যশোর রিটার্ণিং অফিসারের কাছে যশোর-৩ সদর আসনের ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির ধানের শীষের প্রার্থী অনিন্দ্য ইসলাম অমিত নির্বাচনী কাজে বিঘœ ঘটানোর সুনির্দ্দিষ্ট অভিযোগ দাখিল করেছেন।
লিখিত অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমার নির্বাচনী এলাকা ৮৭ যশোর-৩ (সদর)-এর বিভিন্ন ইউনিয়নে কিছু অতি উৎসাহী পুলিশ সদস্য বিএনপি জোটের নেতা-কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করছেন। নির্বাচনী মাঠে না থাকার হুমকি দিচ্ছেন আওয়ামী সন্ত্রাসীরা।’ তিনি উল্লেখ করেন ‘১০ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার প্রথম দিনেই এসআই তৌহিদ কচুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইকরামুল, বিএনপি নেতা শহিদ প্রফেসর, মুনসেফপুর গ্রামের কামাল হোসেন, তরিকুল ইসলামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে এবং কেউ যেন ধানের শীষের পক্ষে কাজ না করে সেই নির্দেশনা দিয়ে থানায় গিয়ে দেখা করতে বলেছে। কচুয়ায় আমাদের কর্মিসভায় পুলিশ হানা দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।’
অভিযোগে বলা হয়, ‘ইছালি পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই নাজমুল ও মফিজ পাঁচবাড়ীয়া এসে যুবদল কর্মী মুন্না ও হালিমকে একইভাবে শাসিয়েছে। এমনকি হালিমের দোকান সন্ধ্যা ছয়টার মধ্যে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে।’ অমিত অভিযোগ করে বলেন, ‘এসআই খবির রামনগর ইউনিয়নে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা রাজু ও ছাত্রদল নেতা জিএম বিল্লাল, রাজারহাটের হাসানসহ স্থানীয় নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে। এসআই মিজান নুরপুর গ্রামে বিএনপি নেতা মফিজ এর বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে। এসআই জসিম দেয়াড়া ইউনিয়নের দুর্গাপুর গ্রামে বিএনপি নেতা তবিবরের বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়ে এসেছে। এই এসআই জসিম কিছুদিন পূর্বে কচুয়া ইউনিয়নের ২০ দলীয় জোট নেতা আবদুল হান্নানের বাড়িতে অভিযানের নামে ভাঙচুর করেছে। এমনকি তার বাড়ির পানির মোটর পর্যন্ত খুলে নিয়ে এসেছে। এসআই এজাজ নওয়াপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পাঁচবাড়িয়া গ্রামের মশিয়ার রহমান বাবলুকে স্থানীয় আমতলা বাজারে খোঁজাখুঁজি করেছে।’
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন