ফেনী জেলা সংবাদদাতা
ফেনীর পরশুরাম উপজেলার একমাত্র মহিলা মাদ্রাসাটি ১৯ বছরেও এমপিওর স্বীকৃতি পায়নি। ফলে মাদ্রাসা শিক্ষক ও কর্মচারীরা স্বীকৃতি বঞ্চিত হয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরেজমিন পরিদর্শনে মাদ্রাসার সুপার, শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীরা জানান, ১৯৯৮ সালে উপজেলার সলিয়ায় হযরত ফাতেমাতুজ জোহরা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশিষ্ট পীরে কামেল হযরত কামাল মামা এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। অত্র মাদ্রাসা নারী শিক্ষার উন্নয়নে এবং এলাকার শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। ভালো ফলাফল ও সুনামের জন্য ২০০৫ সালে নবম শ্রেণি খোলার অনুমতি পায় মাদ্রাসাটি। ব্যাপক সাড়া পেয়ে ২০০৭ সালে দাখিল চালু করেন কর্তৃপক্ষ। প্রথম শ্রেণি থেকে দাখিল দশম শ্রেণি পর্যন্ত অত্যন্ত সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে এ মাদ্রাসা। অভিজ্ঞ শিক্ষকমন্ডলী, দক্ষ ম্যানেজিং কমিটি এবং অভিভাবকদের সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে এলাকার প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে প্রাণবন্ত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম সলিয়া ফাতেমাতুজ জোহরা মহিলা মাদ্রাসা। অভিভাবকদের ব্যাপক অনুরোধের কারণে বর্তমানে এ মাদ্রাসায় অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র ভর্তি করানো হয়েছে। চালুর পর থেকে সুপার ও শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ব্যাপক সাফল্য পেলেও অদ্যাবধি এমপিওর অনুমতি না পাওয়ায় মানবেতর জীবন-যাপন করছেন ১৫ জন শিক্ষক-কর্মচারী। মাদ্রাসা সুপার মাওলানা এমএ মনসুর মোল্লা জানান, এমপিওর জন্য তিনি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড ও মন্ত্রণালয়ে যাবতীয় কাগজপত্র জমা দিয়েছেন। মাদ্রাসাটিকে এমপিওভুক্তকরণে বর্তমান সুপার শিক্ষাবান্ধব প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন। বর্তমানে এ মাদ্রাসায় ২৮৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে। ২০১৫ সালের পঞ্চম সমাপনী পরীক্ষায় এ মাদ্রাসার ৬১ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে ৫৯ জন পাস করে। ফলাফলে ১৪ জন শিক্ষার্থী মেধার স্বীকৃতি স্বরূপ বৃত্তি লাভ করে। এর মধ্যে ৪ শিক্ষার্থী ট্যালেন্টপুলে এবং ১০ শিক্ষার্থী সাধারণ বৃত্তি লাভ করে। মাদ্রাসা সুপার, শিক্ষক, এলাকাবাসী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবি অবিলম্বে উপজেলার একমাত্র মহিলা মাদ্রাসাটিকে এমপিওভুক্ত করে পাঠক্রম অব্যাহত রাখা হোক।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন