শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

সমুদ্রের পানি সল্প খরচে খাওয়ার উপযোগী করার প্রযুক্তি আবিস্কার ভারতীয় বিজ্ঞানীদের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ৯:০২ পিএম

পানীর খোঁজে আর তল্লাশ করতে হবে না মানুষকে। ভূ-গর্ভের গভীরে একটি শিলাস্তর থেকে আরেকটি শিলাস্তরে নেমে যৎসামান্য পানি দেখে আর হতাশ হয়ে পড়তে হবে না। আধুনিক সভ্যতার কল্যাণে এবার এসব বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে যাচ্ছে মানুষ। দুরূহ এসব কাজ সম্ভব করে তুলেছেন ভারতীয় বিজ্ঞানীরা। অসম্ভব লবণাক্ত সমুদ্র বা মহাসাগরের পানিকে খাওয়ার উপযোগী করতে প্ল্যান্ট বানিয়ে তা শোধন করা হবে দেশটিতে। যা বিশ্বে প্রথম। আর পানির উৎপাদন খরচ হবে প্রতি লিটারে মাত্র ৬৫ পয়সা থেকে ১ টাকা!
চেন্নাইয়ের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ওশন টেকনোলজি (এনআইওটি)-র একটি গবেষকদলের বানানো ওই প্ল্যান্টের নাম- ‘লো-টেম্পারেচার থার্মাল ডিস্যালিনেশন প্ল্যান্ট’ বা, ‘এলটিটিডি’। শুধুই ভাবনায় বা গবেষণাপত্রে না রেখে, ইতিমধ্যেই তারা সেই প্ল্যান্ট বসানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন লাক্ষাদ্বীপের ‘কারাভাত্তি’, ‘মিনিকয়’ ও ‘আভাত্তি’ দ্বীপে। এনআইওটি ওই ধরনের আরও কয়েকটি প্ল্যান্ট বসাতে চলেছে লাক্ষাদ্বীপের ‘আন্দ্রথ’, ‘আমিনি’, ‘কাদামাত’, ‘কিলতান’, ‘কালপেনি’ ও ‘চেতলাত’ দ্বীপেও। সমুদ্রমন্থন করে তুলে আনা পানীয় পানি ওই দ্বীপগুলিতে দিনে সরবরাহ করা হবে অন্তত দেড় লক্ষ লিটার করে।
এনআইওটি-র বিশিষ্ট সমুদ্রবিজ্ঞানী রামান্না মূর্তি চেন্নাই থেকে টেলিফোনে এই প্রতিবেদককে বলেছেন, ‘লাক্ষাদ্বীপ লাগোয়া সমু্দ্র-এলাকার ৬০০ মিটার পরিধি থেকে সমুদ্রগর্ভের ৪০০ মিটার নীচ থেকে খুব ঠান্ডা (যার তাপমাত্রা ১২/১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস), অসম্ভব লবণাক্ত পানি তুলে এনে তার সঙ্গে মেশানো যাবে ভূস্তরের পানিকে। প্রায় স্বাভাবিক ঘরের তাপমাত্রায় (২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। এই প্রক্রিয়াতেই সাগরের অসম্ভব নোনা পানি পরিস্রুত পানি হয়ে উঠবে। এমনকি, ৮ থেকে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রাতেও চালানো যাবে সেই প্ল্যান্ট। বিশ্বে এই প্রথম। ফলে, পল্যান্ট চালানোর খরচ অনেকটাই কমবে। সেই পানির দামও কমবে।’
এনআইওটি-র অধিকর্তা আত্মানন্দ জানিয়েছেন, প্রায় ৯৫০ কিলোমিটার পাইপ বসিয়ে দ্বীপ লাগোয়া সমুদ্রের ৬০০ মিটার এলাকার মধ্যে প্রায় ৪০০ মিটার গভীরতা থেকে ওই ঠান্ডা পানি তুলে আনা হবে। যা অসম্ভব লবণাক্ত। ওই গভীর সমুদ্রের পানিতের তাপমাত্রা হবে ১২ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে। তার পর নানা ধরনের ক্লোরাইড ও ক্লোরেট লবণে ভরা সেই পানিকে পরিশোধনের জন্য পর পর পাঠানো হবে নাইট্রেট, নাইট্রাইট যৌগ এবং অক্সাইড ও নাইট্রেট যৌগের প্ল্যান্টগুলিতে। লবণ প্রায় পুরোপুরি শুষে নেওয়ার পর সেই পানিকে পাঠানো হবে ভূগর্ভস্থ পানি রাখা রয়েছে এমন একটি প্ল্যান্টে। সেখানে সমুদ্রের পরিশোধিত পানির সঙ্গে মেশানো হবে ভূগর্ভস্থ পানিকে। পরীক্ষা করা হবে তার গুণমান। তার পর তা সরবরাহ করা হবে। সূত্র: টিওআই।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed mahmud Khan ২৮ নভেম্বর, ২০১৮, ১১:৩৩ পিএম says : 0
In Bangladesh, We are installing Reverse Osmosis plant in the coastal areas where Tube Well water is saline affected and it is costed less than 0.5 taka
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন