রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ধানের কাঁটা ‘আপেল’ নৌকার বাধা ‘লাঙ্গল’

চট্টগ্রাম ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

দেশের প্রায় বেশিরভাগ সংসদীয় আসনে ঐক্যফ্রন্ট ও মহাজোটের একক প্রার্থী থাকলেও ব্যতিক্রম চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনে। এখানে ধানের শীষের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আপেল। আর নৌকার বাধা হিসাবে মাঠে আছে লাঙ্গল। প্রধান দুই প্রতিদ্ব›দ্বী জোটের শরিক দল থেকে দুই প্রভাবশালী প্রার্থী মাঠে নেমে পড়ায় হিসাব উলট-পালট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই আসনে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক প্রতিমন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরী। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মাঠে নেমে পড়েছেন ২০ দলের শরিক জামায়াতের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা জহিরুল ইসলাম। ধানের শীষের সমান্তরালে তিনি আপেল প্রতীকে ভোটের প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রামের অন্য ১৫টি আসনে বিএনপি জোটের সকলে ভোটের মাঠে একাট্টা হলেও এই আসনে ব্যতিক্রম জামায়াত। তারা ধানের শীষের বদলে নিজ দলের নেতার আপেল নিয়েই মাঠে। নৌকার প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমানও টেনশমুক্ত নন। একই আসনে লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয় পার্টির প্রার্থী মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পাার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম এলাকায় ভোটের প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আসনে তিনি মহাজোটের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও তিনি মাঠে আছেন। এলাকায় তার প্রভাব এবং একই সাথে দলের অভ্যন্তরে কলহ-বিরোধ থাকায় শঙ্কায় নৌকার প্রার্থী। চট্টগ্রামের হাটহাজারী আসনে জাতীয় পার্টির ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে মহাজোটের মনোনয়ন দেওয়া হয়।
আর অন্য কোনো আসনে জাতীয় পার্টির কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। কয়েকটি আসনে লাঙ্গলের প্রার্থী মাঠে থাকলেও তাদের নিয়ে কোন আলোচনা নেই। নৌকার প্রার্থীদের আসনে এরশাদের লাঙ্গলের প্রার্থীদের ভোটের লড়াইয়ে থেকে যাওয়াকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ‘রাজনৈতিক কৌশল’ বললেও বাঁশখালীতে লাঙ্গল আতঙ্কে আছেন নৌকার সমর্থকেরা।
চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) আসন ছেড়ে দেওয়া হয় জামায়াতকে। ওই আসনে জামায়াতের নায়েবে আমির আ ন ম শাসমুল ইসলাম ধানের শীষের প্রার্থী। অথচ জামায়াত বাঁশখালী আসনে প্রার্থী দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। গেল উপজেলা নির্বাচনে তাদের প্রার্থী মাওলানা জহিরুল ইসলাম নির্বাচিত হন। তিনি দলের কোন বড় নেতা না হলেও শুধুমাত্র উপজেলায় তিনি ভোট পেয়েছেন এ কারণে তাকে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী করে জামায়াত।
ভোটারদের আশঙ্কা ঐক্যফ্রন্টের এই দুই প্রার্থীর ভোট কাটাকাটি হয়ে যাবে। নৌকার সমর্থকেরাও লাঙ্গলে ভোট কাটার আশঙ্কা করছেন। ফলে আপেল আর লাঙ্গলে এবার ধানের শীষ-নৌকার ভোটের হিসাব পাল্টে যেতে পারে বলেও মনে করছেন ভোটারদের কেউ কেউ।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (7)
Kabir Sardar ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৬ এএম says : 0
ধানের শীষে ভোট দিন
Total Reply(0)
Arfan Younus ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৬ এএম says : 0
আপেল মার্কায় ভোটদিন
Total Reply(0)
Hasan Raza ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৮ এএম says : 0
ধীরে ধীরে হলেও পরিস্থিতি ঐক্যফ্রন্টের নিয়ন্ত্রনে চলে আসছে।
Total Reply(0)
Parvej Khan ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৮ এএম says : 0
ভাবতে ১টু খারাপ লাগছে। ছাত্রলীগের পদে থাকা অবস্থায় ধানের শীষে ভোট দিতে হচ্ছে। কারন আওয়ামীলীগ লীগ কখনোই চাকরিতে প্রবেশের বয়স বাড়াতে পারবে না। কিন্তু ঐক্যফ্রন্ট অবশ্যই বাড়াবে।
Total Reply(0)
Hira Biswas ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৯ এএম says : 0
যতক্ষন সরকার বিরোধীরা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা না দিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত হামলা মামলা চলবে । ইটাই বাংলাদেশের গনতন্ত্র।
Total Reply(0)
Hira Biswas ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৯ এএম says : 0
যতক্ষন সরকার বিরোধীরা নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা না দিবেন ততক্ষণ পর্যন্ত হামলা মামলা চলবে । ইটাই বাংলাদেশের গনতন্ত্র।
Total Reply(0)
Al-Mehedi Hasan ১৮ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:০৯ এএম says : 0
নৌকার মিছিল শেষে টাকা আর বিরিয়ানী, ধানের শীষের মিছিল শেষে গ্রেপ্তার এড়ানোর জন্য দৌড়ানি, এ কেমন হয়রানি???
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন