ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির মুক্তির দাবিতে ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি দমন পীড়নের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর কাছে অভিযোগ করেছেন সিলেট-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক সাংসদ শফি আহমদ চৌধুরী।
রোববার সকালে সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।
অভিযোগে তিনি বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতির ও সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি সুফিয়ানুল করিম চৌধুরীকে ৫ ডিসেম্বর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে ৩-৪ মাসের আগের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের নাশকতার মামলায় তাকে আসামি করে কোর্টে চালান দেওয়া হয়। অথচ মামলার এজাহারে তার নাম নেই।
অভিযোগে আরও বলা হয়, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের হয়রানি করার উদ্দেশ্যে তাকে আটক করেছে পুলিশ। তার অপরাধ তিনি ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি। অথচ নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট নির্দেশনা, তফশিল ঘোষণার পর কোন মামলার এজাহারভুক্ত আসামি না হলে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনার তোয়াক্কা না করে সারাদেশের ন্যায় আমার নির্বাচনী এলাকায়ও পুলিশ বিএনপির নেতা-কর্মীদের গ্রেফতার, হয়রানি ও নির্যাতন করা হচ্ছে, যা নিরপেক্ষ নির্বাচনের অন্তরায়।
অহেতুক নেতা-কর্মীদের ওপর পুলিশি হয়রানি বন্ধ করতে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান শফি আহমদ চৌধুরী।
সিলেটের জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা এ অভিযোগ গ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ ব্যাপারে শফি আহমদ চৌধুরী বলেন, আমার এলাকার দলের নেতা-কর্মীদের পুলিশ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে গ্রেফতার-হয়রানি করছে। নির্বাচন কমিশনের আদেশ অমান্য করছে পুলিশ।'
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন