উত্তর : নির্বাচনটি কি সেটি বুঝতে হবে। যদি প্রার্থী ব্যক্তিগতভাবে দাঁড়ায় এবং তার ব্যক্তিগত ধর্মবিশ্বাসকে প্রাধান্য দিতে চায়, তাহলে মুসলিম প্রার্থীর বিপরীতে বিধর্মী প্রার্থীকে ভোট দেওয়া যাবে না। তবে, নির্বাচনটি যদি আদর্শ ও নীতিমালা ভিত্তিক হয়, আর মুসলমান ভোটার যে আদর্শ ও নীতিমালাকে পছন্দ করে এর প্রতিনিধি লোকটি যদি অমুসলিমও হয়, তাহলে তাকে ভোট দেওয়া যাবে। কেননা, সে তখন ব্যক্তি নয়। মুসলমানের ফেভারিট নীতি আদর্শের প্রতিনিধি মাত্র। তার প্রতিকও আদর্শের প্রতিক। এর বিপরীতে মুসলমানের আদর্শ ও নীতিমালা বিরোধী কিংবা মুসলিম সমাজের স্বার্থ বিরোধী পক্ষের প্রতিনিধি হয়ে দাঁড়ানো মুসলমান প্রার্থীকেও ভোট দেওয়া যাবে না। যেমন, মুসলিম বাহিনীর অমুসলিম সৈনিক। তাকে নাগরিকরা সাথ দিতে পারে। বিদ্রোহী মুসলমানদেরকে সাথ বা সমর্থন দিতে পারে না।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন