চাঁপাইনবাবগঞ্জের (নাচোল-গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট) এই তিন উপজেলা নিয়ে গঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসন। আসনটিতে নির্বাচনী উত্তাপ ছড়িয়েছে গ্রামাঞ্চলেও। পাড়া-মহল্লায় প্রতিদিনই প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী ও কর্মীদের পদচারণা লক্ষ করা যাচ্ছে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটযুদ্ধে আ.লীগ, বিএনপিসহ অন্যান্য প্রার্থীরা প্রচারণায় ছুটে চলেছেন দূরদূরান্তে। দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই সরগরম হয়ে উঠেছে এলাকার ভোটের রাজনীতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনকে ঘিরে জমে উঠেছে ভোটের মাঠ। নির্বাচনী হাওয়া বইছে চায়ের দোকান, হাট-বাজার থেকে শুরু করে সর্বত্র। ভোটারদের মধ্যেও চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা আর আলোচনা-সমালোচনা।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতার জন্য ১০ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই চলছে প্রচার-প্রচারণা চরমে। ইতোমধ্যে নির্বাচনী এলাকার অলিগলি ছেয়ে গেছে প্রার্থীদের পোস্টারে। প্রতিদিন সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত এখানে সেখানে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা। এ আসনে সাবেক এমপি ও জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান নৌকা প্রতীকে দলীয় মনোনয়ন লাভ করেছেন। অপর দিকে ধানের শীষ তথা ঐক্যফ্রন্টের মনোনয়ন লাভ করেছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি আলহাজ আমিনুল ইসলাম। প্রতীক পেয়ে উভয় প্রার্থী কর্মী-সমর্থক নিয়ে নির্বাচনী মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন রাতভর। এ আসনে মোট তিনজন প্রার্থী ভোটযুদ্ধে নামলেও মূলত নৌকা ও ধানের শীষ প্রতীকের মধ্যে লড়াই হবে হাড্ডাহাড্ডি এমন সম্ভাবনা দেখছেন ভোটাররা। ভোটের মাঠের নানা সমীকরণ থেকেই ধারণা করা হচ্ছে- এ আসনটিতে নৌকা এবং ধানের শীষ প্রতীকের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান খুব কম থাকবে বলে মনে করছেন অনেক ভোটার। আ.লীগের নেতারা বলছেন, এবারের নির্বাচনে সকল নেতা কর্মীরা একসাথে ভোটের মাঠে কাজ করছে। তবে আমরা আসাবাদী এবারের নির্বাচনে নৌকা প্রতীক বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়যুক্ত হবে। এই হিসাবে এবারো নৌকা প্রতীক জয়লাভ করবে বলে মনে করছেন আ.লীগ নেতারা।
বিএনপির নেতারা বলছেন, চেয়ারপারসনসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি, সকল প্রকার হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার, জুলুম, নির্যাতন, গুম-খুন, ধর্মপ্রাণ জনসাধারণের ধর্মীয় কৃষ্টিকালচার পালনে বাধা, এসব আ.লীগের দুঃশাসন থেকে মুক্তি পেতে এবারের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোটাররা তাদের মূল্যবান ভোট দেবেন। এ আসনে বিএনপি প্রার্থী আলহাজ আমিনুল ইসলাম বিপুল ভোটে জয়লাভ করবেন।
১৯৯১ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পরপর তিনবার এমপি নির্বাচিত হন প্রয়াত বিএনপি নেতা সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন। তার মৃত্যুর পর প্রথমবার ২০০৮ সালে বিএনপি থেকে প্রতিদ্ব›িদ্বতা করেন আলহাজ আমিনুল ইসলাম। সেই নির্বাচনে বর্তমান প্রতিদ্ব›দ্বী জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি মু. জিয়াউর রহমান জয়লাভ করেন। এরপর ২০১৪ সালে নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ না করায় আ.লীগ থেকে নির্বাচিত হন বর্তমান এমপি গোলাম মোস্তফা বিশ্বাস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন