টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ থেকে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া যাওয়ার সময় ১০ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে র্যাব-৭। এ সময় আবদুর রহমান নামে এক দালালকে আটক করা হয়েছে। সে সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ মাঝারপাড়ার ফজলুল হকের ছেলে।
উদ্ধারকৃত রোহিঙ্গারা হলেন, মো. জিয়া, রশিদ উল্লাহ, নুর আলম, মো. জাবের, মো. মোকাদেছা, জান্নাত আরা, সেতারা, জোলেখা, রোজিনা, সলিকা। তারা সবাই উখিয়া, কুতুপালং, জাদিমুরা, মৌচনী ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরের বাসিন্দা।
গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়নের শাহপরীর দ্বীপ ঘোলারচর মাঝরপাড়া থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। তাদের মধ্যে ছয়জন নারীও রয়েছেন। তারা সবাই গত বছরের আগস্টের পরে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর অভিযানের মুখে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসেন।
স্থানীয়রা জানান, উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গার অবস্থান। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে শীত মৌসুম শুরুর সঙ্গে সঙ্গে সাগরপথে মালয়শিয়ায় মানবপাচারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পাচারকারীরা। দালালের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা মালয়শিয়া যেতে সাগরের ঝুঁকিপূর্ণ পথে নেমে পড়েছেন। কিছুদিন আগেও ১৪ রোহিঙ্গাকে একই এলাকার সৈকত থেকে উদ্ধার করা হয়। যারা মালয়েশিয়া যেতে দালালদের ২০ হাজার টাকা করে দিয়ে দুদিন সাগরে ঘুরে প্রতারিত করে। কক্সবাজার র্যাব-৭ এর ইনচার্জ মেজর মেহেদী হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাতে সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শাহপরীর দ্বীপের বাসিন্দা আবদুর রহমানের বাড়িতে ওইসব রোহিঙ্গা জড়ো করে রাখা হয়েছে। গোপন সংবাদের খবর পেয়ে র্যাবের একটি দল ওই বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় দালাল বাড়ির মালিক আবদুর রহমানকে আটক করা হয়।
তিনি আরো বলেন, তাদেরকে প্রলোভন দেখিয়ে ১০ হাজার টাকা করে নিয়ে তাদের সেখানে নিয়ে আসেন এবং গভীর সাগরে একটি বড় ট্রলারে তাদের তুলে দেওয়ার কথা ছিল। মালয়েশিয়া পৌঁছার পর আরও দুই লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। এ সময় তাদের উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে মামলা দিয়ে তাদের টেকনাফ মডেল থানায় সোপর্দ করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন