শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৬ বৈশাখ ১৪৩১, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ইইউর অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন

প্রকাশের সময় : ৬ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : অভিবাসন প্রত্যাশী শরণার্থীদের আশ্রয় না দিলে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোকে অর্থদ-ের মুখোমুখি হতে হবে। এ ধরনের বিধান রেখে ইইউ’র অভিবাসন আইন সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী পরিষদ প্রতি ব্যক্তির জন্য দুই লাখ ৫০ হাজার ইউরো জরিমানা ধার্য করার পরিকল্পনা করছে। যদিও এ প্রস্তাবে বেশিরভাগ সদস্য দেশেরই অনুমোদন প্রয়োজন হবে। ২০১৫ সালে মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধবিক্ষুব্ধ দেশ এবং এশিয়া ও আফ্রিকার কয়েকটি দেশ থেকে লাখ লাখ শরণার্থী ইউরোপে প্রবেশ করে। ওইসব শরণার্থীর অধিকাংশেরই লক্ষ্য ছিল জার্মানিসহ পশ্চিম ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় গ্রহণ করা। ওই সময় দায়িত্ব ভাগ করে নেওয়ার অংশ হিসেবে ইউরোপীয় কমিশন ইইউভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে এক লাখ ৬০ হাজার শরণার্থীকে ভাগ করে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু ইইউভুক্ত অনেক দেশ নিজেদের ভাগের শরণার্থীদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকৃতি জানায়। নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, একটি দেশ আশ্রয়প্রার্থীদের ক্ষেত্রে নিজেদের বার্ষিক ফেয়ার শেয়ার-এর ১৫০ শতাংশের বেশি আশ্রয়প্রার্থীকে গ্রহণ করলে স্থানান্তরের পরিকল্পনা ঠিকঠাক মত বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। প্রতিটি দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনীতির বিচারে তাদের ভাগের শরণার্থীর সংখ্যা নির্ধারণ করা হবে। কমিশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফ্রানস টিমেরম্যান্স বলেন, খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে এ ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। শরণার্থীর চাপে যদি কোনো দেশ আকণ্ঠ নিমজ্জিত হয় তবে ইইউভুক্ত অন্যান্য দেশগুলোকে সংহতি প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের ভাগের ন্যায্য দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। যেসব দেশ নিজেদের কোটা পূরণে অস্বীকৃতি জানাবে তাদের জরিমানা করা হবে এবং ওই অর্থ ইতালি ও গ্রিসের মত দেশ যারা বেশির ভাগ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে তাদের দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। অপর এক খবরে বলা হয়, ক্রমবর্ধমান শরণার্থী সংকট নিরসনে ইউরোপের শরণার্থী নীতিকে পুনর্গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপীয় কমিশন।  কমিশন জানিয়েছে, আমরা শরণার্থী নীতিকে এমনভাবে পরিবর্তন করতে চাই যাতে শরণার্থী সংক্রান্ত আভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো সহজেই দূর করা যায়। তবে এই সংস্কারের জন্য সংখ্যাগরিষ্ঠ রাষ্ট্রের সমর্থন যেমন প্রয়োজন হবে, তেমনি প্রয়োজন হবে সংখ্যাগরিষ্ঠ ইউরোপীয় পার্লামেন্টের সদস্যের সমর্থন। ইইউ কর্মকর্তারা আশা প্রকাশ করে বলেছেন, তুরস্কের সাথে সম্পাদিত শরণার্থী চুক্তি সফলভাবে কার্যকর হওয়ায় ইউরোপে শরণার্থী সংকট অনেকটা কমে গেছে। এবার ইইউ শরণার্থীনীতি পরিকল্পনা অনুযায়ী সংস্কার করা গেলে বিদ্যমান বাধা আরো কমে যাবে বলেও তারা আশা করছেন তারা। বিবিসি, রয়টার্স, এপি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন