সাধারণত সব ক্যান্সারের কারণ নির্ণয় করা যায় না। অবাক হলেও এ কথা সত্য যে মুখের কিছু ক্যান্সারের জন্য ভাইরাস সংক্রমনই দায়ী। এসব ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হলে এ ঘাতক ব্যাধি থেকে আমরা মুক্তি পেতে পারি। হিউম্যান প্যাপিওলোমা ভাইরাস টাইপ-১৬ ওরাল ক্যান্সারের রিস্ক ফ্যাকটর। এ ভাইরাসটি ওরাল সেক্সের মাধ্যমে সহজেই বিস্তার লাভ করতে পারে। হিউম্যান প্যাপিওলোমা ভাইরাস দ্বারা মুখের ক্যান্সার ছাড়াও মুখে জেনিটাল ওয়ার্টস বা গোটা সৃস্টি হতে পারে। মুখের ক্যান্সার ছাড়াও এ ভাইরাস সার্ভিক্স, নারী ও স্ত্রী যৌনাঙ্গ, পায়ুপথ এবং গলার ক্যান্সার সৃষ্টি করতে পারে। তবে মজার বিষয় হলো এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা প্রদানের মাধ্যমে আমরা সহজেই এ ঘাতক ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে পারি। হিউম্যান প্যাপিওলোমা ভাইরাসের বিরুদ্ধে ১০-১১ বছর বয়সের মধ্যে টিকা নিতে হবে ওরাল ক্যান্সারসহ অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধের জন্য। মোট কথা আপনার ছেলে-মেয়েদের যৌন জীবন শুরু করার পূর্বেই হিউম্যান প্যাপিওলোমা ভাইরাসের বিরুদ্ধে টিকা গ্রহণ করতে হবে। তাই এ বিষয়ে আপনার সন্তানকে উৎসাহিত করতে হবে। তবে একটি কথা মনে রাখতে হবে যে টিকা প্রদান করার অর্থ এই নয় যে টিকা দেওয়ার পর আপনার সন্তান তার খেয়াল-খুশি মত জীবন যাপন শুরু করবে।
হিউম্যান হারপিস ভাইরাস-৮ এর মাধ্যমে ক্যাপোসিস সারকোমা নামক ক্যান্সার হতে পারে। এইডস রোগে ক্যাপোসিস সারকোমা মৃত্যুর অন্যতম কারণ। শুধু মুখে নয় বরং শরীরের অন্য যেসব স্থানে ভাইরাসজণিত ক্যান্সার হয়ে থাকে তা সম্পর্কে আমাদের জানতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা আধুনিক হতে হতে এমন একটি অবস্থায় এসে দাঁড়িয়েছি যে বর্তমানে ছেলে মেয়ের বিয়ের পূর্বে অবশ্যই প্রয়োজনীয় রক্ত পরীক্ষা করে নিতে হবে। এটি এখন আর কোনো হাসির ব্যাপার নয় বরং সবার এ বিষয়ে সচেতন হয়ে একে অন্যকে সহযোগিতা করা প্রয়োজন।
ডাঃ মোঃ ফারুক হোসেন
মুখ ও দন্তরোগ বিশেষজ্ঞ
মোবাইল ঃ ০১৮১৭৫২১৮৯৭
ই-মেইল ঃ dr.faruqu@gmail.com
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন