শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

ব্যবসা বাণিজ্য

আমিরাতে ব্যাপক জনপ্রিয় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক বাজার সম্প্রসারণে প্রয়োজন সরকারি উদ্যোগ

প্রকাশের সময় : ৫ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ছালাহউদ্দিন, আরব আমিরাত থেকে : আন্তর্জাতিক বাজারের মান অনুযায়ী বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে আরব আমিরাতের বাজারে। মানসম্পন্ন-রুচিশীল এসব পোশাক আস্থা অর্জন করেছে প্রবাসী ক্রেতাদের পাশাপাশি আরবীয়সহ অন্যান্য দেশের লোকদের কাছেও। ইতোপূর্বে ভারত, পাকিস্তান ও চায়না প্রদেশটিতে পোশাক শিল্পের বাজার একচেটিয়া দখল করে নিলেও প্রতিযোগিতামূলক বাজারে এখন এসব দেশের সাথে পাল্লা দিয়ে অত্যন্ত সুনামের সাথে বাংলাদেশি পোশাক শিল্প বিক্রি হচ্ছে দেদারছে। বিভিন্ন মার্কেটে বাংলাদেশি পোশাক শিল্পের দোকানগুলোতে ঘুরে দেখা গেছে এসব শুভ চিত্র। ব্যবসায়ী ও ক্রেতারাও জানালেন খুশির কথা।
বিশেষ করে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অপূর্ব ভা-ার হিসেবে খ্যাত এবং বাংলাদেশিদের কর্তৃক পরিচালিত আমিরাতের আজমানের নয়া মানা-ইয়ায় বাংলাদেশি (বাঙালি মার্কেট) মার্কেটে রয়েছে ৪ শতাধিক দোকান। প্রতিটি দোকানে রয়েছে বাংলাদেশের তৈরি শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পলো শ্যাট, সালোয়ার-কামিজ, শাড়ি, লুঙ্গি, ফতুয়া, গেঞ্জি, গামছা তোয়ালে, পাজামা, পাঞ্জাবি, টুপিসহ বাচ্চাদের হরেক রকম পোশাকের অপূর্ব সমাহার। সউদী আরব, ওমান, কাতার, কুয়েত, ইরাক, ইরান, জর্দান ও বাহরাইনসহ মধ্যপ্রাচ্যের এবং ইউরোপ ও আফ্রিকার বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়ীরা এসব পোশাক কিনতে আসেন এখানে। প্রতিদিন এ মার্কেটে খুচরা ও পাইকারিভাবে বেচা কেনা হয় লাখ লাখ দেরহামের বাংলাদেশের তৈরি পোশাক। পুরো আরব আমিরাতে এক বাক্যে সবাই চেনেন এ মার্কেটটি। রয়েছে সুনাম ও সুখ্যাতিও।
এখানকার, ব্যবসায়ীরা ইনকিলাবকে জানান, বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রচুর চাহিদা থাকায় প্রতিমাসে বাংলাদেশ থেকে আসা দেশীয় পোশাক ভর্তি ৪০/৫০টি কন্টেইনার খালাস করা হয় শুধু এ মার্কেটেই। তবে বাংলাদেশে এসব পোশাকাদি বেশি দামে কেনার পাশাপাশি জাহাজের মাধ্যমে পোশাক ভর্তি এসব কন্টেইনার আনতে গিয়ে দেশীয় নৌবন্দরে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এতে করে এদেশটিতে পৌঁছা পর্যন্ত পোশাকের মূল্য অনেক বেশি পড়ে যায়। ফলে প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক বাজার দর এবং বাংলাদেশি পোশাকের চাহিদা ঠিক রাখতে গিয়ে কখনো কখনো লোকশান গুণতে হচ্ছে তাদের।
তাই প্রবাসী ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরকারের সুষ্ঠু ও সহজ ব্যবস্থাপনা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার পাশাপাশি পোশাকের মূল্য, পরিবহন ভাড়া ও শুল্ক কমিয়ে ক্রেতা চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণে এখানে পোশাক শিল্প বাজারজাত করার ব্যবস্থা বা সুযোগ তৈরি করে দিলে আরব আমিরাতে আরো ব্যাপকভাবে সম্প্রসারিত হবে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বাজার। অন্যদিকে, ব্যবসায়ীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দেশও আয় করবে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা। উল্লেখ্য, আরব আমিরাতে ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশির মধ্যে বড় একটি অংশ দেশীয় পোশাক শিল্প ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছেন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন