চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ খেলেছিল এক পেসার নিয়ে। সেই পেসার মুস্তাফিজুর রহমান গোটা ম্যাচে বোলিং করেছিলেন কেবল চার ওভার। ম্যাচের আগের দিন সাকিব আল হাসান যা ইঙ্গিত দিয়েছিলেন, তাতে একজন পেসার তো প্রায় নিশ্চিত ধরা হয়েছিল। দুইজনও থাকতে পারতো। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মিরপুর টেস্টের একাদশে দেখা গেল উল্টো চিত্র। গতকাল থেকে শুরু হওয়া টেস্টে পেসার নেই একজনও! ক্রিকেটের অভিজাত আঙিনায় দেড় যুগের পথচলায় বাংলাদেশের এটি ১১২তম টেস্ট। কিন্তু বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়া একাদশ এই প্রথমবার।
২০১৬ সালে এই মাঠেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে এক পেসার নিয়ে খেলেছিল বাংলাদেশ। একমাত্র পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি গোটা টেস্টে বোলিং করতে পেরেছিলেন কেবল ৩ ওভার। শুধু খেলাতে হয় বলেই এবার একজন পেসার খেলানোর মানে হয়তো পায়নি দল।
একমাত্র পেসার মোস্তাফিজকেও ছেঁটে ফেলে যে একাদশ নিয়ে নেমেছে বাংলাদেশ, তাতে ব্যাটিং অর্ডার হয়েছে অনেক লম্বা। আটজন তো কেবল বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যানই আছেন। মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসান হিসেবে থাকবেন অলরাউন্ডার বিবেচনায়। ব্যাটিংয়ে সবচেয়ে দুর্বল যিনি সেই তাইজুল ইসলাম টেস্টে যথেষ্টই আস্থা দেখাতে পারেন ব্যাট হাতে।
হোম অব ক্রিকেটের উইকেট স্পিন বান্ধব, সারাক্ষণই চলে স্পিনের রাজত্ব। তাহলে আর শুধু শুধু একজন পেসার রাখা কেন। সেই ভাবনা থেকেই হয়তো পেসারছাড়াই নেমেছে বাংলাদেশ। টসের পর বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব বলেছেন, উইকেট বেশ শুষ্ক। তারা হয়তো তাই ভেবেছেন, পেস বোলিং এখানে খুব একটা কার্যকর হবে না। সময়ই বলে দেবে, ম্যাচে কোনো পেসারের অভাব সাকিব অনুভব করবেন কিনা।
পেসারবিহীন একাদশ নিয়ে টেস্টে কোন দলের নামা অবশ্যই এটাই প্রথম না। এর আগে একাধিকবার দেখা গেছে এমন ঘটনা। ১৯৬৭ সালে ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে স্পিন চতুষ্টয় নিয়ে নামা ভারতের একাদশে ছিলেন না কোন বিশেষজ্ঞ পেসার।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন