বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইসলামী প্রশ্নোত্তর

শুনেছি বৃহস্পতিবার মৃত ব্যক্তি তাদের আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে আসে। এটি কতটুকু সত্যি আর যদি আসে তাহলে একজন ভালো মুসলমান হিসেবে আমাদের কি করনীয়?

সুমন হোসেন মিরাজ
রাজশাহী

প্রকাশের সময় : ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:১৫ এএম

উত্তর : মৃত ব্যক্তি কখনোই আত্মীয়-স্বজনের সাথে দেখা করতে আসে না। আসে কেবল শহীদরা। শহীদ মানে কোরআন সুন্নাহ অনুযায়ী শরীয়তসম্মত শহীদ। শহীদের রুহ দুনিয়াতে তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে আসতে পারে। তারা জীবিত মানুষের ন্যায় আল্লাহর পক্ষ থেকে রিজিকপ্রাপ্ত হয়। সাধারণ মৃতরা রুহের জগতে থাকে। ঈমানদারদের রুহ থাকে ইল্লিয়্যিনে, আর কাফিরের রুহ থাকে সিজ্জিনে। এ দু’টো জগতের অবস্থান সম্পর্কে আল্লাহই ভালো জানেন। তবে, যে কোনো সময় মৃত ব্যক্তির জন্য মাগফেরাতের দোয়া করলে সঙ্গে সঙ্গে তা মৃতের রুহে পৌছে দেওয়া হয়। নফল নেক কাজের সওয়াবও পৌঁছে দেওয়া হয়। বিশেষত দান-সদকার। দুনিয়ায় করে যাওয়া তার সদকায়ে জারিয়া. দীনি ইলম প্রসারের ব্যবস্থা এবং সন্তানের নেক দোয়া মৃত্যুর পরও সবসময় তার রুহে পৌঁছুতে থাকে। যে কোনো সময় মৃতের কবর জিয়ারত করলে, তাকে সালাম ও দোয়া জানালে তৎক্ষণাত আল্লাহ তায়ালা ওই মৃত ব্যক্তির রুহ কবরে ফিরিয়ে দেন। আর সে সালামের জবাব দেয়। পরিচিত হয়ে থাকলে জিয়ারতকারীকে চিনে। বৃহস্পতিবারের যে কথাটি প্রশ্নে এসেছে এর তাৎপর্য হলো, প্রতি বৃহস্পতিবার তথা জুমা পূর্ব রাতে কবরবাসীরা যে কোনো জিয়ারতকারীর অপেক্ষায় থাকে। কেউ যদি জিয়ারতে যায় কিংবা ঘরে বসেই সওয়াব পাঠায় তাহলে পুরা কবরবাসী আনন্দিত হয়। এমনও আছে কোনো মানুষ ঘনঘন যদি নিজ পিতা-মাতা বা আত্মীয়ের কবর জিয়ারতে যায়, তাহলে সঙ্গের কবরবাসীরা তার বাবা-মা বা আত্মীয়ের রুহকে জিজ্ঞেস করে আজ কি তোমার ছেলে, নাতি, ভাই, ভাতিজা বা আত্মীয়টি আসবে না, বা এখনও আসছেনা কেন? কিংবা এ বৃহস্পতিবার এলো না কেন? তাহলে তো আমরাও তার দোয়ার বরকতে কবরে অনেক শান্তি পেতাম। এভাবে জুমার রাত দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে কিংবা সারা সপ্তাহ যখনই কেউ কবর জিয়ারত করে, দোয়া দুরুদ পড়ে আর সব ঈমানদার নারী-পুরুষের জন্য দোয়া করে তখন সবার মধ্যেই আনন্দের সাড়া পরে যায়। এক হাদীসে আছে, মৃত ব্যক্তিরা সমুদ্রে হাবুডুবু খাওয়া মানুষের মত, যে একটা অবলম্বনের জন্য হা-হুতাশ করতে থাকে। যদি কোনো ডিঙ্গি বা কাঠের টুকরা পায় অথবা কোনো উদ্ধারকারী তাকে জাহাজে উঠায় তখন তার যেমন আনন্দ লাগে, মৃত ব্যক্তির জন্য দোয়াকারী, জিয়ারতকারী, সওয়াব রেসানীকারী লোকটিকে মৃতের তেমনই প্রিয় ও কাঙ্খিত বলে মনে হয়। এসব বর্ণনার আয়াত ও হাদীস উত্তরে উল্লেখ করা সম্ভব নয়। বিশেষভাবে এসব জানতে চাইলে ৭ শতাব্দি আগের মনীষী, মুসলিম উম্মাহর অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেম আল্লামা ইবনুল কাইয়্যিম আল জাওজিয়্যা রচিত ‘কিতাবুর রুহ’ অধ্যয়ন করা যেতে পারে।

সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (6)
সাইফ মুহাম্মদ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:৪৭ এএম says : 0
নামাজের সময় ঈমাম সাহেব কুরআন শরীফ হাতে নিয়ে দেখে দেখে সুরা সমুহ পরা জায়েজ আছে কিনা?
Total Reply(0)
ফারুক আহাম্মেদ ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৮:৪৪ এএম says : 0
আলহামদুল্লিহ
Total Reply(0)
রবিন ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮, ২:১৬ পিএম says : 0
এখানে আপনি আপনার মন্তব্য করতে পারেন **নবিজিকে বসে সালাম দেওয়া কি জায়েজ
Total Reply(0)
আজিম তালুকদাৱ ২৭ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:৪০ পিএম says : 0
একজন মাণুষ মৱে গেলে একশত বছৱ পৱে তাহকে একটা মাণুষ মৱে যাওয়াৱ একশত বছৱ পৱে সবাই বুলে যাবে,ঐসময় কবৱ জিয়াৱতেৱ ব্যপাৱে কি হবে?
Total Reply(0)
আমির হোসেন নিরব ২৯ ডিসেম্বর, ২০১৮, ৭:৩৮ এএম says : 0
শীতকালে চামের মোজা পরে কিভাবে পা না ধুয়ে অজু করা যায়, বিস্তারিত ভাবে জানাবেন কি?
Total Reply(0)
Shaddum ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:৪৬ এএম says : 0
Ami dog palte chai Ata ki muslim dorme bidan ase
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন