যশোর-৬ কেশবপুর সংসদীয় আসনের ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থী ধানের শীষের আবুল হোসেন আজাদ গতকাল দুপুর ২টায় কেশবপুর শহরস্ত বিএনপির দলীয় কার্যলয়ে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, জুলুম-নির্যাতন ও গণগ্রেফতার বন্ধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেন।
বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ লিখিত বক্তব্যে জানান, উপজেলার পাজিয়া বাজারে যুবলীগ নেতা লাভবুর ভাই নাজমুলের নেতৃত্বে ২৫-৩০ জন ক্যাডার যুবদলের বুলবুল, ছাত্রদলের আ. সামাদ, রায়হানও ইউনুসকে মারপিট করেছে। এ ছাড়া বিএনপির ইবাদ হোসেনের বাড়িতে গিয়ে হুমকি, পৌর কাউন্সিলার জামালের নেতৃত্বে সাত-আটজন যুবলীগ ক্যাডার সাবদিয়া গ্রামের ছাত্রদল নেতা আব্দস সালামকে ধানের শীষের পোস্টার লাগানোর কারণে বাড়িতে গিয়ে মারপিট, বিদ্যানন্দকাঠী ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে গিয়ে ধানের শীষের ভোটরদের ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়ে করে আসছেন। সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক ত্রিমোহিনী, সাগরদাড়ি ও সুফলাকাঠি ইউনিয়নের ধানের শীষের পোস্টার ছিড়ে ফেলা হয়েছে এবং ৩০ ডিসেম্বর ভোটকেন্দ্রে এজেন্ট না হওয়া এবং ভোটকেন্দ্রে গেলে হাড়গোড় গুঁড়ো করে দেয়া হবে ও মামলা দেয়া হবে বলে জানিয়ে দিচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় কাউন্সিলার আফজাল হোসেন বাবু , সাগরদাড়ি ইউপির ৭ নং ওর্য়াড সভাপতি রাশেদুল ইসলাম, বিএনকাঠি ইউপি সদস্য সোকানুর রহমান, পৌর যুবদল নেতা সোহেল হাসান আইদসহ ১২ জন নেতাকর্মীকে পুলিশ বিনা মামলায় আটক করে উপজেলায় ভিতিকর অবস্তার সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির প্রার্থী আবুল হোসেন আজাদ বলেন এসকল অভিযোগ জেলা রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক যশোরকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং অফিসারের সাথে সকল বিষয়ে কথা হলে তিনি পুলিশের বিষয়ে অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি মনে করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের বড় অন্তরায় পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসী। তিনি আরো জানান, মনোনয়ন জমা দেয়ার পর থেকে ২৭ জন বিএনপি নেতা কর্মীকে আটক করেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন