উত্তর : মহিলাদের জন্য জনসাধারণের গোরস্তানে যাওয়া নিষেধ। এর কারণ, হাদিস শরিফে বলা কারণসমূহের মধ্যে এমন ইশারা পাওয়া যায় যে, মহিলারা হন নরম হৃদয়ের অধিকারী। কান্না, বিলাপ, মূর্ছা যাওয়া ইত্যাদি মহিলারাই বেশি করে থাকেন। বিশেষ করে নিজ সন্তান বা নিকটাত্মীয়ের কবর পাশে তারা নিজেদের সামলে রাখতে পারেন না। এসব নিয়ে সিনক্রিয়েট হয় অনেক বেশি। তাদের পোশাক-আশাক, অঙ্গ-ভঙ্গি অনেক সময় ঠিক থাকে না। বেগানা পুরুষ এসব দেখে গোনাহগার হতে পারে। সমান গোনাহগার এই দুঃখভারাক্রান্ত নারীরও হতে হবে। বিশেষ করে একটি বয়সে নারীরা নিয়মিত অসুস্থ হন, তাদের শরীর পাক থাকে না ইত্যাদি কারণে সাধারণ কবরস্থানে নারীদের বিচরণ নিষিদ্ধ। এটি ইসলামের শত্রুরা নারীর প্রতি অমর্যাদা হিসেবে দেখাতে চেষ্টা করে। যারা শরিয়ত মানেন, তারা বেগানা পুরুষের কবরের পাশেও পর্দা রক্ষা করেন। অবশ্য একাকী কবর কিংবা পারিবারিক কবর কাছে থেকে দেখা বা নিকটে আসা-যাওয়া করা আত্মীয় নারীর জন্য কড়া নিষেধ নয়। সব শর্ত রক্ষা করে নারীরাও নিকটজনের কবরে যেতে পারেন। তবে, তাদের জন্য কবর জিয়ারতের সাধারণ নিয়ম প্রযোজ্য নয়। নবী করিম (সা.) এর রওজার পাশে নারীরা যেমন দরূদ-সালাম পেশ করতে পারেন, নিজ মাহরামের একাকী কবরেও তারা দোয়া করতে পারেন। আম গোরস্তানে গিয়ে নয়, যেখানে নানারকম মানুষকে কবর দেয়া হয়েছে। নারীরা জানাজার নামাজে শরিক হওয়ার কোনো বিধান শরিয়তে নেই। আলাদাভাবে বা মূল জামাতে কোথাও তারা জানাজা পড়তে পারবেন না। তারা দোয়া, দরূদ, তিলাওয়াত, দান-সদকা ইত্যাদি করতে পারবেন। জানাজা তাদের ওপর ওয়াজিব নয়।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন