শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

নির্বাচনী বিতর্কের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশ

পাকিস্তান অবজারভারের সম্পাদকীয়

কূটনৈতিক সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

পুলিশ বলছে, ভোটে অনিয়মের ‘মিথ্যা তথ্য’ প্রকাশের দায়ে বাংলাদেশে গ্রেফতার করা হয়েছে একজন সাংবাদিককে। বুধবার থেকে আরেকজন সাংবাদিক পলাতক রয়েছেন। নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা ট্রিবিউন পত্রিকায় কাজ করেন সাংবাদিক হেদায়েত হোসেন মোল্লা। তাকে বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে মঙ্গলবার দিনশেষে আটক করা হয়েছে। অধিকার বিষয়ক গ্রুপগুলো বলছে, এই আইনটি ভিন্নমতাবলম্বীদের কণ্ঠরোধ করতে ব্যাপক ক্ষমতা দিয়েছে কর্তৃপক্ষকে। মোট ভোটারের চেয়ে দক্ষিণাঞ্চলের খুলনায় একটি আসনে অতিরিক্ত ২২৪১৯টি ভোট পড়ার রিপোর্ট প্রকাশ করার কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে হেদায়েত হোসেন মোল্লাকে।
যে নতুন আইনের অধীনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তা প্রস্তাব করার সময় থেকেই মিডিয়া হাউসগুলো এর বিরোধিতা করে আসছিল।
বিশেষ করে তারা এতে থাকা কঠোর কিছু বিধান বা প্রভিশনের কথা তুলে ধরেছিল। যদিও স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বলছে যে, হেদায়েত হোসেন মোল্লার রিপোর্ট মিথ্যা ছিল, কিন্তু নির্বাচনের সময়ে ও পরে একই রকম মিডিয়া হয়রানির বেশ খবর পাওয়া গেছে। এতে বাংলাদেশে তুঙ্গে উঠেছে নতুন বিতর্ক। এটাকে আখ্যায়িত করা হয়েছে, বিরোধী দল ও মিডিয়ার কণ্ঠকে রুদ্ধ করার উপায় হিসেবে। নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে নির্বাচনের দিনে ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনের খবর পাওয়া গেছে। প্রতিপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে নিহত হয়েছেন ১৭ জন। এ হত্যার ঘটনায় ওই গ্রেফতার ও ভীতি প্রদর্শনের কথা ঢাকা পড়ে গেছে। নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে বিরোধী দল আর নিরপেক্ষ মিডিয়াই শুধু উদ্বেগ প্রকাশ করছে এমন না। একই সঙ্গে এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সভ্য দুনিয়াও। মঙ্গলবার ইউরোপীয় ইউনিয়ন বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সহিংসতা ও ভোটদানে বাধা দেয়ার বিষয়। তারা বলেছে, এ ঘটনায় নির্বাচন কলঙ্কিত হয়েছে। নির্বাচনে হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রও। বিরোধীদের উদ্বেগ যুুক্তিসঙ্গত। কারণ, তারা আগের নির্বাচন বর্জন করেছিল। সর্বশেষ নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছে। কিন্তু এ দুটি ঘটনায় তারা কোনো পার্থক্য দেখতে পান নি। কারণ, নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড ছিল না। ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে যায় এমন সব ব্যবস্থা অবলম্বন করা হয়েছে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে। বিরোধী দল ও মিডিয়া যেসব অনিয়মের অভিযোগ তুলেছে তার সবটার বিষয়ে নজর দেয়া উচিত নির্বাচন কমিশনের। (অনলাইন পাকিস্তান অবজারভার থেকে অনুবাদকৃত)

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (15)
Jalal Uddin ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
তোমরা যতই লিখ কোন কিছু হবে না
Total Reply(0)
S M Alamin ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:৫৯ এএম says : 0
ড.কামাল বলেছে ফজরের নামাজ শেষ করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে সারা দিন কেন্দ্র পাহাড়া দিবেন আর আওয়ামী লীগ বলেছে রাতে তাহাজ্জুদ নামাজ শেষ করে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে সারা রাত ভোট ভর্তি বাক্স পাহাড়া দিবেন। ঠিক যা হওয়ার রাতেই হয়ে গেল …....@
Total Reply(0)
Farid Ahmed ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৪ এএম says : 0
এই নির্বাচন দ্বারা আওয়ামী লীগ অত্যন্ত খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করল। মানুষ ভোটই দিতে পারল না। অথচ সুষ্ঠু নির্বাচনেও ১৬০-১৭০ আসনে জয়লাভ করত। সরকার গঠনের জন্য কি এই আসনগুলো যথেষ্ঠ নয়! আওয়ামী লীগের প্রতি আমার মতো অসংখ্য মানুষের বিশ্বাস ভেঙে গেছে এমন নির্বাচনের কারণে।
Total Reply(0)
Ridouanul Hoque ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
এই দেশে অসম্ভব বলে কিছু আছে বলে আমার মনে হয় না।
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
দেশের মিডিয়াগুলোর চোখে এখন ডিজিটাল আইনের চশমা লাগানো...
Total Reply(0)
Zulfiqar Ahmed ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
গোলপোষ্ট ফাকা পেলে, সব খোলেয়ারই ইচ্ছামত গোল দিতে চাইবে, এটাই স্বাভাবিক। এবার নির্বাচনের ভোটের সঠিক ফলাফল দেখার জন্য ইভিএম এর রেজাল্ট দেখুন , সেখানেই বিএনপির ভোটের করুন দশা চলছে। তর্ক করে লাভ নাই, বিএনপির সত্যি সত্যি এখন করুন দশা।
Total Reply(0)
Tanvir Islam ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৫ এএম says : 0
আমি নিজে ইভিএমে ভোট দিতে গিয়েছিলাম । ইভিএম মেশিনের গোড়ায় এক জন লীগ কর্মী বসা ছিল । তার কাজ ছিল নৌকাতে চাপ দিতে বলা না দিলে সে নিজে দিয়ে কনফার্ম করে দিচ্ছিল ।
Total Reply(0)
রিপন ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
সবার উপর বিটিভি সত্য ..... তাহার উপর নাই.....
Total Reply(0)
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৭ এএম says : 0
Dear Foreign Reporter, Thanks for your very true comments.
Total Reply(0)
Shoyab Maruf ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
এই নির্বাচনের পর আমার ধারণা বদ্ধমুল হলো যে এই দেশে কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব না।
Total Reply(0)
আমিন মুন্সি ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
AL making fun with our votes.
Total Reply(0)
Zulfiqar Ahmed ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:০৮ এএম says : 0
বাংলাদেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর লজ্জা নেই।
Total Reply(0)
Moazzma H ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
For sustaining economic development, Bangladeshi voters choose the dominance of one party in a multi party democratic system. This is in no way a one party system like north Korea, where seats are uncompetitive as all candidates are chosen by the chosen by the Democratic Front for the Reunification of the Fatherland. North Korea is similar to Iran. Bangladesh, instead, is similar to Japan, where LDP is a dominant party in a multi-party democracy, and almost ruling Japan almost for 70 years. We like to be like Japan.
Total Reply(0)
Ekram Taj ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৬ এএম says : 0
দেশটির তরুণ ও যুবসমাজ গণতন্ত্রের ওপর বিশ্বাস হারাতে বসেছে।
Total Reply(0)
তিজার আলী ৬ জানুয়ারি, ২০১৯, ১:১৯ এএম says : 0
রাতের ভোটের ব্যাপারটা তারাও টের পেয়েছে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন