২০১৭ সালের জন্য ১৩টি ক্যাটাগরিতে আইসিএমএবি বেস্ট কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড পেল ৩২ প্রতিষ্ঠান। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তাদের কর্মকান্ড বিচার-বিশ্লেষণ করে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। গতকাল শনিবার রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এ সময় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম খায়রুল হোসেন, সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অফ অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের প্রেসিডেন্ট সিএ (ড.) সুবোধ কুমার কার্ন, আইসিএমএবির প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ সেলিম এফসিএমএসহ সরকারি- বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) ২০০৭ সাল থেকে এ পুরস্কার প্রদান করে আসছে।
২০১৭ সালের পুরস্কারের জন্য ১৩টি ক্যাটাগরির মধ্যে রয়েছে- সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (ইসলামিক কার্যক্রম), বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (সাধারণ কার্যক্রম), ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান, সাধারণ বীমা কোম্পানি, ওষুধ, বিদ্যুৎ, বহুজাতিক কোম্পানি, সিমেন্ট খাত, বস্ত্র খাত, বিবিধ উৎপাদন, বিবিধ বাণিজ্য ও বিবিধ সেবা।
সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড। বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (ইসলামিক কার্যক্রম) ক্যাটাগরিতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে যথাক্রমে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড ও এক্সপোর্ট ইমপোর্ট ব্যাংক অব বাংলাদেশ। ব্র্যাক ব্যাংক প্রথম পুরস্কার জিতেছে বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক (সাধারণ কার্যক্রম) ক্যাটাগরিতে। ইস্টার্ন ব্যাংক দ্বিতীয় এবং দ্য সিটি ব্যাংক তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে।
ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতেছে আইডিএলসি ফাইন্যান্স লিমিডেট। লংকাবাংলা ফাইন্যান্স দ্বিতীয় ও ডেল্টা ব্র্যাক হাউজিং ফিন্যান্স তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে। সাধারণ বীমা ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতেছে গ্রীন ডেল্টা ইন্স্যুরেন্স। আর রিলায়েন্স ইন্স্যুরেন্স দ্বিতীয় ও পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে। বস্ত্র ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতেছে এনভয় টেক্সটাইল লিমিটেড। এছাড়া মতিন স্পিনিং মিলস দ্বিতীয় ও রহিম টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে। ওষুধ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস। আর বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস দ্বিতীয় ও রেনাটা তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে। সামিট পাওয়ার বিদ্যুৎ ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতেছে। আর আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন দ্বিতীয় ও ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে। বহুজাতিক কোম্পানি ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতেছে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ। ২য় পুরস্কার জিতেছে বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড। হাইডেলবার্গ সিমেন্ট বাংলাদেশ প্রথম পুরস্কার জিতেছে সিমেন্ট ক্যাটাগরিতে। এছাড়া প্রিমিয়ার সিমেন্ট দ্বিতীয় এবং এমআই সিমেন্ট তৃতীয় পুরস্কার পেয়েছে।
বিবিধ উৎপাদন ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার জিতেছে আরএকে সিরামিকস (বাংলাদেশ) লিমিটেড। এছাড়া অলেম্পিক ইন্ডাস্ট্রি দ্বিতীয় এবং এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি লিমিটেড (প্রাণ) তৃতীয় পুরস্কার জিতেছে।
বিবিধ বাণিজ্য ক্যাটাগরিতে পুরস্কার পেয়েছে পদ্মা ওয়েল কোম্পানি লিমিটেড এবং বিবিধ সেবা ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতেছে ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কাস।
নদী দখলকারীদের নামের তালিকা প্রকাশের দাবিতে মানববন্ধন
স্টাফ রিপোর্টার : সারা দেশের নদী দখলকারীদের নামের তালিকা সরকারিভাবে প্রকাশের দাবি জানিয়েছে নদী নিরাপত্তার সামাজিক সংগঠন নোঙর। গতকাল শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়। এসময় নোঙরের সভাপতি সুমন শামস বলেন, নদী রক্ষা করার জন্য এখন প্রয়োজন সারা দেশের দখলকৃত নদী দখলকারীদের নামের তালিকা তেরি করে প্রকাশ করা এবং নদীর জায়গা নদীকে ফিরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়ার।
তিনি আরো জানান, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর দেশে নদী পথের দৈর্ঘ্য ছিল চব্বিশ হাজার বর্গকিলোমিটার। কিন্তু দখলকারীরা নদী দখল করে নদী পথের দৈর্ঘ্য কমিয়ে বর্তমানে তিন হাজার ৮০০ বর্গ কিলোমিটারে নামিয়ে এনেছে। দেড় হাজার নদী থেকে কমে দেশে এখন নদীর সংখ্যা তিনশতে এসে ঠেকেছে। ঢাকার চারপাশে ঘিরে থাকা বুড়িগঙ্গা, বালু, তুরাগ ও শীতলক্ষ্যা দখল দূষণে মৃতপ্রায়। নাব্য সঙ্কটে বালুর নদীতেও নৌ-যান চলাচল কঠিন হয়ে পড়েছে। ৩৬ কিলোমিটারের এই নদীর ২২ কিলোমিটার অবৈধ দখলে এখন। আর দখল দূষণের কারণে হারিয়ে গেছে ২৫ টি নদী। বর্তমানে বিপন্ন নদীর সংখ্যা ১৭৪টি। এর মধ্যে ১১৭টি নদী মৃতপ্রায়। নদ-নদী জলাশয় রক্ষার প্রয়োজনীয়তা এখানে নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ক্ষেত্রে আদালতের নির্দেশ উপেক্ষিত হচ্ছে। মানববন্ধনে নদী, প্রকৃতি রক্ষার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন