শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

ভোট প্রয়োগে ব্যাকুল ভোটাররা

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

আজ প্রত্যাশিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ‘আমার ভোট আমি দেবো, যাকে খুশী তাকে দেবো, ভোট আমার অধিকার, আমানত, নৈতিক ও ঈমানী দায়িত্ব’। ভোটাররা এমন মানসিকতা নিয়েই বাধভাঙ্গা জোয়ারের মতো আজ ছুটবেন ভোটকেন্দ্রে। আসলেই ভোটাধিকার প্রয়োগে যেন ব্যাকুল হয়ে ওঠছেন ভোটাররা। জাতীয় এই নির্বাচন নিয়ে কত খেলায় না হয়েছে। শেষ পর্যন্ত ভোটারদের মনে ভয় ধরাতে পারেনি কেউ। দেশের বিভিন্ন এলাকায় ভোটারের সঙ্গে কথা বললে তাদের এমন মনোভাব স্পষ্ট হয়। দলমত নির্বিশেষে প্রত্যেকেরই প্রত্যাশা, অবাধ-সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ভোট হোক। ভোটারদের কোনরূপ শঙ্কা, ভয়-ভীতি স্পর্শ করবে না, তারা নির্ভয়ে হাসি-খুশিভাবে বাড়ি থেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। ভোট বিশ্লেষকদের কথা, ভোটারদের বিশেষ করে নতুন ভোটারদের তীব্র অনুভুতি রয়েছে এই ভোট নিয়ে। তারা উন্মুখ হয়ে আছেন ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য।

সর্বশেষ পরিস্থিতিতে রীতিমতো নতুন উদ্যোমে আজ ভোট কেন্দ্রে নামছেন ভোটাররা। দীর্ঘ ১২ বছর পর জাতীয় নির্বাচন হওয়ায় ভোটের প্রতি ভোটারদের প্রচণ্ড আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে না পেরে সবখানেই জোরালো এই আওয়াজ উঠেছে ‘আমরা শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে চাই। নিজেদের ইচ্ছামাফিক ভোট কেন্দ্রে যাবো। যাকে পছন্দ ভোট দেবো’। দেশের ৩ শ’ আসনের কয়েকটি বাদে সবখানেই তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বিপূর্ণ নির্বাচন হবে বলে আভাস পাওয়া গেছে। ভোটাররাও চায়, স্বতঃস্ফুর্ততা ও খুশীর বন্যায় ভেসে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে। ভোটাররা প্রত্যাশা করেছেন, যোগ্য-দক্ষ ও শুভবুদ্ধিসম্পন্ন পছন্দের প্রার্থী নির্বাচিত করার পরিবেশ বজায় থাকবে। শুধু ভোটাররা নন, সবারই প্রত্যাশা সুন্দর শান্তিপুর্ণ পরিবেশে ভোট হোক। নতুন করে জাতীয় নির্বাচন যেন কোনরূপ অনিশ্চয়তার বেড়াজালে আবদ্ধ না হয়।
নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আজ রোববার দেশের ৪০ হাজার ১ শ’ ৯৯টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণের যাবতীয় প্রস্ততি সম্পন্ন। বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় নানামুখী বাধা বিপত্তি, সহিংসতা, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শন, পুলিশী ধরপাকড়, হামলা-মামলা, হয়রানী, নির্যাতনসহ বহুমুখী সমস্যা উপেক্ষা করে সাহসের সঙ্গে সকল প্রার্থী ও ভোট কর্মীরা নির্বাচনের মাঠে আছেন। এই সাহসের জন্য অনেকেই সাধুবাদও জানিয়েছেন। অনেকেই বলেছেন, শুধু ভোটযুদ্ধ নয়, যে কোন খেলা বা প্রতিযোগিতা তুমুল প্রতিদ্বন্দ্বীতাপূর্ণ না হলে সেটি গণ্য হয় না।

গত কয়েকদিন মানুষের মধ্যে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আনন্দ-উচ্ছাস দেখা যাচ্ছে। প্রধান দুই নির্বাচনী জোট মহাজোট ও ঐক্যফ্রন্ট অস্তিত্বের লড়াই হিসেবেই দেখছে জাতীয় এই নির্বাচন। শেষ মুহূর্তে দুই নির্বাচনী জোটের প্রার্থীদের নানাভাবে ভোটারদের আকৃষ্ট করতে দেখা গেছে। দুই জোটের ভোট কর্মীরা তৎপর। দৃশ্যত ঐক্যফ্রন্টের নেতা কর্মীরা অতিমাত্রায় সাহসী হয়ে উঠেছেন।
শেষ সময়ে অর্থাৎ গতকাল শনিবার রাতেও দেশের বিভিন্নস্থানে দফায় দফায় নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা ও বিচার-বিশ্লেষণ করার খবর পাওয়া গেছে। সবার মাথায় একটা কথাই ঘুরপাক খাচ্ছে, যা কিছুই হোক না কেন অতীত ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় ভোটাররা সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্তটি নিতে কখনোই ভুল করেন না।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন