রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

ঢাকা ৬ আসনের ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী প্রচারে নেমেছেন

সায়ীদ আবদুল মালিক | প্রকাশের সময় : ১৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৫ এএম

ঢাকা-৬ নির্বাচনী এলাকায় লাঙ্গল প্রতীকের প্রচার অনেক আগে থেকে শুরু হলেও গত শুক্রবার থেকে ধানের শীষের প্রচার শুরু হয়েছে। তবে প্রচারে নেমেই ইতোমধ্যে কয়েক দফায় হামলার শিকার হয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও গণফোরামের নেতা অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরীর নেতাকর্মীরা। ঢাকার এই নির্বাচনী আসনটিতে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দলীয় কোন প্রার্থী নেই। তবে মহাজোটের প্রার্থী জাতীয় পার্টির নেতা কাজী ফিরোজ রশিদ লাঙ্গল আর ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী গণফোরামের নেতা অ্যাড. সুব্রত চৌধুরী ধানের শীষ নিয়ে এই এলাকায় দুই প্রধান জোটের সমর্থনে নির্বাচনী প্রচারে নেমেছেন। 

পুরান ঢাকার সূত্রাপুর, ওয়ারী, গেন্ডারিয়ার পুরোটা এবং কোতোয়ালী ও বংশালের একাংশ নিয়ে গঠিত এই আসনটিতে দুই জোটের পক্ষে তাদের নেতা কর্মীরা এখন জোর প্রচারে ব্যস্ত। প্রধান দুই দলের মধ্যেই চলছে এখন নানান হিসেব-নিকেষের খেলা। এই আসন থেকে এক সময় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার পথ ধরে ১৯৯১ সালে শেখ হাসিনা এই আসনে প্রার্থী হয়েছিলেন। কিন্তু সেবার তাকে হারতে হয়েছিল বিএনপির প্রার্থী সাদেক হোসেন খোকার কাছে।
সরেজমিন ঢাকা-৬ আসনের সূত্রাপুর, কোতোয়ালী থানার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মহাজোট সমর্থিত জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদের লাঙ্গলের পোস্টারে ছেয়ে আছে পুরা এলাকা। গত শুক্রবার বিকেলে ধানের শীষের পক্ষে ধোলাইখালের সাদেক হোসেন খোকা খেলার মাঠ থেকে প্রচারণার উদ্বোধন করা হলেও প্রচারণায় নেই তেমন একটা তৎপরতা। তবে ফেসবুকে সুব্রত চৌধুরীকে ধানের শীষের পক্ষে এবং আওয়ামী লীগের বিপক্ষে কিছু পোস্ট শেয়ার করতে দেখা গেছে।
এদিকে গতকাল সোমবার সকাল থেকেই ঢাকা-৬ আসনের নির্বাচনী প্রচারে নামেন মহাজোট প্রার্থী কাজী ফিরোজ রশিদ। এসময় তিনি এক পথসভায় বলেন, অনেকে নির্বাচন বর্জনের হুমকি দিচ্ছেন। সে হুমকিতে আমরা বিচলিত নই। জনগণ আপনাদের সাথে নেই। দেশবাসী তাদের আগুন সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের কথা ভূলে নাই। দেশবাসী সজাগ, কোনো ষড়যন্ত্র করেই নির্বাচন বানচাল করা যাবে না। পরে লোহারপুল, ডিস্টিলারি রোড, দীননাথ সেন রোডে গণসংযোগ করেন। বৃষ্টিতে ভিজে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী কাজী ফিরোজের সাথে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন।
এই আসনেটিতে এবারই প্রথম প্রার্থী হয়েছেন গণফোরেমের নেতা সুব্রত চৌধুরী। দুই লাখ ৬০ হাজার ভোটারের ঢাকা-৬ আসনে ফিরোজ রশীদ ও সুব্রত চৌধুরী ছাড়াও ছয়জন প্রার্থী হয়েছেন। তবে প্রতিদ্ব›িদ্বতা ধানের শীষ ও লাঙ্গলের মধ্যেই যে হচ্ছে তা ্ওক প্রকার নিশ্চিত বলে জানান এলাকাবাসী। এছাড়াও বহুল আলোচিত ব্যবসায়ী মুসা বিন শমসেরের ছেলে ববি হাজ্জাজ এ আসনে হারিকেন মার্কায় প্রার্থী হয়েছেন। তার দল ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) নিবন্ধন না থাকায় তিনি বাংলাদেশ মুসলিম লীগের প্রতীক নিয়েছেন। এ আসনের অন্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির মোহাম্মদ আবু তাহের হোসেন (কাস্তে), জাতীয় পার্টি-জেপির সৈয়দ নাজমুল হুদা (বাইসাইকেল) ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাজী মোহাম্মদ মনোয়ার খান (হাতপাখা), গণফ্রন্টের আহমেদ আলী শেখ (মাছ), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির মোহাম্মদ আক্তার হোসেন (আম)।
এই এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে বসবাসবকারী ধোলাইখাল এলাকায় গাড়ির যন্ত্রাংশ বিক্রেতা মোহাম্মদ রতন মিয়া বলেন, এলাকাটা তো বিএনপির ছিল। বার বার খোকা সাহেব নির্বাচিত হয়েছেন। এই যে চারপাশে যা দেখছেন, সবাই বিএনপি করে। এখানে এমনও লোক আছে তারা যদি রাস্তায় নামে, তাদের একজনের ডাকে হাজার হাজার মানুষ নামবে। কিন্তু কেন যেন তারা সবাই চুপচাপ!
তার সাথে কথা বলে জানা গেছে, সে এবার তার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে উদগ্রীব হয়ে অপেক্ষা করছেন, তবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হলে সে ভোট দিতে কেন্দ্রে যাবেন। তাই সে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চান বলে জানান। তিনি বলেন, জোর করে ভোট নিয়ে জেতার মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই।
ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, কোতোয়ালি এলাকায় রিকশা চালান ঝিনাইদহের যুবক ইকবাল হোসেন। প্রচার কার বেশি- জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখানে-সেখানে লাঙ্গলের জন্য ছোট ছোট মিছিল দেখি, হঠাৎ হঠাৎ সমাবেশও করে। আবার নৌকাও বলে। ওয়ারী এলাকায় তো ধানের শীষের কোনো পোস্টার দেখলাম না।
স্থানীয় একটি স্কুলের খÐকালীন শিক্ষক আব্দুল হালিম বলেন, সবাই মাঠে আসুক, তখন যদি কেউ কাউকে বাধা দেয় মিডিয়া ডেকে বলা হোক, ইসিতে গিয়ে অভিযোগ করুক। ###

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন