শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

সারা বাংলার খবর

ময়মনসিংহে বহিষ্কৃত সাংবাদিক রফিক গ্রেফতার

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৩ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৬:২৭ পিএম

ময়মনসিংহে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় স্থানীয় পত্রিকা দৈনিক ময়মনসিংহ প্রতিদিনের বহিষ্কৃত ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক খাইরুল আলম রফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার রাতে নগরীর চরপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ওসি মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, তাঁর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ সাতটি মামলা রয়েছে।
মামলার বাদী জেলা জমিয়াতুল মোদারেসিনের সভাপতি ও ময়মনসিংহ প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক প্রিন্সিপাল ড. মো. ইদ্রিস খান। তিনি জানান, খাইরুল আলম রফিকের শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকা স্বত্বেও নিজেকে উচ্চ শিক্ষিত দাবি করে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদে দায়িত্ব নেয়। পরবর্তীতে সে মিথ্যা-মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ ও চাঁদাবাজি করে জেলা প্রশাসন সহ সর্বমহলে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। আমি তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে বললে সে পত্রিকার প্রিন্টার্স লাইন থেকে আমার নাম বাদ দিয়ে নিজেকে সম্পাদক ও প্রকাশক দাবি করে। এ ঘটনায় বিগত ৪ নভেম্বর জেলা প্রশাসক বরাবরে পত্রিকার প্রকাশনা সাময়িক বন্ধ রাখার আবেদন করি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রফিক বিভিন্ন ফেইসবুক আইডিতে আমার ছবি বিকৃত করে অশ্লীল ভাবে প্রকাশ করে প্রচারণা চালায়। এবং আমার পরিচালিত ঐতিহ্যবাহী ডিএস কামিল মাদ্রাসার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগ দায়ের করে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের মাঝে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করে।
পরবর্তীতে আমার আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ১১ নভেম্বর পত্রিকাটির প্রকাশনা সাময়িক বন্ধ ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসক ড. সুভাস চন্দ্র বিশ্বাস।
পুলিশ জানায়, রফিকের চাঁদাবাজি ও মানহানিকর কর্মকাণ্ডে সাংবাদিক কামাল, আল আমিন, ঠিকাদার হাসেম, ত্রিশাল নজরুল কলেজের অধ্যক্ষ মজিবুর রহমান বাদী হয়ে চাঁদাবাজি, ৫৭ ধারা, দ্রুত বিচার ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছেন। এছাড়াও রফিককে আসামী করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতসহ নানা অভিযোগে নেত্রকোনা, শেরপুর, গাজীপুর আদালতে মামলা হয়েছে। অসংখ্য লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসনে।
জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সূত্র জানায়, খাইরুল আলম রফিককে পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মানহানিসহ প্রকাশনা নীতিমালা লঙ্ঘন ও চাঁদাবাজির অভিযোগে জেলা প্রশাসন থেকে দুই দফা কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও কোনো জবাব দেননি তিনি। সর্বশেষ গত ২২ অক্টোবর একই অভিযোগে বর্তমান জেলা প্রশাসক ড. সুভাষ চন্দ্র বিশ্বাস সাত কর্মদিবসের মধ্যে নোটিশের জবাব চেয়ে তৃতীয় দফা চিঠি দেন। ওই চিঠি পেয়ে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক ড. মো. ইদ্রিস খান গত ২৩ অক্টোবর খাইরুল আলম রফিককে ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক পদ থেকে বরখাস্ত করেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন