বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নতুন উন্মাদনার ভোট উৎসব

মিজানুর রহমান তোতা : | প্রকাশের সময় : ১৫ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দিনরাত সমানতালে চলছে প্রচার-প্রচারণা। প্রার্থীরা ভোর থেকেই দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে গণসংযোগে নেমে পড়ছেন। নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রচারনা চলছে রাত অবধি। প্রতিটি ভোটারের হাতে হাত রাখার প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। পোস্টারে পোস্টারে ছেয়ে গেছে সবখানে। মোড়ে মোড়ে পক্ষ বিপক্ষে ঝড় উঠছে চায়ের কাপে ও আলোচনার টেবিলে। ভোট উৎসবে মাতোয়ারা হয়ে উঠেছে মানুষ। তবে নানামুখী শঙ্কাও আছড়ে পড়ছে চারদিকে। ভোটের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে কিন্তু ভীতিও বাসা বাঁধছে। এ চিত্র দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের কুষ্টিয়ার পদ্মাপাড় থেকে বাগেরহাটের সমুদ্রপাড় পর্যন্ত। মানুষ বাঁধভাঙ্গা জোয়ারের মতো ঘর থেকে বের হয়ে আসছে। গোটা এলাকায় নতুন এক উম্মাদনার সৃষ্টি হয়েছে ভোট কেন্দ্র করে।
গত কয়েকদিন এ অঞ্চলের ১০ জেলার ৩৬টি আসনের বিভিন্ন পয়েন্টে খোঁজ খবর নিয়ে এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে আলাপ করে একটি বিষয় পরিস্কার তা হলো সবাই একটা অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু ও শান্তিপুর্ণ নির্বাচন চায়। দল এবং নির্দল ভোটার উভয়েরই প্রত্যাশা ভোটাররা নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নির্বিগ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে যেন পারে। প্রশাসন সেই ব্যবস্থাটা করুক। চারিদিকে সংঘাত, সংঘর্ষ, হুমকি, ধামকি, প্রচারে বাধা দেয়াসহ বিভিন্ন কারণে সমান সুযোগ সৃষ্টি হয়নি ভোটের মাঠে। এসব কারণে নানামুখী শঙ্কা জেঁকে বসছে। শেষ পর্যন্ত আদৌ ভোট হবে কি, হবে না-তা নিয়েও আলোচনা আছে সচেতন লোকজনের মুখে। এর সঠিক উত্তর খুঁজছে গোটা এলাকাবাসী। চায়ের কাপ থেকে ঘরের কোণ পর্যন্ত সমানতালে চলছে ভোট রাজনীতির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে।
এবারের নির্বাচনের কর্মকৌশল নির্ধারণে গতানুগতিক ধারার বাইরে আসার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। রাজনৈতিক নেতারা মুখ খুলছেন না। এটুকু বলছেন নতুন ধারার ইলেকশন পলিসি নির্ধারণের চেষ্টা করা হচ্ছে। প্রধান দুই নির্বাচনী জোট এ ব্যাপারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন প্রজন্মকে কাছে টানার কৌশল রপ্ত করছেন রাজনীতিকগণ। সেইসাথে নির্দল ভোটারদের ভোট কিভাবে পাওয়া যায় তার উপায় খুঁজে বের করা হচ্ছে। বদ্ধমূল ধারণা আটঘাট বেঁধে এমনভাবে মাঠ প্রস্তুত করা হবে যাতে নির্দল ভোটাররা কংক্রিট থাকে। যাতে এবার ভোটের আগেই ভোট হওয়ার ক্ষেত্রে কোন অসুবিধা না হয়। তাছাড়া নির্বাচন দোরগোড়ায়। এখন তালবেতাল পরিস্থিতির মধ্যে ভাসমান ভোটারদের সামাল দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। যাবতীয় পরিবেশ তৈরী করা হচ্ছে যাতে শেষ সময়ে বেগ পেতে না হয়। এ পলিসিতে মহাজোট এবং ঐক্যফ্রন্ট কতটুকু সফল হবে তা এখন বলার সময় আসেনি।
যশোর, খুলনা, ঝিনাইদহ, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, মাগুরা, চুয়াডাঙ্গা ও সাতক্ষীরাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১০ জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বেশ কয়েকজন নেতা, শিক্ষক, সাংবাদিক, ব্যবসায়ী ও আইনজীবীর সাথে কথা বললে তাদের প্রায় সবার মুখ থেকেই বের হয়েছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আনন্দ-উচ্ছ্বাসের মধ্যে ভোট হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে ভোটের মাঠের সার্বিক পরিবেশ এখনো ঠিক হয়নি। আসনভিত্তিক হালচালে বের হয়ে আসছে নানা কাহিনী।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন