শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

ভারতের পিএম দফতর দু’দিন চলবে রামলীলা ময়দানে

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দিল্লির রামলীলা ময়দান থেকেই চলবে দেশ, পরপর দু’দিন- ১১ এবং ১২ জানুয়ারি। এই দু’দিনের জন্য রামলীলা ময়দানেই তৈরি করা হবে অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর (পিএমও), সেখান থেকেই দেশ চালনার প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রামলীলা ময়দানের দু’দিনের বিজেপি রাষ্ট্রীয় অধিবেশনকে ঘিরেই তৈরি হবে এই অস্থায়ী প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর। রামলীলা ময়দানে দলের অধিবেশনে পরপর দু’দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নির্ধারিত দীর্ঘ উপস্থিতির সূচি মাথায় রেখেই তৈরি করা হচ্ছে এই অস্থায়ী ‘বুলেট প্রুফ পিএমও’।
দেশ চালনার জন্য নয়াদিল্লিতে সাউথ ব্লকের স্থায়ী পিএমও-র মধ্যে যে ধরনের প্রয়োজনীয় অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে, তার অনুকরণে প্রায় সব ব্যবস্থাই থাকবে এই অস্থায়ী পিএমও-তে। এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তৈরি একটি বিশেষ অস্থায়ী কেবিনও। এর পাশাপাশি বিজেপি সভাপতি অমিত শাহর জন্যও থাকছে বিশেষ কেবিন, যেখানে দলের তরফে সব জরুরি বৈঠক করতে পারবেন অমিত শাহ নিজে। রামলীলা ময়দানের এই রাষ্ট্রীয় অধিবেশন থেকেই আনুষ্ঠানিক ভাবে লোকসভা ভোটের প্রচার শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ।
বিজেপি সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এসপিজি গ্রুপের তরফে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখা হয়েছে। ত্রিস্তরের নিছিদ্র নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হবে রামলীলা ময়দান, যেখানে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত থাকবেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সব সদস্যরা। দেশের মধ্যে এই প্রথম সাউথ ব্লকের বাইরে তৈরি করা হবে অস্থায়ী পিএমও। বিজেপির শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি দুদিনের এই রাষ্ট্রীয় অধিবেশনে উপস্থিত থাকবেন দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বিজেপির ১২ হাজারের বেশি প্রতিনিধি। থাকবেন সব রাজ্যের বিজেপি সাংসদ, বিধায়ক ও রাজ্য সভাপতিরা।
রামলীলা ময়দানের এই অধিবেশনে উপস্থিত বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রীদের জন্য তৈরি করা হবে আলাদা লাউঞ্জ। তার মধ্যে থাকবে ছোট ছোট কেবিন, যেখানে বসে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সারতে পারবেন জরুরি সব কাজ। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন দেশের সব রাজ্যের বিজেপি নেতারা, তাঁদের মধ্যে থাকবেন জেলা স্তরের প্রতিনিধিরাও। কীভাবে কংগ্রেসসহ বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রচার অস্ত্রকে ভোঁতা করে ফেলা যায়, তার উপায় দেখাবেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী মোদী। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন