শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

মেঘনার বুকে যন্ত্রদানব

রামগতি (লক্ষীপুর) সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ২৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

লক্ষীপুরের রামগতিতে মেঘনানদী থেকে অবৈধভাবে বলু উত্তোলনের উৎসব চলছে। ফলে ভাঙন তীব্রতা আরো বেড়ে শুষ্ক মৌসুমেও বিলীন হচ্ছে ফসলিজমি, ঘরবাড়ি ও জনপদ। হুমকিতে রামগতি উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স। এতে স্থানীয় মানুষের মাঝে চাপাক্ষোভ বিরাজ করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আলেকজান্ডার ইউনিয়নে রামগতি উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সামনে মেঘনানদী থেকে ড্রেজার মেশিনের মাধ্যমে প্রতিদিন লাখ লাখ ফুট বালু তুলছেন জনৈক মাইন উদ্দিন।
স্থানীয় প্রভাবশালী দলের নেতা ও প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মাসের পর মাস বালু তোলা হচ্ছে।
এতে নদীর আশপাশ ভেঙে দ্রুত বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি। বালুর স্তূপ থেকে পানি গড়ে ফাটল ধরে ভাঙছে নদী। এছাড়া বাতাসে বালু উড়ে আলেকজান্ডার-সোনাপুর সড়কে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা পড়ছে বিপাকে। এদিকে রামগতি উপজেলার মেঘনানদীর ভাঙনরোধে ২শ’ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প চলমান। ওই প্রকল্প সংলগ্ন রামগতি স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের সামনে থেকে দেদারছে তোলা হচ্ছে বালু। বালু উত্তোলনের ফলে ভাঙন আরো তীব্র আকার ধারণ করে। ফলে আতঙ্কে রয়েছে নদীপাড়ের হাজার হাজার মানুষের।
স্থানীয়দের অভিযোগ উপজেলা প্রশাসন, প্রভাবশালী ও কতিপয় রাজনৈতিক নেতার আশ্রয়ে অবৈধবালু ব্যবসায়ীর কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এলাকার বড় ধরণের ক্ষতির কাজ করছে। যার ফলে সরকারের নদী ভাঙনরোধ প্রকল্পের কোটি কোটি টাকা ভেস্তে যাচ্ছে। স্থানীয়রা আরো জানান, রাতের আঁধারে মেঘনা নদীর মাঝ থেকে জাহাজ ভর্তি বালু তোলে সকালে পাড়ে তা নামানো হচ্ছে।
স্থানীয় আলী আকবর, মামুনুর রশিদ, আলী মাঝি, কোরবান আলীসহ অসংখ্য ভুক্তভোগীরা জানান, সরকার নদী ভাঙনরোধে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যদিকে, বালুসন্ত্রাসীদের বালু উত্তোলনের ফলে আমাদের জায়গাজমি ও বসতভিটি একের পর এক নদীতে বিলীন হচ্ছে। প্রকাশ্যে বালু উত্তোলন করে যাচ্ছেন তারা। প্রশাসনের দুর্বল নজরদারিতে বালু উত্তোলন হচ্ছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান স্থানীয়রা।
অভিযুক্ত বালুউত্তোলনকারী মাইন উদ্দিন বলেন, চাঁদপুর ও মেঘনানদীর মাঝ থেকে বালু এনে আমরা ব্যবসা করি। স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালী দলের নেতাকর্মীদের ম্যানেজ করে কাজ করছি।
রামগতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রফিকুল হক জানান, মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ড্রেজার মেশিনসহ সব ধরণের কাজ বন্ধ রাখতে বলেছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন