সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেছেন, সরকারের মধ্যে একটি দুরভিসন্ধিমূলক আচরণ লক্ষ্য করছি। আমরা বার বার বলে আসছি, নির্বাচনে আমরা অংশগ্রহণ করতে না পারি সেটাই সরকার ও নির্বাচন কমিশন চায়। বিএনপির নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এখনো গ্রেফতার অব্যাহত রেখেছে। প্রতিনিয়ত নিরীহ লোকজনকে হয়রানি করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এজেন্টদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে গ্রেফতার ও নজরদারি চলছে। নির্বাচন কমিশন সরকারের লক্ষ্য বাস্তবায়ন করার জন্য কাজ করছে। বিএনপির ৮১ জনের মনোনয়ন বাতিল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আইনের আশ্রয় নেব। হাইকোর্ট ডিভিশনে রিট দায়ের করে চ্যাঞ্জেল করা হবে।
ব্যারিস্টার মওদুদ বলেন, আনুষ্ঠানিকভাবে বলিনি নিজেদের জন্য ও ঐক্যফ্রন্টের জন্য কত আসন দেওয়া নেওয়া হবে। কাকে কত আসন দেওয়া হবে শেষ মুুহূর্ত পর্যন্ত দেন দরবার চলছে। ধানের শীষের জনপ্রিয়তার পাশাপাশি যদি প্রার্থীর জনপ্রিয়তা থাকে তাহলে আমরা তাকে অগ্রাধিকার দিব। যদি প্রার্থীর জনপ্রিয়তা থাকে আমরা প্রয়োজনে বেশি আসন দিব। এতে বেশি আসন দিতে কোন সমস্যা নাই। প্রার্থী ঐক্যফ্রন্টের হোক, জোটের হোক কিংবা বিএনপির হোক নির্ভর করবে তার জনপ্রিয়তার উপর।
তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। যদি সরকার গ্রেফতার বন্ধ করে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হয় তাহলে সারাদেশে ধানের শীষ বিপুল ভোটে জয়লাভ করবে। কোন দল সন্ত্রাসীর আশ্রয় নিবে না। প্রতিপক্ষের প্রতি আমার নিবেদন থাকবে সম্মানজনক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে কোন ধরণের সরকারি প্রভাব ছাড়া পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করবে।
ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ মানিকপুরস্থ নিজ বাস ভবনে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সাবেক এমপি হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদ, উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আহছান উল্যাহ মানিক, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বিএনপির নেতা ফিরোজ আলম, শাহজাহান, পৌর যুবদলের সভাপতি শওকত হোসেন সগীর, ছাত্রনেতা আতোয়ার হোসেন পাবেল, এরশাদ আহমদ প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন