চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনে হামলার শিকার হয়েছেন ধানের শীষের প্রার্থী। রোববার দুপুরে নির্বাচনী প্রচারণাকালে প্রার্থী কর্ণেল (অব.) আজিম উল্লাহ বাহার এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সদস্য ও সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জীর উপর হামলা করেছে প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা। এতে অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছে। দক্ষিণ ফটিকছড়ির মুহাম্মদ তকিরহাট বাজারে এ হামলার ঘটনা ঘটে। অর্ধ শতাধিক নেতা-কর্মী নিয়ে দক্ষিণ ফটিকছড়িতে গণসংযোগে বের হন তিনি। ১০-১৫জন নৌকা সমর্থক কর্মী কিরিচ-লাঠি নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করে হামলে পড়ে এবং লাঠির আঘাতে প্রার্থীর পেছনের দিকে মাথা ফেটে যায়। এ সময় এলোপাতাড়ী আঘাতে সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জীর বাম হাত পিটিয়ে ভেঙ্গে দেয় দুবৃত্তরা। উপর্যুপরি আঘাতে ছাত্রদল নেতা সাইফুল ইসলাম টিটুর মাথা ফেটে যায় এবং সাবেক চেয়ারম্যান শহিদুল আজমসহ অন্তত ২৫ নেতা-কর্মী গুরুতর আহত হয়। অন্যান্য আহতরা হলেন, উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আজম খান, যুবদল নেতা আহমদ রশীদ চৌধুরী, আমিন তালুকদার, ফয়েজ তারেক, ছাত্রদল নেতা মোরশেদ হাজারী, মোহাম্মদ মাসুদ, গিয়াস উদ্দীন, মোহাম্মদ সোহেল, আলাউদ্দীন কাজল, মোহাম্মদ ইব্রাহিম, মাওলানা নুরুল আলম, মাহিন, এনাম, রায়হান।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেয়। হামলার খবর পেয়ে ফটিকছড়ি ইউএনও মোহাম্মদ মুশফিকুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ জানে আলমসহ বিজিবি-পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং বিএনপি প্রার্থী আজিম উল্লাহ বাহারসহ আহতদের হাসপাতালে দেখতে যান। এ সময় ইউএনও সাংবাদিকদের বলেন, প্রকৃত ঘটনা তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এতে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। আজিম উল্লাহ বাহার বলেন, নৌকার প্রার্থী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমার উপর আক্রমণ করিয়েছে। আমাকে ভয় দেখানোর জন্যই এ আক্রমণ। আমি সৈনিক আক্রমণকে ভয় পাই না। আমার প্রতিপক্ষ প্রার্থী তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে এ আক্রমণ করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করছিলাম। ধানের শীষের শ্লোগান দিয়ে লিফলেট বিতরণ করা কালে নৌকার সন্ত্রাসীরা আমার উপর আক্রমণ করে।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেন, ওনি অসত্য কথা বলেছেন। ওনি আমার প্রতিদ্বদ্ধি সত্য; প্রতিপক্ষ নন। ওনার কাছ থেকে এ ধরণের মিথ্যা কথা আশা করি না। এ ঘটনার পর পুরো ফটিকছড়ি জুড়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। ধানের শীষের সমর্থকরা বিকেলে নাজিরহাট বাজারে তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ মিছিল বের করে এবং ঝংকার মোড়ে নৌকার একটি মাইকিং সিএনজি ভাঙচুর করে। এ সময় পুলিশ ৬-৭ জন বিএনপি কর্মীকে আটক করেছে। এর প্রতিবাদে সন্ধ্যায় নজিবুল বশরের সমর্থকরাও নাজিরহাট বাজারে পাল্টা লাঠি মিছিল বের করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন