বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

পৌষের শীতে লেপ-তোষকের কদর বেড়েছে দ্বিগুণ

সিরাজদিখান (মুন্সীগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম | আপডেট : ১২:১৯ এএম, ৩ জানুয়ারি, ২০১৯

বেশ কিছুদিন যাবত কনকনে শীতের চাদরে ঢেকে গেছে সারাদেশ। শীতকালে একটু বেশী যত্ম নিতে হয় শরীরের সাথে চাহিদা বাড়ে গরম কাপড়ের। শহর অঞ্চলে শীতের প্রখর কম হলেও গ্রামগঞ্জে শীতের তীব্রতা বেশী। সারা বছর যেমনই যাক না কেন শীতকালে একটু বেশী কদর বাড়ে গরম কাপড় আর লেপ তোশকের। কম্বলের পাশাপাশি আদি আমল থেকে শীত বলতে লেপ মুড়িয়ে ঘুমানো। ব্যস্ত সময় পার করছে সিরাজদিখানের লেপ তোষকের দোকান গুলো।
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে গত কয়েক দিন ধরে শীত ও কুয়াশা পরতে শুরু করেছে। ঠান্ডা থেকে রক্ষা পেতে ইতোমধ্যেই ক্রেতাদের কাছে লেপ-তোশকের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই দোকানিদের দম ফেলার সময় নেই। কেউ পুরনো লেপ-তোশক ভেঙ্গে নতুন করে নিচ্ছে। আবার কেউ নতুন করে লেপ-তোশক-জাজিম-বালিশ শীতসামগ্রী বানিয়ে নিচ্ছে। তবে তুলার কারণে লেপ-তোশকের দাম কম-বেশি হয়ে থাকে। এরমধ্যে রয়েছে পলিতুলা-কাপাশতুলা-গার্মেন্টসতুলা-শিমুলতুলা। চার থেকে পাঁচ হাত লেপ বিক্রি হয় (তুলা ভেদে) ৮০০ থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত।
সিরাজদিখান বাজারের লেপ-তোশকের দোকান মালিক আবু সালে বাদল (৫৮) জানান, আমার বাবার থেকেই আমি এই দোকান পেয়েছি। আমাদের অগ্রাহায়ন, পৌষ, মাঘ এই তিন মাস বেচাকেনা একটু বেশি থাকে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ক্রেতার সংখ্যা অনেকটা বেশি মনে হয়। আর বাকি মাস গুলো টুকটাক কাজ করে সংসার চলে। সব খরচ বাদদিয়ে প্রায় বছরে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা থাকে। তিনি আরো বলেন, সরকার যদি অল্প সুদে ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা করে দেয় তাহলে দোকানে আর মালামাল উঠাইতে পারব।
ক্রেতা দেলোয়ার হোসেন খোকন জানান, বর্তমানে কারিগররা অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। লেপের দাম একটু বেশি মনে হয়।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন