ইপিআরের (বর্তমানে বিজিবি) পিলখানা ওয়ারলেস স্টেশন ব্যবহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। এর পরেই স্বাধীনতার ঘোষণা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল রোববার পিলখানার বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির অবদান তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজিবির অবদান অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। নিজের জীবন বাজি রেখে এই বাহিনী যুদ্ধ করেছে। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে এই বাহিনী। মুক্তিযুদ্ধে এই বাহিনীর ১ হাজার ৮১৭ জন শহীদ হয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ডাকে এই বাহিনী মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধাদের কল্যাণে কাজ করছে বলেও জানান মন্ত্রী।
বিজিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উদযাপন করেছে। মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজিবি সদর দপ্তরসহ বাহিনীর সকল রিজিয়ন, সেক্টর, ব্যাটালিয়ন ও ইউনিটসমূহে বিস্তারিত কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবসের কর্মসূচি অনুযায়ী বাদ ফজর বিজিবি’র সকল ইউনিট মসজিদে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের আত্মার মাগফেরাত, জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং বিজিবি’র উত্তরোত্তর অগ্রগতি কামনা করে দোয়া করা হয়। এছাড়া দুপুর ১২টায় পিলখানাস্থ বীর উত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে বিজিবি›র খেতাবপ্রাপ্ত ২ জন বীরশ্রেষ্ঠ, ৮ জন বীর উত্তম, ৩২ জন বীর বিক্রম এবং ৭৭ জন বীর প্রতীক/তাঁদের উত্তরাধিকারীগণকে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়। বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তাকা কামাল উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন