শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

পারস্য উপসাগর দিয়ে তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ইরানের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১০:৩৫ এএম

পারস্য উপসাগর দিয়ে তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে ইরান। দেশটির প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে ইরানের তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়া সম্ভব নয়। এ কোনও প্রচেষ্টা চালানো হলে পারস্য উপসাগর দিয়ে সব দেশেরই তেল রফতানি বন্ধ করে দেওয়া হবে। মঙ্গলবার টিভিতে সম্প্রচারিত এক বক্তব্যে তিনি এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।


হাসান রুহানি বলেন, আমেরিকার জানা উচিৎ, ইরানের তেল রফতানি অব্যাহত থাকবে। তাদের পক্ষে এটি থামিয়ে দেওয়া সম্ভব নয়। তারা ইরানের তেল রফতানি বন্ধ করতে গেলে পারস্য উপসাগর দিয়ে সব ধরনের তেল সরবরাহ ব্যবস্থাই বন্ধ হয়ে যাবে।

২০১৫ সালে ইরানের সঙ্গে ছয় বিশ্বশক্তির স্বাক্ষরিত পরমাণু চুক্তি থেকে ট্রাম্প প্রশাসন বেরিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই ওয়াশিংটনের সঙ্গে তেহরানের উত্তেজনা আরও বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালের মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র ওই চুক্তি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আঞ্চলিক প্রভাব হ্রাস এবং দেশটির তেল রফতানি শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনাই এ নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য। এর প্রেক্ষিতেই ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেন, আমেরিকার পক্ষে অর্থনৈতিকভাবে পুরো দুনিয়া থেকে ইরানকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা সম্ভব নয়।

এর আগে মার্কিন হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ও পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর সিনিয়র মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুলফজল শেকারচি। তিনি বলেন, ‘ইরানের সামগ্রিক প্রতিরক্ষা নীতির আলোকে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাসহ অন্যান্য সমরাস্ত্রের সক্ষমতা শক্তিশালী করা হচ্ছে। আমরা ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন ও পরীক্ষা চালিয়ে যাবো।’

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও অভিযোগ করেছেন, ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ২০১৫ পরমাণু চুক্তির লঙ্ঘন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইরানবিষয়ক কর্মকর্তা ব্রায়ান হুক সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আলোচনার মাধ্যমে ইরানের সঙ্গে সমঝোতা করতে আগ্রহী। কিন্তু প্রয়োজনে সামরিক ব্যবাস্থা গ্রহণে পিছপা হবে না দেশটি। সে সংক্রান্ত প্রস্তাবও বিবেচনায় আছে।

জেনারেল শেকারচি বলেন, “এটি আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় বলে যেকোনো ধরনের আলোচনার কাঠামো থেকে এ বিষয়টিকে বাইরে রাখতে হবে। আমরা প্রতিরক্ষা নীতিতে অন্য কোনো দেশের কাছ থেকে অনুমতি নেব না।”

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর এই মুখপাত্র বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোকে তেহরান এই বলে আশ্বস্ত করেছে যে, সেসব দেশের প্রতি আগ্রাসন চালানোর কোনো ইচ্ছা ইরানের নেই। শুধু আত্মরক্ষার জন্য প্রতিরক্ষা সক্ষমতা শক্তিশালী করছে তেহরান। সূত্র: রয়টার্স।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন