শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

দশ কারণে হিলারির কাছে হারবেন ট্রাম্প

প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মনোনয়ন লড়াইয়ে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী জন কেসিকও প্রার্থী হওয়ার লড়াই থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে ডোনাল্ড ট্রাম্পের মনোনয়ন অনেকটাই নিশ্চিত। অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিপক্ষ হতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট দলের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। অনেকেই বলছেন বেশ কিছু কারণে সাধারণ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত হিলারিই ট্রাম্পকে হারিয়ে দেবেন। ওয়াশিংটন পোস্ট নভেম্বরের নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পরাজয়ের এরকম অন্তত দশটি কারণ খুঁজে পেয়েছে।
প্রথমত, মার্কিন অর্থনীতি এখন যথেষ্ট ভাল। কর্মসংস্থান প্রতিবেদন অগ্রণী না হলেও শ্রমবাজারে বড় ধরনের কোনো পতনের লক্ষণ নেই। ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হয়েছে যেখানে বেকারত্বের হার শতকরা মাত্র ৫ ভাগ। রক্ষণশীল অর্থনীতিবিদ ডোগ হোল্জ-উয়াকিন বলছেন, আরেকটি ভাল সংবাদ হচ্ছে যে, গত কয়েক বছরে ঘণ্টায় গড় আয় শতকরা ০.৩ ভাগ থেকে বেড়ে ২.৫ ভাগ হয়েছে। কর্মসপ্তাহ খানিকটা কমেছে। দুটো এক সাথে করলে দেখা যাচ্ছে, সাপ্তাহিক গড় আয় অকেটাই বেড়েছে। ২০০৮ সালের মতো বড় ধরনের অর্থনৈতিক সংকট আপাতত নেই। দ্বিতীয়ত, মার্কিন অর্থনীতি বিষয়ে ট্রাম্পের বেপরোয়া ভাব। অর্থনৈতিক বিষয়গুলোর ব্যাপারে ডোনাল্ট ট্রাম্প এতই বেপরোয়া ও ভীতিকর যে এমনকি তার নিজ দল রিপাবলিকানরা পর্যন্ত তাকে ভয় পাচ্ছেন। তৃতীয়ত, ভাঙনের পর্যায়ে না হলেও রিপাবলিকান দল ভয়ানকভাব বিভাজিত। তাদের অনেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন দিচ্ছেন না। দাতাগোষ্ঠী ইতোমধ্যে টাকা-পয়সা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে এবং সাবেক দুই প্রেসিডেন্টসহ রিপাবলিকান দলের অনেকেই ট্রাম্পকে সমর্থন করেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। এমনকি অন্যতম প্রভাবশালী রিপাবলিকান পল রায়ান বলছেন, তিনি ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করতে পারছেন না। চতুর্থত, দলের মধ্যে যে বিভাজন রয়েছে ট্রাম্পের সাঙ্গপাঙ্গরা তা বুঝতে পারছে না। আর এটাই সম্ভবত পরিস্থিতিকে আরো নাজুক করে তুলবে। পঞ্চমত, হিলারি ক্লিনটনের সাথে তুলনায় ট্রাম্পের অর্থের জোগানের অভাব। নিজের তহবিল থেকে তিনি আর অর্থের জোগান দিতে পারছেন না। রিপাবলিকানরা যে টাকা-পয়সা দেবে তাও কঠিন। কারণ তার অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা অনেক রিপাবলিকানের নিকট সুপরিচিত নয়। এজন্য অনেক বড় ও মাঝারি মানের দাতাদেরও ট্রাম্পকে টাকা-পয়সা দেওয়ার ইচ্ছে নেই। ষষ্ঠত, বর্ণবাদ ও যৌনতা নিয়ে কিভাবে কথা বলতে হবে সেটা সম্ভবত ট্রাম্প ছয় মাসেও শিখতে পারবেন না। ইতোমধ্যে বেশ কিছু বর্ণবাদী মন্তব্য করে ট্রাম্প ব্যাপকভাবে সমালোচিত হয়েছেন। অনেকেই বলছেন, ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার যোগ্য নয়। রিপাবলিকান ন্যাশনাল কমিটি চেয়ারম্যান রেইন্স প্রাইবাসও ট্রাম্পের সমালোচনা করে তার এই কাজের জন্য ট্রাম্পের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ট্রাম্প এটা দেখিয়ে দিয়েছেন যে অপমান ও তিরস্কারের মধ্যে নিজেকে নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা তার নেই। সপ্তমত, উপরোক্ত ছয়টি কারণেই হিলারি ক্লিনটন অনায়াসে বিজয়ী হবে। আপনাকে যা করতে হবে তা হলো শুধুমাত্র এটুকু বলা যে, আমি অ্যাডপশনের পক্ষে। অথবা এটা বলুন, না, যুক্তরাষ্ট্র তার বাধ্যবাধকতায় আটকে গেছে। তাহলেই আপনার কেল্লা ফতেহ। অষ্টমত, ট্রাম্পের বক্তব্যের কারণে হিলারির প্রচারণা এমনিতেই হয়ে যাচ্ছে।
রিপাবলিকানরা হিলারির বিরুদ্ধে যে অভিযোগ ও দাবিগুলো করে আসছে, হিলারি সেগুলোই ট্রাম্পকে আক্রমণ ও অপদস্ত করার জন্য ব্যবহার করছেন। নবমত, হিলারি বেশ ভাল করেই জানেন কিভাবে রিপাবলিকানদের কাছাকাছি পৌঁছতে হয়। সিনেটে তিনি অনেক রিপাবলিকানের সাথে ভালভাবেই কাজ করেছিলেন। দেখা যাচ্ছে অনেক রিপাবলিকানের সাথেই হিলারির পূর্ব পরিচয় রয়েছে এবং সেটা এই নির্বাচনী আবহাওয়ায় বেশ কাজে দিয়েছে। সেক্ষেত্রে নিজ দলের সবার কাছে পৌঁছতেই ট্রাম্পকে এখনো অনেকটা সময় ব্যয় ও প্রয়াস চালাতে হবে। দশমত, গণমাধ্যম। গণমাধ্যম অবশেষে ট্রাম্পের প্রতি কঠোর হচ্ছে। আগে মুক্ত মাধ্যমগুলো ট্রাম্পকে কঠিন প্রশ্ন করা এড়িয়ে গেলেও এটা আর বেশিদিন চলবে না। ওয়াশিংটন পোস্ট।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন