একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোলা-২ আসনে নির্বাচনী পরিবেশ ক্রমশই উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। নির্বাচনী মাঠে নৌকার প্রার্থীকে দেখা গেলেও মাঠে দেখা যাচ্ছে না বিএনপি প্রার্থীকে। তবে নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে উভয় প্রার্থী একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলেছেন। গতকাল দুপুরে ভোলার বোরহানউদ্দিনে নিজ বাস ভবনে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিম বলেছেন, প্রতিপক্ষ আ.লীগ প্রার্থীর লোকজনের বাধার মুখে নির্বাচনী প্রচারণায় নামতে পারছেন না। নিজ বাসায় তাকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। আ.লীগ প্রার্থীর ক্যাডাররা তার বাসার সামনে অস্ত্র নিয়ে বসে থাকছে। দলীয় লোকজন আমার বাসায়ও ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। আমার বাসায় ইট পাটকেল মারছে। আমাকে বিভিন্ন প্রকারের হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলেন, এ পর্যন্ত দুই মামলায় বিএনপির ৭০০ জনকে আসামি করা হয়েছে, ওই মামলায় অন্তত ২০০ জনকে আটক করেছে পুলিশ। নতুন নতুন মিথ্যা মামলা দিচ্ছে আমার নেতা কর্মীদের নামে। প্রতিপক্ষরা হামলা চালিয়ে অন্তত ৫০ জনকে আহত করেছে। প্রকাশ্যে রাস্তায় সরকার দলীয় লোকজন দা, বগি, রামদা নিয়ে মহড়া দিয়ে এলাকায় ভোটারদের হুমকি দিচ্ছে ভোট কেন্দ্রে না যাওয়ার জন্য। এসব নিয়ে রির্টানিং অফিসার বা প্রশাসনকে ২৪টি অভিযোগ দেয়া হলেও তারা কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাফরুজা সুলতানা, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের নেতা রফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে একই দিন নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আ.লীগ প্রার্থী আলী আজম মুকুল। তিনি বলেন, বিএনপি প্রার্থী হাফিজ ইব্রাহিমকে কেউ বাধা দেয়নি, তার নির্দেশে ২০০১ সালের পর সাধারণ মানুষের উপর নির্মম নির্যাতন করা হয়েছিলো, যে কারণে মানুষ ক্ষুদ্ধ হয়ে আছে, তিনি লোক লজ্জায় ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। তিনি দীর্ঘদিন এলাকায় আসেনি কোন মানুষের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই। যার জন্য মানুষ তাকে প্রত্যাখান করছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন