মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

অভ্যন্তরীণ

কুষ্টিয়ায় অবৈধ যানে বাড়ছে জট

কুষ্টিয়া থেকে এস এম আলী আহসান পান্না | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

কুষ্টিয়া শহরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা সাধারণ মানুষের জনজীবন অতিষ্ট হয়ে উঠেছে। এসব যান চলাচলের জন্য শহরের মধ্যে তিল পরিমাণ জায়গা ফাঁকা নেই। রাস্তার দু’পাশ দিয়ে ফুটপাথের জায়গা দিয়ে পথচারীদের হাটার পথ থাকলেও সেখানেও নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে বসে আছে ব্যবসায়ীরা। ফলে পথচারীদের পথচলা ও পারপার হওয়াটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। বাস্তবতা যা, তা হলো জেলার ট্রাফিক সদস্য সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় অনেকটাই কম। শহরের দৃশ্য দেখে মনে হয় ব্যাটারি চালিত অটো রিকশার মিছিলের শহর। অন্যদিকে সিএনজি নিয়মতান্ত্রিকভাবে না চালিয়ে রান্না করা এলপি গ্যাস দিয়ে চালানো হচ্ছে। এতে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।

কুষ্টিয়া পৌরসভা সূত্র জানায়, পৌরসভার লাইসেন্স শাখা থেকে থেকে ২০১৭ সালে এক হাজার ২৪৮ জন শহরে অটোরিকশা ব্যবসার জন্য ট্রেড লাইসেন্স করেছিলেন। গত বছর করেছেন প্রায় ৬০০ জন। এক বছরের জন্য একটি অটোরিকশার ভ্যাট ট্যাক্স মিলে দুই হাজার ২৫ টাকা দিয়ে ট্রেড লাইসেন্স করতে হয়। এরপর লাইসেন্স দেয়া অটো রিকশাগুলো পৌর এলাকায় চলার অনুমতি পায়।
সরেজমিন দেখা গেছে, অটোরিকশার কারণে সবচেয়ে বেশি যানজটের সৃষ্টি হয় শহরের তিনটা রুটে। সেগুলো হলো- মজমপুর থেকে এনএস রোড হয়ে বড় বাজার, থানামোড় থেকে মোল্লাতেঘরিয়া ও পলিটেকনিক থেকে কলেজ ও হাসপাতাল মোড় হয়ে সাদ্দাম বাজার পর্যন্ত। এই তিন সড়কে মোট পাঁচ কিলোমিটারে দুই হাজারের বেশি অটোরিকশা চলাচল করে। এ ছাড়া কলেজ মোড়, হাসপাতাল মোড় ও কোর্টস্টেশন মোড়ে সকালে ও বিকালে সবচেয়ে বেশি যানজট বাধে।

কুষ্টিয়া ট্রাফিক কার্যালয়ের পরিদর্শক মেহেদী হাসান বলেন, ‘অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ করতে ট্রাফিক সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছে। পৌরসভা চাইলে তাদের সহযোগিতা করা হবে। তবে শহরে চলাচলকারী লাইসেন্স প্রাপ্ত বৈধ অটো-রিকশা থেকে বহুগুণে বেশি চলছে। বর্তমানে কুষ্টিয়া শহরে যত অটো-রিকশাচলাচল করে তাদের মধ্যে অধিকাংশের লাইসেন্স নেই। ট্রাফিক আইনে ধারণা না থাকায় ট্রাফিক চিহ্ন বুঝতে পারে না তারা। সঙ্কেত না দিয়ে ইচ্ছামতো ডানে-বামে মোড় নেয়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা। সচেতন মহলের দাবি পৌর কর্তৃপক্ষকে ভোটের ভাবনা ছাড়তে হবে। জনস্বার্থে এই সকল অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোয় বাইকের বিরুদ্ধে জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই সাথে শহরের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া যানজটের দায়ভার এককভাবে ট্রাফিক পুলিশের কাঁধে না ঠেলে নিজেদের দায়িত্বে সচেতন হতে হবে।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন