হয়েছেন। এর আগে ওই বিল নিয়ে আলোচনার সময় দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এর আগে গত সপ্তাহে এ বিল নিয়ে সংসদে দুই পক্ষের মধ্যে মুষ্টিযুদ্ধ হয়েছিল।
সরকারি দল বিলটি জাতীয় সংসদে তোলার পর বিরোধী দল এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছে। বিলটি পাস হলে সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগে কুর্দিস্তান পিপলস পার্টির কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে বিচার-প্রক্রিয়া শুরুর পথ খুলে যাবে। তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েব এরদোগান এইচডিপিকে নিষিদ্ধ ঘোষিত কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টির (পিকেকে) গেরিলাদের ‘বাহু’ বলে মন্তব্য করেছেন। একই সঙ্গে তিনি দলটির সদস্যদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ভারতের লোকসভায় একটি বিল পাস নিয়ে গত বৃহস্পতিবার কয়েকজন এমপির মধ্যে মারামারি, মরিচ গুঁড়ো নিক্ষেপ, ছুরি প্রদর্শন এবং কম্পিউটার ও গ্লাস ভেঙে ফেলার ঘটনার পর তুর্কি পার্লামেন্টের এই ঘটনা বিশ্বমিডিয়ায় আলোচনার ঝড় তুলেছে। তুর্কি পার্লামেন্টে দুই দলের এমপিদের মারামারি ও রক্তপাতের খবর ও ছবি প্রকাশ করেছে বিশ্বের বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়া। বিবিসি, এএফপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন