বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

মঙ্গলে বাতাসের শব্দ রেকর্ড নাসার

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মঙ্গলে বাতাসের অস্তিত্ব থাকার প্রমাণ দিল ‘ইনসাইট’! লাল গ্রহের মাটিতে পা ছোঁয়ানোর ১০ দিনের মধ্যেই ইনসাইট রেকর্ড করল বইতে থাকা বাতাসের শব্দ। এই খবর আরও বাড়িয়ে দিল দৃশ্যতই ‘লাল গ্রহ’-এ এখনও প্রাণের স্পন্দন শুনতে পাওয়ার সম্ভাবনাও। বাতাস আছে মানে, বায়ুমণ্ডল রয়েছে মঙ্গলে। আর প্রাণের বেঁচে থাকার অন্যতম ‘রসদ’ হচ্ছে বায়ুমণ্ডল। নীচু স্বরে বাতাসের সেই গা ছমছমে শো শো শব্দ শুনতে শুনতে নিজেও কেঁপে উঠেছে নাসার পাঠানো ল্যান্ডার মহাকাশযান। আর সেই শব্দের কম্পন অনুভব করেই চুপচাপ বসে থাকেনি ইনসাইট। তা রেকর্ড করে নাসার জন্য মঙ্গল থেকে রিলে করে পাঠিয়েও দিয়েছে। মঙ্গলের পিঠে বহমান বাতাসের শব্দ শুনেছে ইনসাইট, ঠিক সাত দিন আগে। গত ১ ডিসেম্বর। তার পর তা রেকর্ড করে পাসাডেনায় নাসার জেট প্রোপালসান ল্যাবরেটরিতে রিলে করে পাঠিয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডার। তা পরীক্ষা করে নাসা জানিয়েছে, গত ১ ডিসেম্বর মঙ্গলের বুকে বইতে থাকা বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১০ থেকে ১৫ মাইল। তার মানে, সেকেন্ডে ৫ থেকে ৭ মিটার। এই গতি পৃথিবীর চেয়ে কিছুটা কম। স্বাভাবিক চাপ ও তাপমাত্রায় সমতল এলাকায় আমাদের গ্রহে বাতাস বইতে থাকে গড়ে সেকেন্ডে ২০ মিটার গতিবেগের মধ্যে। নাসা জানিয়েছে, লাল গ্রহের মাটিতে নেমে সাত দিন আগে ইনসাইট যে বাতাসের শব্দ শুনে উত্তেজনায় কেঁপে উঠেছে, তা বয়েছে মঙ্গলের উত্তর-পশ্চিম থেকে দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তে। ইনসাইট পা ছোঁয়ানোর পর মঙ্গলের মাটি থেকে ধুলোও উড়ে গিয়েছিল একই পথে, একই দিকে। নাসা জানিয়েছে, ইনসাইটের দু’টি যন্ত্রে সেই শব্দ ধরা পড়েছে। তাদের একটি ‘এয়ার প্রেসার সেন্সর’। যা বসানো রয়েছে ইনসাইটের ভিতরে। তা ইনসাইটে থাকা ‘অক্সিলিয়ারি পেলোড সেন্সর সাবসিস্টেম’ (এপিএসএস)-এরই একটি অংশ। ‘এপিএসএস’ মঙ্গলের বুক থেকে তুলে আনবে মাটি। মঙ্গলের বুকে বসেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালানোর জন্য। অন্য যন্ত্রটি, ‘সিসমোমিটার’। সেটি রাখা রয়েছে ইনসাইট ল্যান্ডারের ‘ডেক’-এ। যার নাম- ‘সেইসমিক এক্সপেরিমেন্ট ফর ইনটেরিয়র স্ট্রাকচার (এসইআইএস বা ‘সেইস’)। ইনসাইটের রোবট হাত ওই ‘ডেক’টাকেই নামিয়ে দেবে মঙ্গলের মাটিতে। তার পর খোঁড়া হবে লাল গ্রহের মাটি। তখন ‘ডেক’-এ থাকা সিসমোমিটার দেখতে শুরু করবে মঙ্গলের পিঠের নীচে এখনও কম্পন (মার্সকোয়েক) হয় কি না, হলে তার মান কতটা। নিউইয়র্ক টাইমস।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন