শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

পাবনায় স্কুল ছাত্র হত্যার রহস্য উদঘাটিত

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৫:৪৪ পিএম

পাবনার দুবলিয়ায় স্কুল ছাত্র অনি হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। প্রযুক্তির সহায়তায় এবং ধৃত বন্ধুর স্বীকারোক্তি মোতাবেক এই রহস্য উন্মোচিত হয়। পাবনার সদর উপজেলাধীন দুবলিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী রবিউল প্রামাণিকের পুত্র  আশিক আবির মাহমুদ অনি সোমবার নিখোঁজ হয়। তিন দিন পর তাঁর বাড়ীর কাছে আম বাগানে মধ্যে একটি হলুদ ক্ষেতে হত্যার পর তাকে পুঁতে রাখা হয়। পাবনা আতাইকুলা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: মনিরুজাজামান ইকিলাবের এই স্টাফ রিপোর্টারকে আজ(শনিবার) মোবাইলে জানান, অনি  (জেএসসি পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে) তার বন্ধু জয় এবং আরও কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে জুতার গামের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ে।  অনির পিতা আকাবর প্রমানিক পুত্রের চাহিদা পূরণে তিনটি মোবাইল ফোন কিনে দেন। দুইটি স্মার্ট ফোন এবং একটি এনালগ মোবাইল। আম বাগানের হলুদ ক্ষেতটি ছিল তাদের নেশা করার আস্তানা। মঙ্গলবার মোবাইলে জয়ের বান্ধবীর ছবি দেখতে পেয়ে জয় ক্ষিপ্ত হয়। অনি ও জয়ের মধ্যে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে তাঁকে রাতে ঐ বাগানের মধ্যে পুঁতে রাখা হয়। এই কাজে তাদের অপর এক সমবয়সী বন্ধু সহযোগিতা করায় জয় তাকে একটি মোবাইল ফোন গিফট করে। এই ঘটনার তিনদিন পর পুঁতে রাখা স্থান থেকে অনি’র লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। মাইনর এজের জয় পাবনা  বিজ্ঞ অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছে। হত্যা করে লাশ পুঁতে রাখার কাজে সহায়তাকারীকে পুলিশ খুঁজছে। থানার অফিসার ইনচার্জ সহায়তাকারী নাম জানাতে অস্বীকার করে বলেন, তাহলে সে আত্ম গোপনে চলে যাবে। পুলিশের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। প্রসঙ্গত : আশিক আবির  মাহমুদ অনি (১৪) এ বছর দুবলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে জেএসসি পরীক্ষা দিয়েছিল। নিহত স্কুলছাত্রের মামাতো ভাই পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শাওন রেজা খান জানান, গত সোমবার ২৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় অনি তার পিতার  টিনের ব্যবসার  দোকানে দেখতে গেলে পিতা তাকে বাড়ি যেতে বলেন। সে দোকান থেকে বেড়িয়ে আর ফেরেনি। পরে শুক্রবার আম বাগানের কাছে একটি হলুদ ক্ষেতে শেয়াল কিছু টানাটানি করছে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয় । তাঁরা পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ পুঁতে রাখা  স্কুল ছাত্র  অনির লাশ উদ্ধার করে। উল্লেখ করা যেতে পারে,  পাবনায় কিশোর অপরাধ ও মাদক সেবীদের সংখ্যা বাড়ছে । তাদের দিয়ে অপরাধ করানো হচ্ছে আবার কখনও নিজেরই অপরাধ করছে। এই আইনটি জানে অপরাধ যারা করায় তারা যে মাইনর এজ খুব সহজেই জামিন পায় অথবা জুবলি এ্যাক্টে সংশোধনের জন্য কারাগারে প্রেরণ করা হয়। আইনের এই সুযোগ নেওয়া হচ্ছে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন