বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির প্রতি আস্থা হিলারির চেয়ে বেশি

প্রকাশের সময় : ৮ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রের ৫৭ শতাংশ নাগরিক ট্রাম্পের পররাষ্ট্রনীতির (আমেরিকা ফার্স্ট) প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। প্রতিপক্ষ ডেমোক্রেটিক পার্টির মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ফার্স্ট লেডি হিলারি ক্লিনটনের পররাষ্ট্র নীতিতে আস্থা দেশটির ৩৭ শতাংশ নাগরিকের। এ নিয়ে অবশ্য ভাবনা-চিন্তা নেই ৫ শতাংশ নাগরিকের। দেশজুড়ে পিউ রিসার্চ সেন্টারের জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। আর বিপরীত অবস্থান রক্ষ্য করা যায় ডেমোক্রেটিক পার্টির সমর্থকদের মধ্যে। প্রেসিডেন্ট পদে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী হিলারি ক্লিনটনের পররাষ্ট্রনীতিকে যৌক্তিক মনে করেন সমর্থকদের অধিকাংশই। হিলারির প্রস্তাবে সমর্থন রয়েছে ৫৫ শতাংশ ডেমোক্রেট সমর্থকের। তারা দলীয় মনোনয়নের বাছাই পর্বের ভোটে হিলারিকে সমর্থন দিয়েছেন, দিচ্ছেন এবং দেবেন। তারা মনে করেন, হিলারির বক্তব্য সঠিক। সমর্থকদের বাকি ৪৫ শতাংশ মনে করেন, বিশ্বে মোড়লগিরি করা যুক্তিসঙ্গত হবে না। এখন দেখার বিষয় সব বাধা ও আপত্তি উপেক্ষা করে ব্যবসায়ী থেকে হঠাৎ রাজনীতিক বনে যাওয়া ট্রাম্প শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন আদায় করতে সক্ষম হন কিনা। ট্রাম্পের ‘আমেরিকা প্রথম’ নীতি নাগরিকদের কাছে আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু। ভিনদেশে কারণে-অকারণে হস্তক্ষেপ নিয়ে আপত্তি রয়েছে অনেকের। জরিপে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ নাগরিক মনে করেন, আমেরিকার উচিত প্রথমে নিজের সমস্যা নিয়ে কাজ করা। রিপাবলিকান সমর্থকদের ৬৫ শতাংশথযারা দলীয় মনোনয়নের বাছাই পর্বের ভোটে ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছেন, দিচ্ছেন এবং দেবেন, তারাথমনে করেন, পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য যথাযথ। সমর্থকদের বাকি ৩৫ শতাংশ মনে করেন, বিশ্ব অর্থনীতি নিয়ে আমেরিকার নাক গলানো ঠিক নয়।
অপর খবরে বলা হয়, রিপাবলিকান প্রার্থী জন কাসিচ রণেভঙ্গ দেয়ায় প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থিতা অনেকটা নিশ্চিত হলেও এখনো পার্টির মধ্যে রয়েছে ব্যাপক বিরোধিতা। যেমন, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার পল রায়ান জানিয়েছেন, তিনি দেশটির আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করেন না। রিপাবলিকান পার্টি থেকে নির্বাচিত সর্বোচ্চ পদে আসীন রায়ান বলেন, আমি তা করার জন্য পস্তুত নই। কারণ, আমি এখন সেখানে নেই।
তবে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার আহ্বান জানিয়ে রিপাবলিকান পার্টির মূল্যবোধগুলো মেনে চলার জন্য আরো কিছু করার জন্য ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রায়ান। আর এর ঘণ্টাখানেক পরেই নিউইয়র্কের ধনকুবের ট্রাম্প প্রত্যুত্তরে বলেন, আমি স্পিকার রায়ানের এজেন্ডা সমর্থন করার জন্য প্রস্তুত নই, যদিও ভবিষ্যতে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি। ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেন, যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের সবচেয়ে ভালো কী হতে পারে, সেই ব্যাপারে রায়ান এবং তিনি একটি সমঝোতায় আসতে পারেন।
ট্রাম্পের ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে রায়ান বলেন, অধিকাংশ রিপাবলিকান দেখতে চায়, আমাদের মান ধরে রাখার জন্য যোগ্য কেউ রয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১২ সালে মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী মিট রমনির পাশে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়েছিলেন রায়ান। এবারকার নির্বাচনে তিনি প্রেসিডেন্ট পদে প্রার্থী হবেন বলে জোর ধারণা ছিল। কিন্তু তিনি বরাবরই সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তাব তোলার পর ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচনা করেন রায়ান। তিনি বলেছিলেন, দল এই নীতিকে সমর্থন করে না। বিবিসি, রয়টার্স, আল-জাজিরা, ফক্স নিউজ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন