একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘ভুয়া ভোটে ভুয়া নির্বাচন’ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, ভুয়া বিজয় নিশ্চিত করার জন্য ৩/৪ ধরনের প্রহসন ও কারচুপির বলয় আগেই তৈরি করেছিলো শাসক দল। রাতেই বাক্স ভর্তি করা হয়। এর মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ন্যুনতম ভিত্তিকে এভাবে বলি দেওয়ার ব্যবস্থা তারা আগেই করে রেখেছিল। গতকাল রাজধানীর পল্টন কমিউনিটি সেন্টারে ভোট প্রদান শেষে কয়েকি েেভাটকেন্দ্র পরিদর্শন করে তিনি তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ভুয়া ভোটে যারা নির্বাচিত হচ্ছেন তারা ভুয়া এমপি ভুয়া জনপ্রতিনিধি।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচনের নামে যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে একটি ভুয়া নির্বাচন। যাদেরকে এভাবে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করার আয়োজন করা হয়েছে তারা নিজেদেরকে কোনোমতেই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি বলে দাবি করতে পারবে না।
সিপিবি সভাপতি বলেন, শুরু থেকেই সরকার প্রতিপক্ষের প্রার্থী ও কর্মীদের ওপর সন্ত্রাস চালিয়ে, প্রতিপক্ষের প্রচারণা কাজে হামলা চালিয়ে এবং জনগণের মধ্যে নানা গুজব ছড়িয়ে সর্বত্র এক শ্বাসরুদ্ধকর ভীতির পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। ভোটের আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে রাখা হয়েছিলো। নির্বাচন শুরু হওয়ার পরেও, নামমাত্র ভোটারের উপস্থিতির সুযোগ নিয়ে প্রতিপক্ষের এজেন্টদেরকে জোর করে বের করে দিয়ে নিজেরাই ভোট দেয়।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের এই শীর্ষ নেতা বলেন, নির্বাচনের নামে যা হচ্ছে তা সম্পূর্ণভাবে একটি ভুয়া নির্বাচন। যাদেরকে এভাবে নির্বাচিত বলে ঘোষণা করার আয়োজন করা হয়েছে তারা নিজেদেরকে কোনোমতেই জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি বলে দাবি করতে পারবে না। জনগণ তাদেরকে ‘ভুয়া প্রতিনিধি’ বলেই বিবেচনা করবে। ‘ভুয়া প্রতিনিধিদের’ নিয়ে গঠিত সংসদও ‘জনপ্রতিনিধিদের সংসদের’ মর্যাদা দাবি করতে পারবে না। সেটিকে জনগণ ‘ভুয়া সংসদ’ হিসেবেই গণ্য করবে। গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থার ন্যূনতম ভিত্তিকে এর দ্বারা বলি দেওয়া হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন